somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অসম্পূর্ণ গল্প(১৩+:P:P:P:P:P)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাটা দুই মাস আগের।আমি সবে মাত্র জাহাজে জয়েন করেছি।আমার জাহাজ ফিলিপাইনের দুইটা পোর্টে ট্রেড করে।ফিলিপাইনের একটা পোর্ট বাতাঙ্গাস থেকে কার্গো নিয়ে আরেক পোর্ট ম্যনিলা তে ডিসচার্জ।এর মাঝে সময় সুযোগ হলে ম্যনিলা তে গিয়ে ঘুরাঘুরি।এমনই একদিন বাইরে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।হঠাৎ জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী এসে বলল তিনিও আমাদের সাথে যাবেন।ধরা যাক দ্বিতীয় প্রকৌশলীর নাম সাইফুল।জাহাজে কখনই জুনিয়র অফিসার সিনিয়র অফিসার দের পছন্দ করে না।আমিও তার ব্যতিক্রম নই।কিন্তু সিনিয়র মানুষ নাই বা করি কি করে।অগত্যা তাকে নিয়েই রওনা হলাম ম্যনিলার উদ্যেশ্যে।গন্তব্য ম্যনিলার একটি শপিং মল নাম রবিনসন।সাইফুল সাহেবের খায়েশ হয়েছে তার ভাগ্নির জন্যে একটি হেলিকপ্টার কিনবন।খেলনা হেলিকপ্টার।অনেক খুজে সবচেয়ে বড় টয়স্টোর এরমিতায় গিয়ে সাইফুল সাহেবের একটি হেলিকপ্টার মনে ধরল।তিনি হেলিকপ্টারের গায়ে হাত দিয়ে জিনিসটার দাম এবং ওজন বুঝার চেষ্টা করতেই একটা মেয়ে এসে আমাদের কিভাবে সাহায্য করতে পারে তা জিজ্ঞাসা করল।আমি কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলাম।কারণ যে মেয়েটি এসে কথা বলছে আমি নিশ্চিত আমাদের ঢাকার রাস্তা হলে এই মেয়েকে দেখে ট্রাফিক থেমে যেত।সাইফুল সাহেব ও মোটামুটি অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে দেখে আমি তার সাহায্যের হাত গ্রহণ করলাম।ফিলিপাইনের মেয়েগুলো চমৎকার ইংরেজি বলে ফলে কথাবার্তায় তেমন কোন অসুবিধা হয় না।সত্যি কথা বলতে এরা পোষাকে আশাকে জীবনযাত্রায় সব কিছুতেই আমেরিকাকে অনুসরণ করে।অথচ এই আমেরিকায় এদের দেশ টাকে শোষণ করে আমেরিকান পলিসি দিয়ে।একটু ভিতরের খবর দেই তা হল আপনি যদি ইউরোপিয়ান হন তবে ফিলিপাইনের অনেক সুন্দরী মেয়ে আপনার সাথে বিনা পয়সায় আপনার বেডরুমে যাবে এবং আপনার কাছে একটি সন্তান চাইবে।বিষয়টা ক্লিয়ার হল না ।তাহলে একটা উদাহরণ দেই আমাদের শিপের যে লোকাল এজেন্ট তার নাম ফারনান্দেজ।ভদ্রলোক ২৪ ঘণ্টায় জাহাজে থাকেন।রাত্রে মাঝে মাঝে তার মৃদু মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় তিনি কোন উপলক্ষ পেলেই মদ্যপানে নিজেকে নিমগ্ন করতেন।এমন একদিন তিনি মদ্যপান করছেন এবং আমরা সকলেই লক্ষ্য করছি তিনি কেমন লাল হয়ে যাচ্ছেন।এই অবস্থা দেখে আমাদের প্রধান কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি অসুস্থ?তিনি বললেন না আমার গায়ে স্প্যনিশ রক্ত তাই একটু পেটে পরলে রেডিস হয়ে যায়।তখন প্রধান জিজ্ঞাসা করলেন আপনার বাবা স্প্যনিশ তাহলে আপনারা স্পেন কেন থাকেন না।তিনি বললেন আমার বাবা এখানে এসেছিলেন এক মাসের টুরিস্ট হিসেবে।ঐ সময় আমার মা তাকে সঙ্গ দেয় যার ফল আমি,আমার বাবাকে আমি কক্ষনো দেখি নি।আমার মার কাছ থেকেই শুনেছি আমার বাবা স্প্যনিশ।আমরা যে কজন বাঙালি আছি তাঁরা নিজেদের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম।আর আমি ভাবলাম যাক বাপ এদের থেকে আমরা এখনও ভালো আছি।অন্তত পিতৃ পরিচয় মুছে যায় নি।এখন মনে হয় ব্যপার টা বুঝা গেছে।সে যাক এই দেশে সুন্দরী বা সুন্দর মানুষ বলতে আপনার নাক কে বিবাচনা করা হয়, যাদের নাক উচু তাদেরকে সুন্দর হিসেবে গণ্য করা হয়।সেই সুযোগে আমরাও কিন্তু সুন্দর কারণ আমাদের ও নাক উচু।কি বলেন?হেলিকপ্টার কেনা শেষ করে আমরা বেরিয়ে আসব এমন সময় মেয়েটি আমাদের ডেকে তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলল যদি কোন সমস্যা হয় আমাকে এই নাম্বারে ফোন করবেন।আমরা চলে এলাম।পথে আসতে আসতে সাইফুল সাহেব আমাকে বারবার মেয়েটি যে কত ভালো,মেয়েটি অতি সুন্দরী হউয়া ষত্বেও কোন অহংকার নেই এবং আমাদের বাঙালি মেয়েদের থেকে কত আপগ্রেডেট তা বলে চললেন এবং আমি নিতান্ত ভদ্র বালকের মত শুনে চললাম।তক্ষণই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম এর সঙ্গে আর বাইরে যাওয়া যাবে না।হঠাৎ একদিন কাজ করছি সাইফুল সাব এসে তার সবগুলো দাঁত বের করে দিয়ে বললেন তিন সাব আমার হেলিকপ্টারের চার্জার কাজ করছে না।আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারলাম না নতুন এত দাম দিয়ে কেনা জিনিশ নষ্ট হয়ে গেছে এটা উনি আমাকে হাসি মুখে কিভাবে বলছেন।যাই হোক এবার উনার আর্জি উনার সঙ্গে আমাকে ঐ দোকানে আবার যেতে হবে।আমি তাকে নানান ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমার অনেক কাজ আমি যেতে পারবো না।কিন্ত সাকো যেহেতু একবার নড়েছে ঠেলা সামলাবে কে?আবার সেই পণ ভেঙ্গে ছুটলাম ম্যনিলা তে।যাবার আগে অবশ্য সেই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি।যাই হোক যাবার পড়ে মেয়েটি আমাদের নতুন একটি চার্জার দিল।সেই খুশিতেই কিনা কে জানে সাইফুল সাহেব মেয়েটিকে লাঞ্চের দাওয়াত দিয়ে দিলেন।আমি তো অবাক!ও বলে রাখি ম্যনিলার প্রায় সব মেয়েই অর্থ লোভী।যদিও এ সত্য টা সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য তবে ম্যনিলার টা আমার মনে হল একটু যেন বেশি।মেয়েটি লাঞ্চ করার সময় বারবার আমার দিকে দেখছিল।দেখার অবশ্য কারণ আছে,কারণ হল এই যে আমার নাকটি সাইফুল সাহেবের নাক অপেক্ষা একটু উচু।আমি ভাবগতিক দেখে আমার বিষয় আগেই পরিষ্কার করে দিলাম যে আমি বিবাহিত কিন্তু সাইফুল সাহেব এখনো কুমার।এতে মনে হয় কাজ হল।মেয়েটি এবার আমার দিক থেকে সাইফুল সাহেবের দিকে মনোযোগ দিল এবং আমি কথাচ্ছলে সাইফুল সাহেব যে বিরাট অঙ্কের টাকা বেতন পান তা পরিষ্কার করলাম।সাইফুল সাহেব আমার দিকে এমন ভাবে তাকালেন যেন আমি তার বিরাট একটা কাজ করে দিলাম।খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা আবার যে যার গন্তব্যের দিকে পা বারালাম।এখন আর সাইফুল সাহেবের আমার দরকার হয় না।তিনি এখন একাই ম্যনিলাতে যাওয়া আসা করেন এবং মাস শেষে তার ঐ মেয়েটির পেছনে কত টাকা গচ্ছা গেছে এই আলাপ অতি দুখের সাথে বিলাপ করেন।হঠাৎ দেখি একদিন সাইফুল সাহেব কান্নাকাটি করছেন।আমি বললাম কি ব্যপার কি হয়েছে?তিনি বললেন যে এই মেয়েটির আগে একটি বয়ফ্রেন্ড ছিল,তার সাথে ওর সেক্স পর্যন্ত হয়েছে।আমি বললাম এত আর বাঙালি মেয়ে না যে বিয়ের আগে সেক্স করা যাবে না।ওঁদের কালচার টাই এরকম।আপনাকে ওর সাথে মানিয়ে নিতে হবে।আমি আরও বললাম এখনো কি ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে ওর চলাফেরা আছে।তিনি না সুচক মাথা নাড়ালেন।আমি বললাম তাহলে আর কি আপনি তো ওকে বিয়ে করছেন না,প্রেম করছেন,তো দুইটাই ঠিক আছে।আমার কথায় তিনি মনে হয় আহত হলেন এবং আমার সামনে থেকে চলে গেলেন।এখন তিনি ম্যনিলায় যান আমার ক্যডেট কে সঙ্গে নিয়ে।ক্যডেটের মাধ্যমেই জানতে পারলাম সাইফুল সাহেব মেয়েটিকে বিয়ে করার পায়তারা করছেন।জাহাজে যে কজন বাঙালি আছে তাঁরা সমানে ছি ছি করতে লাগলো।শেষ পর্যন্ত কিনা একটা স্লেচ্ছ মেয়েকে বিয়ে।তা হয় না।এবার শুরু হল সাইফুল সাহেব কে বুঝানো।যে আপনি প্রেম করছেন করছেন কিন্তু তাই বলে বিয়ে!এ যে চরম অধর্ম।একে তো মেয়ে বিধর্মী তার ওপর আবার বাপের ঠিক নেই এরকম মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জাত বলে কিছু থাকবে?রাত্রে সাইফুল সাহেব আমার কাছে এসে তার দুঃখের সব কথা গুলো শেয়ার করেন।আমিও নির্বাক শুনে যায়।মেস রুমে সাইফুল সাহেব কে নিয়ে হাসা হাসি,বিনা পয়সায় অনেক গুলো উপাধিও জুটে গেলো বেচারার।আরালে আবডালে লোকে আমার মুন্ডুপাত করতেও ছারেন না।কারন সবার ধারনা আমিই এর মুল হোতা।কিন্তু আমি সকলকে কি করে বুঝাব যে কারো ভালোবাসা অন্যের ভালো লাগায় হয় না তা আপনি থেকেই আসে।এর মাঝে হঠাৎ একদিন সাইফুল সাহেব আমাকে এসে বললেন আজ অনেক দিন পর জুম্মার নামাজ আদায় করলাম।আমি বললাম যতদূর শুনেছি ম্যনিলায় মসজিদ তো অনেক দূরে।নামাজ পড়ার জন্যে আপনি মসজিদে চলে গেলেন এতটা নামাজী তো আপনাকে দেখে আমার কোন কালেই মনে হয় নি।আসল কাহিনী টা একটু পরিষ্কার করুণ।তিনি বললেন মেয়েটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।আমি বললাম কেন?ইসলামের জন্যে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে নাকি আপনার জন্যে।তিনি বললেন আমার জন্যেই হবে।আমি বললাম আপনার জন্যে তাকে কেন ইসলাম গ্রহণ করতে হবে?আপনি কি সত্যিই তাকে বিয়ে করার পায়তারা করছেন নাকি আজকে বিয়েও করে এসেছেন।তিনি বললেন বিয়ে করেননি।ডিউটি শেষ করে এসে দেখি মেস্ রুমে মিষ্টি বিতরণী চলছে।ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মিষ্টি।খবরটা পাঁচকান হতে হতে আমাদের ক্যাপ্টেনের কাছে চলে গেলো।দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্য যাই হোক ক্যপ্তেন সাইফুল সাহেব কে অনেক বুঝিয়ে তার কাছ থেকে তার বাবার নাম্বার নিয়ে তার বাবাকে ফোন করলেন এবং সব কিছু পরিষ্কার করে বললেন।তারপরেও সাইফুল সাহেবের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।একদিন হঠাৎ আমার ফোনে অপরিচিত বাংলাদেশী নাম্বার ভেসে এলো।আমি ফোন রিচিভ করতেই অপাশ থেকে কান্না জড়ান কণ্ঠে এক মহিলা আমাকে বাবা সম্বোধন করে তার সমস্ত আর্জি পেশ করল।কিছুক্ষণ পড়ে বুঝতে পারলাম তিনি সাইফুল সাহেবের মা।তাঁর ধারনা আমি সাইফুল সাহেব কে এই পাপের কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবো।মানুষের কান্না যেন কেমন সংক্রামক ব্যধির মত খুব দ্রুতই অন্যকে প্রভাবিত করে।আমার বেলায়ও তাই হল।আমার ও কেমন যেন কান্না কান্না পেতে লাগলো।আমি তাকে কথা না দিলেও আশ্বস্ত করলাম যে আমি উনার ছেলেকে উনার ভাষায় এই অসামাজিক কাজ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করব।কিন্তু সাইফুল সাহেব কে অনেক বুঝিয়েও কোন লাভ হল না।তিনি কঠোর ভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েটিকে বিয়ে করার।আমরা সবাই হাল ছেড়ে দিয়ে বসে রইলাম।এমন সময় হঠাৎ দেশ থেকে খবর এলো সাইফুল সাহেবের বাবা মারা গেছেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে।পরের দিন সাইফুল সাহেবের ফ্লাইট।ঐদিন রাত্রে সাইফুল সাহেব আমার কেবিনে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে ঘণ্টা খানিক কাদলেন।কাদার পড়ে আমার হাতে ৩০০ বাকস গুজে দিয়ে বললেন আমার চারমেইনে কে এই টাকা টা আর একটা চিঠি আপনি দিয়ে আসবেন।আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম একি প্রেম রে বাপ!বাবা মারা গেছে যেই কারনে সেই মেয়েকেই আবার টাকা দিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে।সেদিন প্রেমের নতুন একটি দিক আমার সামনে উন্মচিত হল।পরের দিন সাইফুল সাহেব চলে যাবেন যাবার আগে মনে করিয়ে দিলেন টাকা আর চিঠির কথা।আমার ও হঠাৎ করেই মনে হল উনি তো টাকা দিয়েছেন চিঠি দেননি।একথা বলতেই উনি বললেন আপনি একটা আমার হয়ে লিখে দিন না!ঐ মুহূর্তে না বলি কি করে বললাম আচ্ছা দেবক্ষণ।উনি চলে যাবার পড়ে আমার মাথায় টেনশন চিঠি তো আর বাংলায় লিখা যাবে না।লিখতে হবে ইংরেজিতে।তাও আবার সাইফুল সাহেবের প্রেমের যে গভীরতা তা ফুটিয়ে তুলতে হবে।আর এর জন্যে সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হল কবিতা।কিন্তু যে ছেলে বাংলায় একটা ছড়া লিখতে পারে না সে লিখবে ইংরেজিতে কবিতা ভাব শালা!কিন্তু গতি কি আল্লাহ ভগবানের নাম নিয়ে লিখতে বসে গেলাম যা হল তাকে ঠিক কবিতা বলা যায় না তবে কবতে বলে চালিয়ে দেয়া যায়।ইংলিশ বিদ দের কাছে এ কবিতা গ্রামার কিংবা শব্দ চয়নে টিকবে না জানি কিন্তু একজন সাইফুল ইসলামের ভালোবাসার গভিরতা কিছুটা হলেও প্রকাশ পাবে।তাই এই কবিতা খানা আর টাকাটা নিয়ে চললাম ঐ সৌভাগ্যবান নারীটির কাছে যার কাছে জমা রয়েছে এক বাঙ্গালীর বুক ভরা ভালোবাসা।মেয়েটির সামনে এসে দারাতেই মেয়েটি আমাকে একটা জায়গায় বসতে বলল।আমিও ধৈর্য ধরে বসে রইলাম।মেয়েটি ডিউটি শেষ করে এসে আমাকে নিয়ে ওঁদের একটি জায়গা আছে বে-অয়াক নামে পরিচিত ঐ জায়গায় দার করাল।আমি চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম।সে এখন তাঁর কথার তীর আমার দিকে নিক্ষেপ করা শুরু করল।সাইফুল একটা লোফার,বদ লক,এইসব ই তাঁর কথার মর্মার্থ।আমি নিরুপায় হয়ে সব কিছু শুনে চললাম।তাঁর কথা শেষ হলে আমি তাকে সাইফুল সাহেবের দেয়া টাকা আর চিঠি টা তাকে দিয়ে বললাম এটা যাবার সময় সাইফুল শাহেব আপনাকে দিতে বলেছে।সে টাকা এবং চিঠিটা নিয়ে চিঠি টি পরতে আরম্ভ করল।আমি দাড়িয়ে থাকব না থাকব না এই ভাবতে ভাবতে হঠাৎ হাটা শুরু করলাম।পাশেই সাউথ চায়না সি ,রক্তিম আভার সূর্যটা একটু পড়েই খসে পরবে এই সমুদ্রে।একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি মেয়েটি আমার গমন পথের দিকে তাকিয়ে আছে।তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি তাঁর কপলের কাছে এক এক বিন্দু সূর্যের আলো চকমক করছে।এই সুন্দর দৃশ্য এক বারের বেশি দুইবার দেখলে খবর আছে।তাই রিস্ক না নিয়ে আমি ধীর পায়ে আমার গন্তব্যে রওনা হলাম।পিছনে পরে রইলো ম্যনিলা,একটি কান্না বেদনাগ্রস্থ মুখ আর সাইফুলের ভালোবাসা। আমার সাথে থাকলো সাইফুলের চিঠির কথামালা...।

I didn’t know what is love
I didn’t know how it feels
But once I found u Ermita
I wanted to tell u Mahal kita (tagalogue language means I love u)

I don’t know what r u expecting of me
I don’t know what u think?
I don’t know how I got this way
I don’t know in ur love how I sink?

When u come in front of me
I can’t say anything,
But now I have some clarity
To show u what I mean.

I don’t know how I’ll find u
I don’t know who to trust
I don’t know whether I’ll get u or not
I don’t know why my heart always burst?

When u try to ignore me
I have become so numb
And when u laugh at me
I have become so dumb.

I don’t know how to express
I don’t know how to tell?
I don’t know how to convince u
I don’t know how u feel?
Whatever things u gave to me
I ll never forget this
Cause inside I realize
U r my everything.

I don’t know what forward instore for me
I don’t know how to reach?
I don’t know what u think to me
I don’t know why I always miss?

When u told me that u love me
I have become so nervous
And feeling something real
That u r my curse.

And now I know what is love
Now I know how it feels
So if I found u Ermita
This time I’ll tell u Mahal kita.
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×