হে সমুদ্র মনে কি পড়ে?
পূজারী প্রভাতে তোমারে প্রনাম করে।
রবির কিরন আসিয়া লাগিলে তোমার গায়
উচ্ছাসে আছাড়িয়া পড়ো পূজারীর পায়।
তোমারে করিতে তুষ্ট - রাঙা নৈবেদ্যের ডালি
সারা রাত ভর সাজিয়ে সাজিয়ে চরনে দিয়েছে ঢালি।
ঝঞ্জা ক্ষুব্ধ শো শো গর্জে অবিরাম ধেয়ে চলো
শুনেছো কি তোমারে পূজিতে, পূজারী কি ক'লো
কত দুর দুর থেকে কোন সে কানন হতে
কত না বেদনার ফুল ভাসিয়ে তোমার স্রোতে,
তোমারি করিতে বন্দনা, হে বিশাল, আরতির গান
শুনিয়ে তোমারে, কাঁদিয়া পূজারী ধরিলো তান।
যা ছিলো তার মনে ও জ্ঞানে, তোমরেই দিতে সব,
তাকাও নি ফিরে একবারও তুমি, দেখোনি তার হৃদয়ের উৎসব।
কত দেশ ঘুরে ঘুরে তুমি, কত বন্দর ছুঁয়ে
চলিছো সম্মুখে বাধা বন্ধনহীন একগুয়ে।
তুমি শুধু চলো, ছলোচ্ছলো, শঙ্খচিল-
উড়ে উড়ে তীরে তীরে সবিস্ময়ে তোমারেই দেখে, সুনীল
হইয়া গেছো তুমি কাহারও সুপ্ত ব্যথার পরশে।
থামোনি একবার তবু, দেখোনি ব্যথিতেরে, চলছো হরশে,
তোমারে থামাতে, কহিতে কি কথা পূজারী করিছে আর্তনাদ
ভগ্ন কন্ঠের ছিন্ন লয়ে পৃথিবীতে নামে হঠাৎ অবসাদ।
পূজারীর ব্যথায় আকাশ কাঁদিলো, তোমারে করিলো সূনীল
তোমারে শোনাতে বার্তা লইয়া আজো উড়িছে গাঙচিল।
উড়িতে উড়িতে তোমারে কহিতে ডুবিয়ে সে মুখ
তোমার দেহেতে বারে বারে নামে, বড় উৎসুক।
ওরে শোন সুবিশাল অহংকারী শ্রান্তীহীন
তোরে সাজাতে আকাশ মাটি গাঙচিল, ও রুপ দিয়েছে ঋন
ভেবেছিস্ তোরি সম্মুখে সব নত --
দেখিসনি চেয়ে তুই যে, পূজারীর পদানত।।।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




