Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄ƷƸ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
'মন খারাপ' জিনিসটা যদি বেশ লম্বা সময়ের জন্য , কিংবা পর পর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বার বার হয় , এবং এটি দৈনন্দিন কাজকর্মকেব্যাহত করে তাহলে সেটাকে বলা হয় ডিপ্রেশন, বা বিষণ্ণতা।
এটি অল্পও হতে পারে , আবার অনেক বড় আকারের ও হতে পারে।যেহেতু এটা এক ধরনের অসামঞ্জস্যতা , তাই এটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা রাখা জরুরী।বড় ধরনের ডিপ্রেশনে ব্যক্তির মানসিক অবস্থা সবচেয়ে খারাপ থাকে সাধারনত সকালের দিকে ,ঘুম থেকে উঠার পরে এ ধরনের অবস্থায় অনেকের ডিপ্রেশনের সাথে সাথে কারন ছাড়াই আরও যেরকম কিছু জিনিস মনে হতে পারে তা হল -
* নিজেকে অযোগ্য মনে হওয়া ।
* নিজেকে দোষী মনে হওয়া ।
* দারিদ্রতা।
* নিজেকে পাপী মনে হওয়া ।
* জগত সংসার আসলে কিছুইনা ,এটা একটা মিথ্যা ,এরকম মনে হওয়া ।
ডিপ্রেশন বুঝবেন কিভাবেঃ
১. শরীর-মন জুড়ে শুধুই ক্লান্তি।কোনো কাজে উৎসাহ না থাকা,ক্ষুধামন্দ া ভাব অথবা অতি ক্ষুধা।
২. মন খারাপ। কোনো কিছু ভালো না লাগা।
৩. সব সময় ডিপ্রেসড মুড। প্রায়ইকান্না পায়। সব কিছু থেকেই আনন্দ হারিয়ে যাওয়া।
৪. অল্পতেই রেগে যাওয়া বা বিরক্তহওয়া। খিটখিটে মেজাজ।আত্মবিশ্ব াসের অভাব। অপরাধবোধেভোগা।
৫. ঘন ঘন মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা।
৬. মনোযোগের অভাব। মাথা ধরা।হাতপায়ে জ্বালা-যন্ত্রণা হতে পারে। সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসে না।বড় ধরনের ডিপ্রেশনের রোগী খুব নিশ্চুপ হয়ে থাকে ,তবে কারো কারোক্ষেত্রে উদ্ভ্রান্ত হওয়ার ঘটনাও পরিলক্ষিত হয় ।
আসুন এবার জেনে নেই কিভাবে বুঝবো ডিপ্রেশন কোন মাত্রায় আছে। প্রশ্নের উত্তরগুলো মিলিয়ে নিন ।
* আগে যে কাজ গুলো করতেন কিংবা আগে যা করতে ভাল লাগতো,এখনো কি সেই কাজে আনন্দ পান কিনা ।
* আগের থেকে এখন বেশি দুর্বল লাগেকিনা ।
* খুব সকালে ,সূর্য উঠার আগে ঘুম ভাঙে কিনা ।
*খাওয়া দাওয়াতে রুচি আছে কিনাবা ওজন কমেছে কিনা ।
* নিজেকে অযোগ্য ,দোষী ,পাপী বলেবিশ্বাস করেন কিনা ।
* নিজেই কি নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চান কিনা ।
*কথা বলতে জড়তা এসেছে কিনা,নিশ্চুপ থাকতে ভালো লাগে কিনা ।
* রাতের কোন সময় খুব উত্তেজিত বাউদ্ভ্রান্ত লাগে কিনা ,দুঃস্বপ্নদেখেন কিনা ।
এগুলোর উত্তর যদি অধিকাংশই হ্যাহয় ,তাহলে এটা ডিপ্রেশনের সবচেয়ে বাজে অবস্থা।সাধারনত ডিপ্রেশনের রোগীদের ঘুম খুব সকালে ,সূর্য উঠার আগেই ভেঙে যায় , এবং আর আসতে চায়না ।
তবে এটার ব্যাতিক্রম আছে । মজার ব্যাপার হল কিছু কিছু রোগীদের ঘুম অনেক বেড়ে যায় এবং ঘুম স্বাভাবিক সময়ে না ভেঙে অনেক দেরীতে ভাঙে ।অনেক সময় এরকম ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার চিন্তাও চলে আসতে পারে। যদি তাই হয়,তবে অতিসত্বর তার জন্য কাউন্সেলিং জরুরী।: [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮