somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরাকে আগ্রাসী-যুদ্ধ করতে চায়নি ক’জন ব্রিটিশ সেনা, তাদের কথা মনে করে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অভিনন্দন-তোমাদের। তোমাদের বিবেকতাড়িত প্রস্থানে বেঁচে গেল মানবতার বৈভব অনেকটা। কেন গুলি চালাবে অসহায় মানুষের বুকে? যারা আক্রমণ করেনি তোমাদের স্বদেশ, লুণ্ঠন করেনি তোমাদের সম্পদ, তারা কীভাবে শত্রু হয়ে উঠলো? এসব প্রশ্ন তীরবিদ্ধ করেছে তোমাদের, মস্তিষ্কের নিউরণে ঝড় উঠেছে, তোমরা স্থির থাকতে পারলে না, তোমরা চঞ্চলতায় ছুঁয়েছো বোধের অতল। সমুদ্র পেরিয়ে কেন? নোনাজলে কেন আরও মানুষের অশ্রু ও কান্নার জল মিশবে?


শুধু হুকুমের দাস? মোহরের লোভ? পেশাবৃত্তি আর জীবিকার জন্য শুধু কপটতা? যদেচ্ছাচার? মিথ্যাচার? বুজরুকি? রক্তচোষা? দংশন? না-এইকালে মানুষের যুক্তি ও স্বাধীনতার তেজ খানিকটা হলেও তোমাদের মধ্যে জেগে উঠেছে! পুরো অন্ধ হয়ে যান্ত্রিক-নির্দেশ মানোনি! তোমরাও যে মানুষ-তা ভুলে যাওনি! অসারতা বুঝতে পেরেছো। কার ও কীসের জন্য যুদ্ধের এই উন্মাদনা?

তোমরাও জেনেছো--অবরোধ আর কূটকৌশলে ইরাক হয়েছে আগেই নুব্জ, শক্তির প্রতাপে চরম মাত্রায় ছাঁচের মধ্যে ফেলে আবারো কেন বলপ্রয়োগ? এর মানে কী? উদ্ধারের নামে রাহুগ্রস্ত করা নয়? শুধু সমরসাফল্য দিয়ে কি সত্যতা ও যথার্থতা প্রমাণ করা যায়? রণবাদ্য বাজলেই ন্যায়যুদ্ধ শুরু হয়? সৈনিকের পোশাক পরলেই কি বোধ ও বিবেচনা থাকবে না? শুধু শুধু দাসবৃত্তি--মধ্যযুগ পার হয়ে এইকালেও!

তোমরা ফিরে গেলে--রণেচ্ছু না হয়ে, আত্মজিজ্ঞাসার মধ্যে ফিরে পেলে মানবিকতা কাকে বলে? যা বুশ ও ব্লেয়ার অবকাশযাপন ও ক্ষমতার ভোগ-বিলাসে থেকে কখনো বুঝতে পারে না। তারা মানুষের সমর্থন ছাড়া হতে চাইছে বিশ্ববিজেতা ও ভুবনজয়ী? গণতন্ত্রের নামে তারা কোনঠাসা করা ঋণপত্র খুলতে চাইছে দেশে দেশে। বিদলন-বিপর্যস্ত করা মানুষ, জনপদ ও লুণ্ঠিত সম্পদ নিয়ে তৈরি করতে চাইছে স্বর্গরাজ্য! যে রাজ্যে থাকবে পুতুলসেনারা--যাদের মধ্যে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম থাকবে না, থাকবে কিছু পদলেহী বিচারক কিন্তু বিচারবুদ্ধি থাকবে না।

তোমরাও কোর্টমাশাল বা বিচারের মুখোমুখি হচ্ছো--যেখানে ওকালতনামা-সালিশ-উকিল-সাক্ষী-বিচারক একই রেখায় হয়তো অধিষ্ঠিত হবে, হলেও এর বিপরীতে হাজার হাজার ন্যায়পাল জেগে থাকে সুবিচারের পক্ষে। তোমাদের মানবিক সজীবতা নিয়ে এখনো ভরসাস্থল তৈরি হয়--সেখানে আমরাও বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারি।


মানবিক সজীবতা নিয়ে ভরসাস্থল
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×