ছবি: হাসন রাজা
ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পুড়ে যাওয়া সেলাই মেশিন
ছবি: হাসন রাজা
গার্মেন্টস মালিকরাতো বেশ সুখেই আছেন। তাদের তিন বেলা ভাতের চিন্তা করতে হয় না, ব্যুফেতেই তাদের চলে যায় দিন, পিজ্জাতে পার হয়ে যায় রাত। তারা চিন্তা করে উচু তলার! নিম্ন মধ্যবিত্তদের কথা বাদই দিলাম। আমাদের মতো ছা পোষা নামধারী মধ্যবিত্তদেরও সাহস নেই সেই চিন্তা করার। কিন্তু যেই শ্রমিক হারভাঙ্গা খাটুনী খেটে মালিক পক্ষকে খুশি করে নাম মাত্র মাসোহারার বিনিময়ে গোটা জাতির পরিচয়কে তুলে ধরছে বিশ্বের কাছে, দেশের অর্খনীতির চাকাকে রাখছে সচল, সেই শ্রমিকের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কথা আমরা নাইবা ভাবলাম তাই বলে কি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তাটুকু্ও মিলল না এতোগুলো বছরে??!! মৃত্যুর পর আত্নীয়স্বজনের আহাজারী শুধুই নাম পরিচয় মুছে যাওয়া বেওয়ারিশ লাশের কাছে ঘোরাঘুরি হয়ে শেষ হয়ে যাবে!
নিজেকে বেওয়ারিশ লাশ মনে হচ্ছে! আমার আপনজনরা আমাকে চিনতে না পেরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আহাজারী করতে করতে। আমি লাশ হয়ে আকুল হয়ে ডাকছি! কেউ শুনতে পাচ্ছে না আমার অদৃশ্য বাড়িয়ে দেওয়া হাতের ইশারা! আমাকে রেখে যেও না
ছবি তুলেছেন, হাসন রাজা। ছবি প্রাপ্তির উৎস : প্রথম আলো

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




