রাইস কুকারে ভাত রান্না করলে ভাতের যে মাড় হয় তা ভাতের মধ্যেই থেকে যায় - আর তাই রাইস কুকারে রান্না ভাত এবং মাড় না ফেলে রান্না করা ভাত একই। রাইস কুকারের সুবিধা হলো এটি ভাতের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এখানে তাপমাত্রা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ফলে ঠিক পরিমান চাল ও পানি দিলে ঠিক সময়ে ভাত হয়ে যায়। রান্না শেষ হয়ে রাইস কুকার 'ওয়ার্ম ' ম্যুডে চলে যায় - ফলে ভাত গরম থাকে। চুলায় ভাত রান্না করলে ঠিক সময় চুলোর আগুন বন্ধ না করলে ভাত পুড়ে যেতে পারে - আর রাইস কুকারে চাল ও পানি দিয়ে সুইচ টিপে দিয়ে নিশ্চিন্তে অন্য কাজ করা যেতে পারে - ভাত রান্না হয়ে গরম হয়ে থাকবে। এখন বলা হয়ে থাকে যে মাড় সহ ভাত আমাদের জন্য বেশি উপকারী কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে যে শর্করা রয়েছে তা হলো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড - যাতে ফাইবার ও কিছু ভিটামিনও রয়েছে। এই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার শক্তিও দিয়ে থাকে। যদি ঠিক পরিমানে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তবে রাইস কুকারে রান্না করা ভাতে মাড় ফেলে দেয়া ভাত থেকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড বেশি - তার মানে খাদ্যগুন বেশি। এখন যদি কেউ এই খাদ্যগুন সম্মৃদ্ধ ভাত খেয়ে সেই পরিমান কাজ না করে তবে এই শর্করা ফ্যাটে পরিবর্তিত হবে।
তথ্য সুত্র :
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশ
ডিসেম্বর, ২০১৮
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২৭