আমার লেখা ছোট্ট একটি রোমান্টিক গল্প।
-------------------------------------
শ্রাবন।
ঢাকায় সাভার তার বাড়ি।ব্যাংকে চাকুরী করে, বাবা-মা আর দুই বোন নিয়ে তার ছোট পরিবার্।প্রতিদিনের মত অফিস থেকে বাসায় ফিরে ফেসবুকে বসে যায়!
ফ্রেন্ড লিস্টে শ্রাবন্তী নামে একটা মেয়ে আছে, শ্রাবন্তীর বাড়ি কলকাতায়। কয়েক মাস হল শ্রাবন্তী তার ফেসবুক ফ্রেন্ড।মাঝে মধ্যে ফোনালাপ আর চ্যাট করেই তাদের সময় কাটে, শ্রাবনের অনুরোধে শ্রাবন্তী মাঝে মাঝে ফেইসবুকে দুই- একটা ছবি আপলোড দেই! তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে শ্রাবণ অফিস থেকে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে কলকাতায় চলে যায়। দেখা হয় দুইজনের মধ্যে, শ্রাবণ কে নিয়ে উঠে তাদের বাড়িতে। তার বাবা - মার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। শ্রাবন্তীর বাবার সাথে বিয়ে সম্পর্কে আলাপ হয়। শ্রাবণ ওয়াদা করে সে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করবে। তবে এখন না আরও কয়েক মাস পর্। দিন পাচেক থেকে আবার ঢাকায় চলে আসে শ্রাবণ।
এক মাস পর্:-
গভীর রাতে শ্রাবনের প্রচন্ড কাশি শুরু হয়। কাশির সাথে জমাট রক্ত বের হয় মুখ থেকে। এইভাবে কিছুদিন চলতে থাকে। শেষমেষ আর সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের কাছে আসে। মেডিকেল রিপোর্টে আসে শ্রাবনের লিভার ক্যান্সার্। আর বেশি দিন নেই তার হাতে। ডাক্তার সব খুলে বলে শ্রাবনকে। শ্রাবনের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, সে আবার অনুরোধ করে ডাক্তারকে ভালো করে দেখতে। কিন্তু ডাক্তারের একটাই উত্তর্। শ্রাবনের চোখে জল নেই, মুখে কোনো কথা নেই। আস্তে আস্তে লুটিয়ে পরে মাটিতে, তার চিৎকার করে কাদতেঁ ইচ্ছে করছে, কেদে কেদে চোখের জল দিয়ে গসল করতে ইচ্ছে করছে।
শ্রাবন বাসায় এসে ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করে দেই, মোবাইল বন্ধ করে দেই চিরদিনের জন্য।
শ্রাবণ একটা চিঠি লিখে শ্রাবন্তীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেই। কিছুদিন পরই শ্রাবনের মৃত্যু হয়।
দীর্ঘ এক মাস পর শ্রাবনের দেওয়া চিঠি শ্রাবন্তীর হাতে পরে।
চিঠিতে যা লেখা ছিল:-
প্রিয়া,
আমার উপর নিশ্চয়ই অভিমান করে আছ! আমাকে ধোকাবাজ, বাটপার নানা ভাবে অপবাদ দিচ্ছ। আমি জানি তুমি আমাকে কতটুকু ভালবাস। যখন তুমি চিঠিটি পরবে তখন আমি আর পৃথিবীতে নেই। এই নিষ্ঠুর পৃথিবী আমাকে থাকতে দিলনা। আমাকে ভুলে যেও, ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে পেল। আর পারলে আমার কবরের পাশে একবার এসো। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কি আসবে আমার কবরের পাশে??????????