যেও না যেও না শুনেও পা যখন থামে না,
হাটি হাটি পা পা করে শিশুর প্রানান্ত চেষ্টার মতো
রোদ্দুর ভেজা ওই জানালায় অপলক দৃষ্টি
গুন গুন গান গাওয়ার ভঙ্গিতে আলতো কাধে
হেলে পড়া চুল নিয়ে তোমার অবিরাম প্রচেষ্টা
চুরি করে তাকিয়ে দেখায় প্রশান্তির বৃষ্টি
দাদু নানু বলেছিলো ভেজা চুলে যেও নাকো
মাকে ও বলেছিলো, যেতে তুমি দিও নাকো
শুনেছিলে তুমিও, এসেছিলে তুমিও জানালার শিকে
এলুমিনিয়াম আর কাচের ভীড়ে নেইকো আজ জানালার শিক
ক্লান্ত পথিকের মতো সীমাহীন নিদ্রাসজল চোখে
এসেছিলে আমার চোখের তারার জানালার শিকে
উষ্ণ রোদ্দুরে, লোডশেডিং এর চাদরে, মহানগরে মহানগরে
সবাই যখন ঘর্মাক্ত, তুমি এলে স্নানের পরে এলোচুলের ভারে
কাচ আর এলুমিনিয়ামের জানালাকে করলে লোহার শিকে
পলক পড়ার খেলায় জিতি না আজো, পাই নি পুরষ্কার
বেদনা নিয়ে ঘুরে তাকিয়ে, পলক ফেলার নেইকো অবকাশ
চোখের সিলোয়েটে তুমি, ব্যাকগ্রাউন্ডে তেতে থাকা আকাশ
লেখার কথায় মৃদু হেসেছো, ভেবেছো বৃথাই কথা
সীমিতের মাঝে অসীমের ডাকে আমার পথচলা
সাতের মাঝে দুই এর নিয়মে প্রতিক্ষন কথা বলা
হারিয়ে যাবার আগেও বোধহয় এটাই চলিত নিয়ম
শত্রুর মাঝে বসবাস আমার, সমীকরনের গনিত
চোখ বুজেঁ হারিয়ে যাওয়ায় শ্বেত হওয়া শোণিত
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১০ রাত ১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





