পদ্মা সেতু। কেউ কেউ বলে থাকেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশকে সম্পৃক্ত করার কাঙ্ক্ষিত এই প্রকল্প নিয়ে আমাদের আগ্রহের কোন কমতি নেই। আমরা চাই যথাসময়ে ব্রিজটা নির্মিত হোক। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হারে শিল্প কারখানা স্থাপিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এতে মংলা বন্দরে গতি আসবে, সুন্দরবনে পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। পদ্মা সেতু চায় না এমন একজনও মানুষ বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন সহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না? যারা কোন যৌক্তিক প্রশ্ন তুলবে তারা কি পদ্মা সেতু বিরোধী?
না, তারা প্রকৃত দেশ প্রেমিক ও সচেতন বলেই আমি ধরে নেব। এতে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা বাড়বে। মানুষ সচেতন হবে। আমাদের চিন্তা চেতনার উন্নয়ন হবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে। নিজেদের দায়িত্ববোধ ও অধিকার নিয়ে ভাববে।
পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারন বিষয়ে একটি খসড়া তালিকা পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম। সূত্রমতে, একটি মোটর সাইকেল পারাপার হতে চাইলে দিতে হবে ১০৫ টাকা; কার/জীপ ৭৫০ টাকা; ছোট বাস ২,০২৫ টাকা; বড় বাস ২,৩৭০ টাকা; ছোট ট্রাক ১,৬২০ টাকা; মাঝারি ট্রাক ২,১০০ টাকা এবং বড় ট্রাক ২,৭৭৫ টাকা এবং ট্রেইলার ৪,০০ টাকা। এছাড়া প্রস্তাবিত খসড়া তালিকায় বলা হয়েছে, টোলের এই হার প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে। টোলের এই হিসাবের সাথে বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনা করলে তা প্রায় দ্বিগুণ এর সমান। পদ্মা সেতুর টোল দ্বিগুণ হলো কোন যুক্তিতে? এর কোন জবাব আছে? প্লীজ, আমাদের কাছে তা পরিষ্কার করুন।
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে যে, ১.৬% জিডিপি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে তা তো 'টোল বাবা' খেয়ে ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা কি এগুলো কখনো ভেবে দেখেছেন? নাকি এগুলো নিয়ে ভাবনার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন?
খবরে প্রকাশ, পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় আবার বাড়ছে। বিদেশি ঠিকাদার ও পরামর্শক কাজের ভ্যাট ও আয়কর বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার খরচ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চুক্তিমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ধরা হয়েছে শতকরা ১.৪১ থেকে ৮.৩০ শতাংশ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে ৬৮৫ কোটি ৮৯ লাখ ২ হাজার ১৯০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে। পদ্মা সেতু প্রকল্প কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেতু বিভাগে।
২০০৭ সালে একনেকের বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। এরপর বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ইত্যাদি ঘুরে বহুত জল ঘোলা করে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখে। ২০১১ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। মাত্র চার বছরের ব্যবধানে তা দ্বিগুণ হয়ে গেল অবিশ্বাস্য কারিশমায়! ২০১৬ সালে খরচ বাড়িয়ে ধরা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়; নিশ্চিতভাবে আরো বাড়বে প্রকল্প ব্যয়। প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানী। নদীশাসন করছে আরেক চায়না কোম্পানী 'সিনোহাইড্রো করপোরেশন'। এ ছাড়া দেশী-বিদেশি বেশ কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্ত নির্মাণ কাজে। নতুন করে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ বাড়ছে প্রায় পৌনে ৭শ কোটি টাকা। এ নিয়ে চতুর্থবার পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে!
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজের সঙ্গে চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২.৯৭ শতাংশ হারে খরচ বৃদ্ধির কারণে বর্তমান ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ৬৯৯ টাকা ৬৩ টাকা। এতে খরচ বাড়ল ৩৬০ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৯ টাকা।
নদীশাসন কাজের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন এ প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে নদীশাসন কাজ। এ ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকার। বর্ধিত চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৫২৮। ৩.০৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পরিমাণ ২৬৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮১ টাকা। বিদেশি ঠিকাদারের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়কর ১০.৫০ শতাংশের পরিবর্তে ১৪.৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে। ঠিকাদারের বাইরে পরামর্শক বাবদ ভ্যাট ও আয়কর ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।
এ কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিমূল্য ছিল ৫৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার ৫৭৩ টাকা। ৮.৩০ শতাংশ হারে বেড়ে এখন ধরা হচ্ছে ৬০৯ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ টাকা। তার মানে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ৬৪ হাজার ৯১ টাকা বেড়েছে। বিদেশি আরেক পরামর্শক ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালটেন্সি (এমএসসি) রেনডেল লিমিটেড, ইউকে এর চুক্তিমূল্য ১৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬০ টাকা। ৮.১৯ শতাংশ হারে বেড়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৪১ টাকা। এতে বর্ধিত চুক্তিমূল্য ধরা হচ্ছে ১৮২ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
চুক্তি মতে, ২০২০ সালের মধ্যে ঠিকাদাররা প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো কমিটেড। এর ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভারও তাদের। তাহলে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার কথা। অথচ তা না করে প্রকল্পের সময় ও খরছ বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার! এটা অবিশ্বাস্য। এই ক্ষতির দায়ভার আমাদের উপরে পড়বে কেন?
আর দেশী পরামর্শকের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়কর ২৫ ভাগের স্থলে ২৭ ভাগ ধরা হয়েছে। দেশী পরামর্শক কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-ইএসডিও-আইএলআরপি অ্যান্ড আইআরএপির বর্তমান চুক্তিমূল্য ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ১৭৬ টাকা। ১.৪১ শতাংশ হারে এখন বেড়েছে ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯ টাকা। বর্ধিত চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৫ টাকা। আরেক দেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের চুক্তিমূল্য ৬ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩ টাকা। ১.৪৬ শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮ টাকা।
আচ্ছা, দেশী পরামর্শক এই বিশেষজ্ঞ কারা? এতো বড় বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকতে বিদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা খরছ করে বিশেষজ্ঞ আনতে হচ্ছে কেন? উনারাই তো একটি পদ্মা সেতু সহজেই তৈরী করে দেওয়ার কথা। এতো বছরেও বুয়েট একজন পদ্মা সেতু বানাতে সক্ষম ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করতে পারেনি? অবিশ্বাস্য! আর যদি উনারা নাই পারেন তাহলে পদ্মা সেতু বিশেষজ্ঞ হলেন কোন যুক্তিতে?
গত কিছুদিন আগে চালু হওয়া হংকং-জুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ-কে বলা হচ্ছে মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর আইকন। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের এ ব্রিজটা ম্যাকাও এর সাথে হংকংকে সংযুক্ত করেছে। ১৮.৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং এ প্রজেক্টকে আলোর মুখ দেখাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পৃথিবীর সেরা ইঞ্জিয়ারদের। ব্রিজটার অন্যতম বিশেষত্ব হলো এতে তিনটি টানেল আছে যা ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত; এসব টানেল দিয়ে মেইনল্যান্ড চায়নার বড় বড় মালবাহী জাহাজ পারাপার হয়। এছাড়া চারটি কৃত্রিম আইল্যান্ড তৈরী করে ব্রিজটাকে টেকসই করা হয়েছে। এসব বাড়তি সংযোজন ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার মাত্র ৯ বছর ২ মাস পর ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিজটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১৫০,৪০০ কোটি টাকায় নির্মিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজটার নির্মাণ ব্যয়ের সাথে আমাদের পদ্মা সেতুর তুলনা করলে দেখা যায় ৬.১৫০ কিলোমিটার আয়তনের এ ব্রিজটা নির্মাণে সর্বোচ্চ ১৬,৮১৭ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ! এর যৌক্তিক কোন কারণ আছে? দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে তা জানার অধিকার আমাদের আছে। কারণ, এই টাকা আমাদের; নির্মাণ ব্যয় মেটাতে নেওয়া ঋণ আমাদের পকেটের টাকায় পরিশোধ করা হবে। আগামী ৩৫ বছর ব্রিজের দুই পাশে টোল বসিয়ে আমাদের পকেট কেটে এই টাকা উদ্ধার হবে। প্লীজ, লাগামহীন এই নির্মাণ ব্যয়ের যৌক্তিক কারণগুলো স্পষ্ট করে বলুন। ২০০৭ সালে পাশ হওয়া এ প্রজেক্টের ব্যয় মাত্র কয় বছরে তিনগুণ বাড়লো কোন যুক্তিতে? প্লীজ, একটু বলুন। আমরা তো ব্রিজ বিশেষজ্ঞ নই।
দ্বিগুণ হারে টোল আদায় করার আসল কারণ তাহলে এই! নির্মাণ ব্যয় প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ হওয়ার ফলে টোলও পাল্লা দিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যা আগামী ৩৫ বছর ব্রিজটা পারাপার হওয়া পাবলিক পরিশোধ করবেন বাধ্যতামূলক ভাবে। বিষয়টি এমন, "আপনি শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আমার মাটির ঘরটি পাকা করে দিয়ে যাওয়ার সময় হাতে একটি বিল ধরিয়ে দিয়ে গেলেন। যাচাই করে দেখা গেলো এই ঘরটি নিজে তৈরী করলে অর্ধেক টাকায় করা যেত। তাহলে আপনার অতিরিক্ত খরছ দেখানোর ফলে আমি যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলাম তার দায়ভার কার? এজন্য প্রতিবাদ করা যাবে না? নাকি আপনি ঘরটি বানিয়ে দিয়েছেন বলে বড় গলায় বলবেন, এতো আস্পর্ধা! অকৃতজ্ঞ ছোট লোক! আরাম আয়েশের জন্য ঘরটি তৈরী করে দিলাম অথচ এখন কমপ্লেন করছে? নিমকহারাম কোথাকার।"
জনাব, আমার ঘরটি মাগনা তৈরী করে দিলে এই কমপ্লেন করতাম না, কিন্তু গরীবের ঘাড়ে ৩৫ বছরের ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে যখন প্রস্থান করবেন তখন আমাকে বিলাপ করতেই হবে। এতে আপনি বেজার হলে কিংবা অপবাদ দিলে কিছুই করার নেই।
এবার মহাসড়কে আর ব্রিজের টোল প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। এমনও দেখা যায়, ছোট্ট ছোট্ট ব্রিজে দিনের পর দিন টোল আদায় হচ্ছে। কবে তা শেষ হবে তা কেউ জানে না। এর পেছনে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলেও চলছে তো চলছেই। এই কৌতুহল শুধু আমার না; এদেশের কোটি কোটি মানুষের। গত কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকায় দেশের কয়েকটি ব্রিজ ও মহাসড়কে টোল বাণিজ্য নিয়ে রিপোর্ট হয়। জানা যায় এর সাথে সরকারের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জড়িত; আর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার হাতিয়ে নেওয়ার বাস্তবতা তো আছেই। জানা যায়, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ভৈরব সেতু, ঘোড়াশাল সেতু এবং কাঞ্চন ব্রিজের টেন্ডার দেওয়া হয়। রিপোর্ট মতে, গোপন এ টেন্ডারে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আর রাজনৈতিক দলের নেতারা!
পদ্মা সেতুর টোল আদায়েও কি হাজার কোটি টাকার টেন্ডারবাজি হয়েছে কিংবা হবে? যদি হয়ে থাকে তাহলে এর সাথে কারা জড়িত? টোল আদায়ের এই অবিশ্বাস্য হার কে নির্ধারণ করেছে? প্লীজ, একটু খোলাসা করুন। জানতে বড় ইচ্ছে হয়। হাজার হোক, ব্রিজটা তো আমাদের টাকায় বানাইছেন। মালিকের কাছে জবাবদিহি করতে হয়; এটাই নিয়ম।
তথ্যসূত্র- [লেখায় সংযুক্ত করা আছে]
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৭