somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কিংবদন্তির জার্নাল
আমি একজন পাঠক।কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প সবকিছুই ভালো লাগে।লেখালেখির প্রতি হৃদয় থেকে এক ধরনের তীব্র টান অনুভব করি কিন্তু নিজের শব্দভাণ্ডার খুবই নড়বড়ে হওয়ায় কথাগুলো সহজে রুপ দিতে পারি না।হয়তো কালের পরিক্রমায় একদিন সফল হবো।তবে চিরকাল পাঠক হিসেবেই থাকব

শুভ জন্মদিন কার্ল সাগান!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক ও মার্কিন মহাকাশ প্রকল্পগুলোর পুরোধা ব্যক্তিত্ব কার্ল সাগান। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক টিভি সিরিজ ‘কসমস : আ পারসোনাল ওয়েজ’-এর মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান অনুরাগীদের বৃহৎ সংগঠন ‘দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটি’র একজন সহ-উদ্যোক্তাও ছিলেন।

সাগান ১৯৩৪ সালের ৯ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকেই সাগান বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। রাতের আকাশে বিস্ময় নিয়ে তারা দেখতেন। তারার আলোর উৎস অনুসন্ধানের জন্য ব্যাকুল থাকতেন। ছেলেবেলার এই বোধই তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার প্রেরণা জোগায়। স্থানীয় একটি লাইব্রেরি তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। জানতে পারেন পৃথিবীটা একটা গ্রহ আর সূর্যের চারদিকে এমনই আরো অনেক গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। তখন তিনি ভাবলেন অন্য তারাগুলোরও নিশ্চয়ই এ রকম গ্রহমণ্ডল থাকবে। তাঁর এই চিন্তার বাস্তবায়ন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি। অতি সাম্প্রতিককালে সূর্য ছাড়াও অন্যান্য তারায় গ্রহমণ্ডল আবিষ্কৃত হচ্ছে। ১৯৫১ সালে সাগান নিউ জার্সির রাহওয়ে হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৫৫ সালে ব্যাচেলরস, ১৯৫৬ সালে মাস্টার্স এবং ১৯৬০ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞানী এইচ জি মুলারের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসাচুসেটসের স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল মানমন্দিরে কাজ করেন। বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য সাগানের ভেতরে প্রচণ্ড আবেগ ছিল। অনুধাবন করেছিলেন, কোনো একটি সভ্যতায় বেশির ভাগ মানুষের বিজ্ঞানবোধের বিচ্ছিন্নতা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, তারা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারে না। এ কারণে ধ্বংস হয়েছে আলেক্সান্দ্রিয়া, যার কারণে মানবসভ্যতা এক থেকে দেড় হাজার বছর পিছিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তাঁর রচিত ‘কসমস’ বইটি ইংরেজি ভাষায় রচিত সবচেয়ে পঠিত বিজ্ঞান বইগুলোর একটি। বইটি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে কসমসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ১৩ পর্বের টিভি সিরিজটি ৬০টি দেশের প্রায় ৫০ কোটি দর্শককে মোহিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সাগান পুলিত্জার পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই যে পাথফাইন্ডার মহাকাশযান মঙ্গলে নেমেছিল, তার নামকরণ হয়েছে ‘কার্ল সাগান স্মারককেন্দ্র’।

[উইকিপিডিয়া অবলম্বনে]মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক ও মার্কিন মহাকাশ প্রকল্পগুলোর পুরোধা ব্যক্তিত্ব কার্ল সাগান। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক টিভি সিরিজ ‘কসমস : আ পারসোনাল ওয়েজ’-এর মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান অনুরাগীদের বৃহৎ সংগঠন ‘দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটি’র একজন সহ-উদ্যোক্তাও ছিলেন।

সাগান ১৯৩৪ সালের ৯ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকেই সাগান বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। রাতের আকাশে বিস্ময় নিয়ে তারা দেখতেন। তারার আলোর উৎস অনুসন্ধানের জন্য ব্যাকুল থাকতেন। ছেলেবেলার এই বোধই তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার প্রেরণা জোগায়। স্থানীয় একটি লাইব্রেরি তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। জানতে পারেন পৃথিবীটা একটা গ্রহ আর সূর্যের চারদিকে এমনই আরো অনেক গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। তখন তিনি ভাবলেন অন্য তারাগুলোরও নিশ্চয়ই এ রকম গ্রহমণ্ডল থাকবে। তাঁর এই চিন্তার বাস্তবায়ন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি। অতি সাম্প্রতিককালে সূর্য ছাড়াও অন্যান্য তারায় গ্রহমণ্ডল আবিষ্কৃত হচ্ছে। ১৯৫১ সালে সাগান নিউ জার্সির রাহওয়ে হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৫৫ সালে ব্যাচেলরস, ১৯৫৬ সালে মাস্টার্স এবং ১৯৬০ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞানী এইচ জি মুলারের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসাচুসেটসের স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল মানমন্দিরে কাজ করেন। বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য সাগানের ভেতরে প্রচণ্ড আবেগ ছিল। অনুধাবন করেছিলেন, কোনো একটি সভ্যতায় বেশির ভাগ মানুষের বিজ্ঞানবোধের বিচ্ছিন্নতা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, তারা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারে না। এ কারণে ধ্বংস হয়েছে আলেক্সান্দ্রিয়া, যার কারণে মানবসভ্যতা এক থেকে দেড় হাজার বছর পিছিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তাঁর রচিত ‘কসমস’ বইটি ইংরেজি ভাষায় রচিত সবচেয়ে পঠিত বিজ্ঞান বইগুলোর একটি। বইটি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে কসমসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ১৩ পর্বের টিভি সিরিজটি ৬০টি দেশের প্রায় ৫০ কোটি দর্শককে মোহিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সাগান পুলিত্জার পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই যে পাথফাইন্ডার মহাকাশযান মঙ্গলে নেমেছিল, তার নামকরণ হয়েছে ‘কার্ল সাগান স্মারককেন্দ্র’।

[উইকিপিডিয়া অবলম্বনে]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×