somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চলেপথিক
আমি মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী, কারণ মুক্তচিন্তা হলো এমন এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি যা বলে যে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ , মতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধবিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবান্বিত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় ।

ধর্ম যার যার ঈশ্বর সবার

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেহেতু সৃষ্টি রয়েছে সেহেতু স্রষ্টাও রয়েছেন এতে কোন ভুল নেই ।কিন্তু তিনি কি রূপে আছেন এবং কি ভাবে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানবের মূল বিতর্কটা কিন্তু এখানেই । যিনি এই পৃথিবী এবং জীবকুলের স্রষ্টা তিনিই ঈশ্বর, আর এই ঈশ্বরেই নাম হলো ভগবান, গড বা আল্লাহ্‌ । এখন কথা হলো ঈশ্বর কে যে নামেই ডাকা হোক না কেন তাতে মানুষের সমস্যাটা কোথায় ?

আমরা প্রায় সকলেই যানি মানব সভ্যতার সূচনালগ্নে আদি মানবরা গুহায় ও গাছের গুঁড়িতে বসবাস করতো এবং ক্ষুধা নিবারনের জন্য গাছের ফলমূল আহার করতো । সেই আদিম যুগের মানুষকে বলা হতো ' টোকারে ' । কালক্রমে আগুনের ব্যবহার ও পাথরের তৈরি হাতিয়ার আবিষ্কারের ফলে মানুষ পরিণত হয় শিকারি মানবে । তখন মানুষ দলবদ্ধ ভাবে থাকতে শুরু করে আর এই ভাবেই মানুষের মাঝে গোত্র প্রথার সূত্রপাত ঘটে । একটি গোত্রের মধ্যে যিনি বেশি শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হতেন সাধারণত তাকেই গোত্র প্রধান নির্বাচন করা হতো । তিনি শিকারে নানান দিকনির্দেশনা দিতেন । গোত্রে আরেকজন ব্যক্তি থাকতেন যিনি রোগে আক্রান্তদের ও আহতদের বিভিন্ন ঔষধির মাধ্যমে সুস্ত হয়ে উঠতে সাহায্য করতেন তাকে বলা হতো ' ওঝা ' । এই ওঝারা ছিলেন যথেষ্ট জ্ঞানি ব্যক্তি। এই ভাবেই মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক প্রতিকুলতার মাঝে বেঁচে থাকার কৌশল আর জ্ঞান এর চর্চা চলতে থাকে । আর এই সুযোগে একজন দলপতি আর ওঝাই হয়ে উঠেন গোত্রের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি ।

বিরূপ প্রকৃতি আর বনজঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত ও হিংস্র জন্তু জানোয়ারের কারণে সদা বিপদগ্রস্ত মানুষ প্রাণভয়ে প্রকৃতিকে তুষ্ট করার চেষ্টায় নানান ধরনের অভিনব নানান বিষয়ের অবতারনা ঘটানোর মাধ্যমে এক ধরণের মিথ এর জন্ম দেয় । কালক্রমে যা আমাদের মধ্যে ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় ।

প্রথম প্রথম গোত্র প্রধান এইসব ধর্মিয় বিষয়গুলি নিজে দেখাশোনা করলেও পরবর্তীতে প্রশাসনিক ব্যস্ততা এবং আরাম আয়েশে অভ্যস্ত হয়ে উঠার কারণে ভিন্ন আরেকজন ব্যক্তিকে এই কাজে নিয়জিত করেন, আর তিনিই হলেন ' পুরুহিত ' ।

কালক্রমে মানব সভ্যতা যত এগিয়েছে কিছু ব্যক্তি ক্ষমতাবান আর বিত্তবান হয়ে উঠেছে এবং তারা তাদের ক্ষমতা আর বিত্ত ধরে রাখার জন্য ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে ধর্মের নামে শাসন আর শোষণ চালিয়ে গেছেন ।

ঈশ্বর বিশেষ কায়দায় কোন প্রকার ধর্মের সৃষ্টি করেছেন এমন ভাবনার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই । ঈশ্বর সৃষ্টিলগ্নেই মানুষের মধ্যে জ্ঞান এর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন । এইটি চর্চার মাধ্যমে বিকাশ লাভ করবে এটাই স্বাভাবিক। যদি তাই না হবে তাহলে ধর্মবতারদের ঈশ্বর মর্তে এসে জ্ঞান দান করলেন , কিন্তু বিজ্ঞানিদের কে জ্ঞান দান করলেন ?

ধর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি কখনও স্রষ্টার কাজ হতে পারেনা এইটি মানুষেরই কাজ এতে কোন ভুল নেই । ঈশ্বর কে ডাকার জন্য কোন বিশেষ ভাষা বা কোন ভঙ্গীর ও নিদৃষ্ট কোন দিকের প্রয়োজন পড়ে না ।

তিনি সব ভাষা বোঝেন এবং সর্বত্রে বিরাজমান একক সত্ত্বা ।


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×