ভাগ্য
ভাগ্যটা ঝুলে আছে
কাঠের বারান্দায়
সহজেই বদলাবার নয়-
জলের লবন
চাবিঘরে মিহি রোদ উঁকি দেয়
কামনার পালকি সাজিয়ে লাভ কি
হাতের মুঠোয় বন্দী আজও
ভাগ্যরেখা...
শুধু কি জানে নির্বাক ঈশ্বর ?
বুক
সন্ন্যাসী বুক জুড়ে ডাহুকের ছবি
আগাছা রাজ্যে
আঁধারে বিভুর সহস্র দুপুর
অচেনা অরণ্যের দিকে হেঁটে যাই
নিষিদ্ধ লোবানে চোখ ঝালসানো
হে ঈশ্বর!
দেখ ডুবুরির সাঁতার
আগুনের নদী পারি দেয় নির্বাণে।
ছায়া
ছায়াফুল ঊষার আকরে সদা জাগ্রত
প্রচ্ছন্ন ক্ষীণয়ুস্রোতে…
অষ্টপ্রহরে প্রহরীর সারিন্দা বাজেনি
অগুনতি ছায়াফুল কৌণিক কূলে
নিঃস্ব নোঙর ফেলে-
ছায়ার সম্মুখে দাড়ানো ফুলকি
ছায়ারই সারথি
প্রচন্ড তুষারেও হাতমোজা ঘামে
বৃত্তের কাজলরেখায়।
শরম
বিকৃত মুহূর্তগুলো দৃশ্যত পূর্ণিমায়
ভাঙ্গা প্রজাপতির ডানা
চোখপাতার পর্দা সরে গেছে শৈশবদিনে
ত্রপা ডুবেছে কৃষ্ণলীলার গ্রীবায়...
মুছে ফেলি উচাটন রঙ
ধুয়ে যাক নোনা জলে।
পর্দা
পর্দার দুঃখগুলি ফিরে এলো আবার
বাঁধানো চৌকাঠ ভেঙ্গে মৃত্যুফাঁদ
পার্শ্ববর্তী কুশীলব যতোই ঝরাক স্বপ্ন
পূর্ণিমা নামে সমর্পিত গহীনে
দ্বিধাভর্তি মাথা নিয়ে ঘুরে বেড়াই
জলহাওয়ায়
কাসুন্দির মতো চেটেছি ভ্রাম্যজল
মোহনিদ্রার জালে...।
রেখা
সব কিছু টিকটাক আছে
শুধু পরখ করে দেখি
হাতের রেখাগুলি
তেজস্ক্রিয় রোদে ফোসকে গেছে হাত
হাতঘড়ির আলোয় ডাইনির ডাইস
ডানার জৌলুস কতোটা নির্মম হলে
বদলে যায় স্বয়ম্ভুদিন।
পথ
ব্যথার পথ জুড়ে ফুটে থাকে
গাঁদা গাঁদা বেগুনি ফুল
কতো প্রজাপতি ভুল পথে
ভেসে গেছে সমাধি জলে
জলের খবর রাখে না জলধি
ছায়াপথ জানে না নিজস্ব কক্ষপথ
মৃন্ময় কেন হারায় লাল চিঠি
নিজস্ব ডাকঘরে।
প্রেম
চুম্বিত মালিন্যে ভেসে গেছে প্রেমের বেণি
সংকুচিত দেরাজ
কাজল প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখি সাঝেঁর ভাঁজে
আঁচল পেতে রাখি হাসনাহেনা দেওয়ালে
ঝর্নাগুলি আলোর বাজনা শোনায়
কন্টকাবৃত্তবনে
আর কান পেতে শুনি বহ্নিপ্রেমর
সমূহ ধ্বনি ।