অধ্যায় ৪১
বাড়ী ফেরার পথে আকাশ মেঘলা ছিল তাই আমি মিল্কিওয়ে দেখতে পারিনি।
আমি বললাম, “আমি দু:খিত”। কারন বাবাকে পুলিশ শ্টেশনে আসতে হয়েছে। ওটা একটা বাজে ব্যাপার ছিল।
সে বলল, “ঠিক আছে”।
আমি বললাম, “আমি কুকুরটিকে মারিনি”।
এবং সে বলল, “আমি জানি”।
এরপর সে বলল, “ক্রিস্টোফার, তোমাকে ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে হবে। ঠিক আছে”।
আমি বললাম, “আমি জানতাম না যে আমি ঝামেলায় পড়ব, আমি ওয়েলিংটনকে পছন্দ করতাম এবং তাকে হ্যালো বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না যে, কেউ তাকে মেরে ফেলেছে”।
বাবা বলল, “শুধু চেষ্টা কর অন্যের ব্যাপারগুলো থেকে দূরে থাকতে”।
আমি কিছু সময় ভেবে বললাম, “কে ওয়েলিংটনকে মেরে ফেলেছে আমি খুজে বের করব”।
বাবা বলল, “আমি যা বলেছি, তুমি কি শুনেছ, ক্রিস্টোফার”?
আমি বললাম, “হ্যা, আমি শুনেছি, তুমি যা বলেছ। কিন্তু যখন কেউ খুন হয় তোমাকে খুজে বের করতে হবে কারা তাকে খুন করেছে যাতে তারা শাস্তি পায়”।
সে বলল, “এটা একটি মামুলি কুকুর, ক্রিস্টোফার, একটি মামুলি কুকুর”।
আমি জবাব দিলাম, “আমি মনে করি কুকুরও খুব গুরুত্বপূর্ণ”।
সে বলল, “বাদ দাও”।
আমি বললাম, "আমার সন্দেহ হচ্ছে যারা খুন করেছে পুলিশ তাদের খুজে বের করে শাস্তি দিতে পারবে কিনা"।
তখন বাবা স্টিয়ারিং হুইলে তার থাবা দিয়ে আঘাত করল, গাড়ীটি রাস্তার মাঝখানের লাইনে একটু কেঁপে উঠল। সে চিৎকার করে বলল, “আমি বলেছি, খোদার দোহাই বাদ দাও”।
আমি বলতে পারি সে রেগে গিয়েছে, কারন সে চিৎকার করছিল এবং আমি তাকে আর রাগাতে চাইনি। তাই আমি বাসায় পৌছানোর আগে আর কোনো কথা বলিনি।
যখন বাবা সামনের দরজা দিয়ে বাসায় ঢুকছিল আমি রান্নাঘরে ঢুকে টবির জন্য গাজর নিলাম এবং সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে দড়জা বন্ধ করে দিলাম আর টবিকে বের করে গাজর দিলাম। তারপর আমি আমার কম্পিউটার চালু করে ৭৬ গেমস অব মাইনসউইপার খেললাম এবং ১০২ সেকেন্ডে এক্সপার্ট ভার্সন সম্পূর্ণ করলাম। যা ছিল আমার সেরা থেকে ৩ সেকেন্ড বেশি। আমার সেরাটি ছিল ৯৯ সেকেন্ড এর।
রাত ২ টা ৭ মিনিটে আমি ঠিক করলাম দাত ব্রাশ করে বিছানায় যাওয়ার আগে আমি স্কোয়াশ ড্রিংকস খাব। তাই আমি সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে রান্নাঘরে গেলাম।
বাবা সোফায় বসে টেলিভিশনে স্নুকার খেলা দেখছিল এবং স্কচ খাচ্ছিল। তার চোখ থেকে পানি ঝড়ছিল।
আমি জিজ্ঞেস করলাম , “তোমার কি ওয়েলিংটনের জন্য খারাপ লাগছে”?
সে আমার দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে থেকে নাক দিয়ে একটা দীর্ঘ নি:শ্বাস নিল। এরপর বলল, “হ্যা, ক্রিস্টোফার, তুমি সেটা বলতে পার, তুমি ভালমতোই সেটা বলতে পার”।
আমি ঠিক করলাম, আমি তাকে একা থাকতে দিব। কারন, আমার যখন খারাপ লাগে আমি তখন একা থাকতে চাই। তাই আমি আর কোনো কথা বললাম না। আমি রান্নাঘরে চলে গেলাম এবং আমার জন্য ওরেন্জ স্কোয়াশ বানিয়ে আমার রূমে চলে আসলাম।
চলবে .....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




