somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বহির্জাগতিক সত্ত্বাদের সন্ধানে…!! [পর্ব-১]]

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৮৪৭ সাল।

স্পেনের ব্যনজোস নামক গ্রামে, ঠিক বিকেলের দিকে। ফসল কাঁটার মৌসুমে ক্ষেতের চাষিরা কাজ করছিল। ঠিক সেই সময়ে অকস্মাৎ পাহাড়ের গুহা থেকে বেড়িয়ে এলো দুটি বাচ্চা ছেলে-মেয়ে। ক্ষেত পেড়িয়ে সোজা আহাররত কয়েকজন চাষির পাশে দাঁড়াল বাচ্চা দুটো। চোখ তুলে ছেলে-মেয়ে দু’টোর দিকে তাকানোমাত্র রুটি ও মদের গ্লাস পড়ে যাবার উপক্রম হল চাষীদের !!

কি বিস্ময়! বাচ্চা দুটোর গায়ের রং সবুজ বর্ণের। রীতিমত চাষিদের সামনে কথা বলা শুরু করলো বাচ্চাদুটো। কিন্তু তাদের ভাষা কোনভাবেই বোধগম্য হলনা তাদের। কোথা থেকে এলো ওরা…??

দেখতে দেখতে গ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লো এই অদ্ভুত শিশুদ্বয়ের খবর! ঘটনা শুনে ছুটে এলো বার্সলনার গির্জার পাদ্রি মহাদয়। হায়!হায়! এতো দেখি একেবারে সত্যি! ব্যাপারটি সঙ্গে-সঙ্গে ডাইরিতে লিখে ফেললেন পাদ্রিটি-“ঈশ্বরের মহিমা বড়ই রহস্যময়”

অনেক তদন্তের পর উক্ত ঘটনাটির বর্ণনা দিয়েছেন ম্যাকলিন- ভয়ার্থ ছেলেমেয়ে দুটিকে ম্যাজিষ্টেড়ের কাছে নিয়ে আসা হল। ছেলেটার সবুজ বর্ণের বিস্ময়কর হাত নিজের হাতের উপর রেখে ভালভাবে পরিক্ষা করলেন তিনি। না এটি মোটেও কোন রং নয়-যা সন্দেহ করেছিলেন তিনি!! অর্থাৎ বাচ্চাদুটোর গায়ে কোন ফেক বা মেকী রং মাখানো হয়নি। ওদের মুখের আদল অনেকটা নিগ্রোদের মতো। চোখের আকৃতি বাদামের ন্যায়। গভীর অক্ষিকোটর!! ৫দিন কিছুই মুখে নিলনা অদ্ভুত ছেলে-মেয়ে দুটো। ক্ষুধা সবচেয়ে কাহিল করলো ছেলেটাকে। ফলে অবশেষে কিছুদিন পর মারা পড়ল সে। কিন্তু মেয়েটি বীন খওয়ার পর থেকে অন্যান্য খাবারের প্রতিও ঝুঁকে পড়লো; ফলে বেঁচে গেলো সে।

মাজিট্রেড সাহেব নিজের বাড়িতেই রেখে দিলো তাকে। কয়েক মাস পর কিছু স্প্যানিশ ভাষাও রপ্ত করলো সে। মেয়েটির কথায় যতদূর বোঝাগেল নক্ষত্রের আলোকশুন্য কোন এক গ্রহ থেকে এসেছে সে। সেখানে দিন-রাত বলে কিছুই নেই। সর্বদা আবছা আলো বিরাজমান থাকে। কি করে আমাদের পৃথিবীতে এসেছে এই প্রস্নের জবাবে মেয়েটি উত্তর দিলো- “হটাৎ একটা বিকট শব্দ শুনতে পায় সে ও তার ভাই। অতঃপর তারা তাদের ঐ গুহার ভিতরে নিজেদের আবিষ্কার করে।”

পরিশেষে ম্যাকলিন বলেন-“পাঁচ বছর বেঁচে ছিল মেয়েটা, তারপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। অতঃপর তাকেও তাঁর ভাইয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয় তাকে।”

এমনই একটি অদ্ভুত ও রোমাঞ্চকর খবর প্রকাশিত হয়েছিল ‘Gift’ ম্যাগাজিনে ১৯৬৬ সালে। আর্টিকেলটি লিখেছিলেন প্রখ্যাত উপন্যাসিক ‘জন ম্যাকলিন’।

লেখক পিঁটার কলস্যামও তাঁর লিখা ‘Not of this World’-বইয়ে ওই সবুজ ছেলে-মেয়ে দুটোর ঘটনা উল্লেখ করে বলেন-‘আমাদের পৃথিবীর নিকটবর্তী কোন ফোর্থ-ডাইমেনশনাল পৃথিবী থেকে ইন্টারডাইমেনশনাল-ডোর দিয়েই বোধহয় ছেলে-মেয়ে দুটো আমাদের পৃথিবীতে এসেছিল।’

যাইহোক- ইন্টারডাইমেনশনাল-ডোর দিয়েই আসুক কিংবা ইন্টারডাইমেনশনাল উইন্ডো দিয়েই আসুক, এমন অদ্ভুত ঘটনায় মানুষ আস্থাশীল হবার কথা নয়। অন্ততপক্ষে কোন বিজ্ঞান-মনস্ক মস্তিষ্কে এমন ঘটনা কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হবেনা। কেননা, ঘটনাটি যদি সত্যিই হয়ে থাকে তবে ওরা কবরে কেন? ওদেরেতো মিউজয়ামে থাকবার কথা ছিল।

এই ধরণের ভ্রান্তিময় খবরের কারনেই মুলতঃ ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ আস্থাহীনতায় ভোগেন এবং এই ধরণের ঘটনা যুক্তিপূর্ণ মগজে হাসির খোরাক যোগায়…!!

ভিন গ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিজ্ঞান আস্থাশীল কিনা সেটি আলোচনা করবার পূর্বে আমরা ‘Unidentified Flying Object’ (ইউ,এফ,ও)কিংবা এলিয়ান সংক্রান্ত আরও কিছু জনপ্রিয় ঘটনাসমূহ আলোকপাত করতে চাই, কেননা সত্য কিংবা গুজব যাইহোক, আধুনিক বিজ্ঞানমহল পূর্বের ন্যায় হাস্যরসের পরিবর্তে এমন সব ঘটনাসমূহকে আজ নতুন করে আমলে নেয়া শুরু করেছে। বিজ্ঞান যতই উৎকর্ষতার আরও এক ধাপ উচ্চতায় আরোহণ করছে, বহির্জাগতিক স্বত্বা কিংবা জীবনময় জগত সম্বন্ধে ততই বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ উন্মোচিত হওয়া শুরু করেছে- যদিও আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগেও ভিন-গ্রহের জীবন সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞান-মহল উদাসীন মনোভাবাপন্নই ছিলেন।


যাইহোক- চলুন এবার আমরা ঘুরে আসি ১৯৫৪ সালের ১লা ডিসেম্বরের এক বিস্ময়কর ঘটনাতে!!

অ্যারিজোনার মরু অঞ্চলে জীপ চালিয়ে ইউরেনিয়ামের অনুসন্ধান করছিলেন ডঃম্যান ও তার বন্ধু অস্কার। তাদের সঙ্গে গাইগার কাউন্টার ছিল। ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব টের পেলে কাঁটা ঘুরিয়ে ইঙ্গিত দেবে যন্ত্রটি।

ইউকা ও এ্যালামোর রাস্তার মাঝামাঝি আসতেই, অকস্মাৎ নিশ্চল-বিকল হয়ে পড়লো তাদের গাড়িটি; অবাক কাণ্ড! এমন হটাৎই অকারণে কেন যে বন্ধ হয়ে গেল তাদের গাড়িটি; কিছুতেই বোধগম্য হলনা তাদের?? শীতকালে কণকণে ঠাণ্ডা। তথাপিয় গাড়ির হিটারের উষ্ণতায় বেশ আরামেই ছিলেন তারা। রাত পেড়িয়ে সবে ভোর হতে যাচ্ছে। পূর্বের আকাশে আলোর আভা। আলো আর একটু পরিষ্কার হলেই দেখা যাবে কোন রোগে আক্রান্ত হল তাদের জীপ?

তারা যখন প্রভাতের অপেক্ষা করছিল ঠিক এমন সময় কানে এলো এক বিকট আওয়াজ। আওয়াজ শুনে মনে হল যেন অনেক গুলো B-36 বোমারু বিমান একসাথে উড়ে যাচ্ছে। তারপর হটাৎ করেই আবার থেমে গেল শব্দটি। এইবার শব্দ-সৃষ্টিকারীদের দেখে ফেললেন ডঃ-ম্যানের বন্ধু অস্কার! আঙ্গুল তুলে বন্ধুকে ইশারা করল-‘ডঃ ম্যান, ঐ দেখ ফ্লাইং-সসার।’ এই অদ্ভুত অযাচিত ঘটনাদৃষ্টে, বিস্ময়ে অভিভূত-শিহরিত হয়ে উঠলো তাদের চিত্ত!!

লাল-হলুদ-নীল ও সবুজ রঙের আলোকিত উড়ন্ত যানটি যখন অবলোকন করছিল তারা, তখন সময় ভোর পাঁচটা পনের।

হটাৎ কিছু একটা পরিবর্তন অনুভব করল করলো তারা। শীত-শীত ভাব একেবারে নেই। আবহাওয়া একেবারে উষ্ণ মনে হল! উত্তেজিত হয়ে উঠলেন ডঃ ম্যান! মনে হয় যেন তাদের উপর ম্যাগনেটিভ প্রভাব বিস্তার করেছে এলিয়ানরা। তাদের মনে হল তারা যেন কথা বলতে পারবেন ওই অজ্ঞাত ভীনগ্রহিদের সাথে।

ভীনগ্রহিদের সাথে কথা বলার সুযোগ পেলে কি বলা যায় দ্রুত আলোচনা করতে লাগলেন তারা। ঠিক করলেন ওদের সামাজিক জীবনসহ কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য জিজ্ঞেস করবেন।

সসারটির দিকে তাকিয়ে ভীত-বিহিলিত আর কিছুটা কৌতূহলোদ্দীপক চিত্তে অপেক্ষা করতে লাগলেন তারা, কিন্তু কি করবেন কিংবা কি করে কথা বলবেন ওই ভীনগ্রহিদের সাথে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা তারা?? নিচেই তো নামছেনা সসারটি। এই অস্কার! টেলিপ্যাথির সাহায্য নিলে কেমন হয় বললেন ডঃম্যান।

একথা বলতেই অস্কারের কণ্ঠস্বর শুনে ভয়ে আঁতকে উঠলেন ডঃম্যান। অস্কার এক অস্বাভাবিক কণ্ঠে বন্ধু ডঃম্যানকে প্রশ্ন করলেন :-“এতো ভাবছ কেন? আমাকে জিজ্ঞেস কর, সব প্রস্নের উত্তর পেয়ে যাবে।”

কথা শুনে ডঃম্যান ভীত-বিম্ভ হয়ে গেলেন, তার মনে হল অস্কারের মস্তিষ্ক বুঝি ঐ ভিনগ্রহের প্রাণীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। হয়ত কোন অজ্ঞাত উপায়ে তার মস্তিষ্কের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে এলিয়ানরা।

ডঃ ম্যান ভীত-বিহলিত কণ্ঠে অস্কারকে প্রস্ন করা শুরু করলেন-

প্রথমে জিজ্ঞেস করলেন-কোথা থেকে এসেছে তারা(অর্থাৎ ঐ ভিনগ্রহিরা)??

অস্কার- ‘আমাদের নিকটবর্তী আরেকটি গ্যালাক্সি থেকে নাকি এসেছে ওরা’ (খুব সম্ভবত অ্যান্ড্রোমিডা)। সেখানে নাকি পৃথিবীর মতো প্রাণের বসবাস উপযুক্ত একটি গ্রহ আছে, অক্সিজেনও আছে প্রচুর।”

ডঃম্যান- ‘মানুষের মতোই কি দেখতে তারা?’

অস্কার-‘ উত্তরটা নাকি বলতে চাইছেননা এলিয়ানরা। কিছু বিধি-বিধান নাকি ওদের মেনে চলতে হয়। পুরো মহাবিশ্বব্যাপী চলে এই একক শাশ্বত বিধান। আমরা মা্নুষ ব্যতীত অন্য সব গ্রহের প্রাণীই নাকি সেই আইন-কানুনসমূহ মেনে চলে।’

আমরা জানিনা, সত্যিই এমন কোন ঘটনা ঘটেছিল কিনা? নাকি জনপ্রিয়তার লোভে ডঃম্যান ও তার বন্ধু অস্কার এমন মনগড়া গল্প বানিয়েছিল?? যদি ঘটনা সত্যি হয়- তবে কি সেই বিশ্বব্যাপী বিধান?? কার বিঁধান মেনে চলে ওরা?? আবার আমরা মানবজাতি ছাড়া নাকি মহাবিশ্বের সকলেই নাকি ওই ইউনিভার্সাল বা চিরন্তন বিধান মেনে চলে!! তাহলে কি সেই চিরন্তন শাশ্বত বিধান…?? আবার সেই বিধানকর্তাই বা কে-যার একক আইন-বিধান পুরো মহাকাশমণ্ডলীতে প্রতিষ্ঠিত??

তাহলে ওরা কি কোন মহাজাগতিক সত্ত্বা বা কোন একক সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী কোন সত্ত্বার একক বিঁধান মেনে চলে…?? কিংবা আমাদের মতো তাদের নিকটও কি কোন প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হয়…??

কুরআন এবং বাইবেল দ্ব্যার্থহীন ভাবে দাবী করে- “তুমি কি জাননা যে, মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর শাসনক্ষমতা ও কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ্‌র??” আর “আল্লাহ্‌ই মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতার [৫:৪০/৯:১১৬]।

“ঈশ্বরই একমাত্র আইন প্রনেতা ও বিচারক, তিনিই রক্ষা করেন, তিনিই ধ্বংস করেন”-[নিউ টেস্টামেন্ট-জেমসঃ-৪:১২]।

তবে এই বিষয়টিই অবগত করানোর জন্যই কি মহান স্রষ্টা আমাদের সতর্ক করে বলেছেন-“তোমরা কি চাও আল্লাহ্‌র বিধান ছাড়া অন্য কারও বিধান, অথচ পৃথিবী ও মহাবিশ্বের প্রত্যেকেই কেবল তারই কাছে আত্মসমর্পণ করে তারই বিধানের আনুগত্যে প্রতিশ্রুতিশীল-হোক সে তার ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়”- (৩:৮৩)।

তবে কি–“শাসন ও কর্তৃত্বে তার কোন অংশীদার নেই?”-[১৮:২৬]

তবে কি “আইন প্রণয়নের অধিকার একমাত্র আল্লাহ্‌র”-(১২:৪০)?

তবে কি মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টি এই নীতি মেনে চলে যে-“সৃষ্টি যার-বিধানও চলবে তার”-[৭:৫৪]।

তবে কি ভিন গ্রহের প্রাণীদের তথ্য অনুসারে আমরা মানবজাতি একটি বিশ্বজনীন শাশ্বত বিধান লঙ্ঘন করে থাকি-সে অর্থে সত্যিই কি আমরা মানবজাতিই আমাদের প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ, যেমনটি আল-কুরানেও বলা হয়েছে??!!

“নিশ্চই আল্লাহ্‌ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেনা”- (২:২৪৩)।

“মানুষের বিনাশ হোক! সে তো তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ”-(৮০:১৭)।

শাশ্বত বিধান একমাত্র সেটিই; যেই বিধান অনুসারে সারা মহাবিশ্ব পরিচালিত হয়- যেই বিধান পুরো মহাবিশ্বের জীব-জগত মেনে চলে। এই ২০০ বিলিয়ন আলোকবর্ষব্যাপী এই অসীম সুবিশাল মহাবিশ্বের একটি তুচ্ছ বিছিন্ন গ্রহের বিধি-বিধানকে শাশ্বত বলা যায়না। আর সূরা ফাতেহার প্রথম লাইনইতো এই যে “সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রভু আল্লাহ্‌র”-আজ থেকে কয়েকশত বছর পূর্বে এমনকি কুরআন নাজিল হবার পরও মুসলিম কিংবা অমুসলিম জগতের মানব বাস্তবিকই এই ‘জগতসমূহ’ সম্বন্ধে কোন ধারণা রাখতো না। মুসলমানরা শুধুমাত্র উক্ত আয়াতের উপর বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ জানা না থাকলেও এতে বিশ্বাস এনেছিল।

যাইহোক, ঘটনাটির প্রাসঙ্গিকতায় ফিরে আসা যাক।

ডঃম্যান একের পর এক প্রস্ন করছে আর উত্তরে-অস্কার ভীনগ্রহিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়েই চলেছে…

“ঐ এলিয়ানরা নাকি কয়েকটি গ্রহের সম্মিলিত গবেষণায় নির্মাণ করেছে ‘আরোরা বিজ্ঞান’ নামক একটি সিঙ্গুলার বা ইউনিভার্শাল প্রতিষ্ঠান। ব্যাপারটা হল ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল আর ইলেকট্রিক চার্জের ভারসাম্যের প্রতিক্রিয়া বা ফলাফল। আর এর ফলেই নাকি সম্ভব হয়েছে গ্রহ থেকে গ্রহাত্তরে ঘুরে বেড়ানোর ক্ষমতা।”

ওরা পৃথিবীতে নাকি এসেছে নিউক্লিয়ার ফুয়েল সংগ্রহ করবার জন্য। ওদের জেনারেটার মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরের খনিজ পদার্থ ও নিউক্লিয়ার-ফুয়েল সংগ্রহ করা যায়। সেই সাথে নাকি ওরা আমাদের পৃথিবীতে একটি সমীক্ষাও চালাচ্ছে যে-আমাদের ভূমিতে ইউরোনিয়াম কিংবা থেরিয়াম আছে কিনা??! এভাবেই কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য আদান-প্রদানের পর আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলো অস্কার।

বোকার মতো তাকাতে থাকলো ডঃ ম্যানের প্রতি! যেন সবেমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠলো সে। ভিনগ্রহের ভূতের ভর থেকে প্রভাবমুক্ত হল সে।

তখনও মাথার উপর গর্জন করে চলছে ফ্লাইংসসারের জেনারেটর। হটাৎ থেমে গেল আওয়াজ। বোধহয় ফুয়েল নেয়া শেষ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আলোর গতির ন্যায় নিমেষেই যেন দূর আকাশে অদৃশ্য হয়ে গেল ইউ.এফ.ও-টি…!!

বিজ্ঞ পাঠক!! আমি কোন বিজ্ঞানীর ন্যায় দাবি করছিনা যে এই ঘটনা ১০০% সত্য। ইউ.এফ.ও সংক্রান্ত বেশীরভাগ ঘটনাই যে অতিরঞ্জিত তা আমারও অজানা নয়। তবে আপনি জানেন কি আজকের বিজ্ঞানমহল এসব ঘটনাকে উদারচিত্তে গ্রহণ করা শুরু করেছে এবং বিজ্ঞান-বিশুদ্ধ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আজকের প্রায় সকল বিজ্ঞানীই বহির্জাগতিক প্রাণীদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারই সংশয়হীন।

এসব অসংখ্য ঘটনার মাঝে সব ঘটনা ফেলনা হতে পারেনা। পূর্বের ন্যায় এখনকার বিজ্ঞান-মহলের একটি বড় অংশ অনিচ্ছা থাকা শর্তেও বিষয়টি এড়িয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করছে-কেননা বিগত ১০০ বছরেই এর হাজারও তথ্য-প্রমাণ আজ বিজ্ঞানীদের সংগ্রহশালায় বিদ্যমান।

তাই বিজ্ঞ-পাঠক দ্বয়েকে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই প্রবন্ধটি আলোকপাত করবার জন্য বিনীত আহবান জানাচ্ছি! কেননা আজকের বিজ্ঞান মহল জীনকে আবিষ্কার করতে না পারলেও পবিত্র-কুরআন কিন্তু ঠিকই জীনের অস্তিত্বকে দাবী করে।

বিগত কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীমহল ভীনগ্রহে বুদ্ধিমান সত্ত্বাদের (Intalegence ET) সাথে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে গবেষণা করে যাচ্ছে । উক্ত বিষয়ে প্রতিটি মুহূর্তে চলছে ব্ল্যাকলের ইভেনহরাইজন এরিয়ার মাধ্যমে কিংবা ওয়ার্মহোলের সর্টকার্ট সুড়ঙ্গ পথ দ্বারা ভিনজগতে প্রবেশের তাত্ত্বিক কনসেপ্টসহ, ফোর্থ-ডাইমেনশন, ফিফথ-ডাইমেনশন, টুইন-আর্থ, ভোরটেক্স জোন ইত্যাদি তাত্ত্বিক গবেষণা? কি করে আমরা এই বিষয়ে অনিশ্চিত হতে পারি যেখানে আমরাই প্রতিনিয়ত ভিনগ্রহিদের সন্ধানে সদা উদগ্রীব। আমরা যদি তাদের সন্ধান করতে এতোটা আগ্রহী হই তবে তারা যদি আমাদের সম্বন্ধে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে এতে এতো বিস্ময়ের কি আছে? যেখানে মেরাজের ঘটনাই কি বর্হিরজাগতিক অস্তিত্ব কিংবা ঘটনা-প্রবাহের ইঙ্গিত প্রদান করেনা…??

অতএব ইউ.এফ.ও. কিংবা ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবার পূর্বে আরও দুই-একটি আলোচিত ও সর্বজনবিদীত ঘটনার মান যাচাই করা যাক- যদিও এই বিষয়ে এই ক্ষুদে প্রবন্ধকার বড় বেশি অসহায়!!


খুববেশি আগের কথা নয়। এইতো ১৯৭৫ সালে, আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্ল্যাংকে। সময় ঠিক-ভোর সাড়ে তিনটা।

অনলাইন স্টল থেকে একটি খবরের কাগজ কিনে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল কার্লস ডায়াস নামক এক রেলকর্মী যুবক। তখনও আকাশ খুব একটা পরিষ্কার হয়নি। ভোরের আবছা অন্ধকার বিরাজ করছে। এমন সময় হটাৎ আকাশ থেকে সার্চ লাইটের তীব্র আলো ডায়াসকে পরিবেষ্টন করল। চমকে উঠল সে! তার মনে হল কি জানি এক অজানা আকর্ষণে সে মাটি থেকে ক্রমশ শূন্যে আকাশে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। সেই আলোকরশ্মিই বুঝি টেনে তুলছে তার দেহকে। অবশেষে জ্ঞান হারাল সে !!

জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে একটা গ্লোবের ভেতরে আবিষ্কার করলো ডায়াস! তীব্র গতিতে যেন শূন্যে ধাবিত হচ্ছে গ্লোবটি। সেই যানের ভিতরে তার আশেপাশে মানুষের আকৃতির ন্যায় কিছু জীবকে দেখতে পেল সে, যারা তার মাথার চুল কাটছিল । হয়তোবা আমাদের জৈবিক গবেষণার জন্য চুলের স্যাম্পল নিচ্ছিল তারা।

ওদের এই অদ্ভুত ক্রিয়া-কলাপে ভয়ে শিহরিত হয়ে উঠল তার দেহের প্রতিটি লোম-কোষ!! বাঁধা দেবার চেষ্টা করতেই আবারও অজ্ঞান।

দ্বিতীয়বার জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে একটা খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকতে দেখলো সে। সামান্য মাথা ঘুরছে! হটাৎ কি যেন মনে হতেই মাথায় হাত দিল সে। ঠিকইতো বেশ থানিকটা চুল কেটে নেয়া হয়েছে তার মাথা থেকে। বুকের রোমও কাঁটা।

প্রথমেই হাসপাতালে যাবার সিদ্ধান্ত নিল ডায়াস । ঘটনা শুনে হো হো করে হেঁসে উঠলো ডাক্তাররা। ভাবলো যুবকের মাথায় বুঝি কোন গণ্ডগোল আছে।

ডাক্তারদের এমন আচরণে ক্রোধে ফেঁটে পড়ল ডায়াস। বলল-বিশ্বাস হচ্ছেনা আমার কথা। তাহলে এই দেখুন-বাহিয়া ব্ল্যাংক বাস স্টোপেজের স্টল থেকে ভোর সাড়ে তিনটায় এই সংবাদ পত্রের কাগজটি কিনেছি আমি। এই কাগজতো এই শহরে পৌঁছাতে এখনও তিন ঘণ্টা বাঁকি। আর বাহিয়া ব্ল্যাংক থেকে প্লেনও আসেনা যে উড়ে চলে আসবো এখানে। এছাড়া এই যে দেখুন, নিজের মাথা ও বুকের চুল এভাবে কেউ কাঁটে নাকি ??!!

টনক নড়ে গেল উপস্থিত ডাক্তারদের!! তাইতো যুবকের সবগুলো যুক্তিই যেন অকাট্য!! তাই সন্দেহ সৃষ্টির অবকাশ নেই!!



চলুন, আমারা এবার একটি বিমান দুর্ঘটনা বিচার-বিশ্লষণ করি।

৭ই জানুয়ারি, ১৯৪৭ সাল। আমেরিকার কেন্টাকি। ম্যাডাসনভিল শহরে একটি পার্কের ব্রেঞ্চে কিছুটা উদাসীন চিত্তে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে একটি মেয়ে। গভীর চিন্তায় মগ্ন। অকস্মাৎ চোখে পড়ল মেঘের নিচে ভেসে উঠা এক বিশাল সিগারাকৃতির কিছু একটা। ঘটনাদৃষ্টে চিৎকার দিয়ে উঠল মেয়েটি!!

পার্কের ভেতরে সাইকেল রেস খেলছিল দুটি ছেলে। চীৎকার শুনে বিপদে পড়েছে ভেবে ছুটে এগিয়ে গেল তারা মেয়েটির সাহায্যার্থে। এসে দেখে বিস্মিত চিত্তে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটি। উপরে তাকানো মাত্র ছেলে দুটিও অবলোকন করল সেই অজ্ঞাত উড়ন্ত মহাকাশযানটি!

পার্ক থেকে বেড়িয়ে এসে জনসাধারণকে ডেকে দেখাতে শুরু করলো ওই আজব দৃশ্য! লোকজনের মধ্যে ছিলেন ম্যাডিসন ভিলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করা মাত্রই ছুটে চললেন নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে। ষ্টেশনে এসে দূর্বীণ নিয়ে বের হতে না হতেই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেল আকাশ যানটি।

অদূরেই গডম্যান এয়ারবেস। হটাৎ দূর আকাশে অদ্ভুত লাল আভা প্রত্যক্ষ করে এয়ারবেস লিডারের নিকট রিপোর্ট করল একজন পর্যবেক্ষক। সাথে সাথে ক্যাপ্টেন ম্যানটেলকে খবর পাঠিয়ে ব্যাপারটি ইনভেস্টিগেট করবার নির্দেশ দিলেন লিডার।

আর তৎক্ষণাৎ ম্যানটেল একটি P-15 ম্যাসচ্যাং বিমান নিয়ে উঁচু আকাশে পাড়ি জমালেন-অজ্ঞাত যানটির সন্ধানে। সাথে আরও কিছু বিমান পিছু পিছু ছুটছে তার। ১৮ হাজার ফুট উপর থেকে এয়ারবেসে খবর পাঠালেন ক্যাপ্টেন-মনে হচ্ছে মেটাল নির্মিত বিশাল আকৃতির কিছু একটা দেখেতে পাচ্ছি। কিছুক্ষণ পর আবারও জানালেন আরও উপরে উঠছি আমি। ২০ হাজার ফুট উপরে উঠে গেলেন তিনি। অন্য বিমানগুলো নিচেই রয়ে গেল।

এরপর অকস্মাৎ চুপ হয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন। আর কোন সাড়াশব্দ নেই। ফিরেও আসছে না। কি হল তার?? এয়ারবেসের লোকেরা বিস্ময়ে হতবাক!

ফোর্টনক্সের টাওয়ার থেকেও টেলিফোন ও রেডিও ম্যাসেজ আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আকাশে নাকি উড়ন্ত যান দেখা যাচ্ছে। ফোর্টনক্সের কর্মীরাও দেখতে পেল তা। বিশাল আকৃতির সিগার উড়ছে আকাশে, মাথাটা লালচে।

ওটাকে ঘিরে বেশ কয়েকটা উড়ন্ত যান চক্কর দিচ্ছে। এই মাদারশিপকে দূর্বীণের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছিল সেদিন বহু উৎসাহী জনগণ।

ম্যানটেলের বিমানটিকে উক্ত মাদারশীপের অনেক কাছে চলে যেতে দেখল তারা। অতঃপর হটাৎ ঘটল এক প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ। চূর্ণ-বিচূর্ণ গেল ম্যানটেলের P-15 ম্যাসচ্যাংবিমান।

ফোর্টনক্সের অদূরে ম্যানটেলের ছিন্ন-বিছিন্ন লাশ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেল দমকল আর পুলিশ বাহিনী। তারপর এই দুর্ঘটনার রকমারি ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করল বিজ্ঞানীরা। আসল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হলনা কোন গবেষকই।

অতঃপর সরকারী রিপোর্ট ঘোষিত হল- রহস্যজনক আকাশযান সনাক্ত করা যায়নি। ক্যাপ্টেন ম্যানটেলের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ওটাই! সুতরাং ক্যাপ্টেন ম্যানটেলের দুর্ঘটনা আজও রহস্যই রয়ে গেল…!!!

এবার ঘুরে আসি ১৯৭২ সালে। পুয়েরটেরিকোর আকাশে সেই সময় U.F.O এর আনাগোনা বেশ বেড়ে গিয়েছিল। রেডিও ও টেলিভিশনে প্রায়ই প্রচার হতে থাকল- কবে, কোথায়, কোনদিকে দেখা গিয়েছে U.F.O।

তাই U.F.O দেখার জন্য অধীর হয়ে উঠলো লোকজন। গভীর রাতে মফঃস্বলের জনসাধারণ রাস্তায় ট্রাফিকজ্যাম সৃষ্টি করতে লাগল।মধ্য-পুয়েরটেরিকোর অ্যাডজুন্টাস পাহাড়ের উপরে প্রায়শই দেখা দিতে শুরু করল U.F.O গুলো। প্রায় তিন মাস একটি নিয়মিত সময়সূচী ধরে কোন এক বিশেষ প্রয়োজনে ঘনঘন আসা-যাওয়া করেছিল ওই ভীনগ্রহের বাসিন্দারা।

ফলে পিকনিকের সরঞ্জাম সমেত লোকজন দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করল পাহাড়ের আশেপাশের এলাকায়। এতোসব লোকজন ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে আসেনি সেখানে। দূর্বীণ ও টেলিফটোলেন্স ক্যামেরায় লোকজন অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকতো আকাশের পানে U.F.O দেখার প্রত্যাশায়। পৃথিবীর যত রকমের আকাশযান আছে কোনটির সাথে মিল নেই ওই অজ্ঞাত মহাকাশযানগুলির।

শুধুমাত্র রাতেই ওইসব অঞ্চলে U.F.O দেখা দেয়নি, বরং দিনের বেলাতেও এসেছে ওরা। পুয়েরটেরিকোরের উপর একদিন দিনের বেলায় মোহড়া দিচ্ছিল বেশ কিছু ছোট আকারের ইউ.এফ.ও’র দল। কাছেই ছিল একটি কারখানা ও হাসপাতাল। সেখানে দলে দলে কর্মীরা একসাথে অবলোকন করেছে ওই বিস্ময়কর দৃশ্য। ফলে এতোসব জনগনের দৃষ্টিকে একসাথে দৃষ্টিভ্রম বলার উপাই নেই।

এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আজও মাঝে মাঝেই পরিলক্ষিত হয় ওইসব অদ্ভুতযান। শত শত লোকজন দেখেছে ওগুলো। রাশিয়া, চীন, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেছে উড়ন্ত-সসার।

শুধু তাই কি? প্রেসিডেন্ট হাওয়ার, জন এফ কেনেডি, জিমি কার্টার, ডঃ ফোর্ট ওয়েল্ড হোমের মতো বিখ্যাত ব্যক্তি-গনও উড়ন্ত সসার দেখাবার দাবী করেছেন। অনেক এন্সিয়েন্ট আস্ট্রোনটরাতো এমনও দাবী করেন যে হাজার-হাজার বছর পূর্ব থেকেই নাকি বহির্জাগতিক বুদ্ধিমান প্রাণীরা আমাদের পৃথিবীতে যাতায়াত করে আসছে।


নিম্নে ইউ.এফ.ও’র আনাগোনার কিছুস্থান ও বছর উল্লেখ করা হল-

[1883-08-12 – জাকাটেকাস ,মেক্সিকো]-[1886-10-24- মারাকাইবো ,ভেনেজুয়েলা]- [1897-04-17- অরোরা ,টেক্সাস]- [1908-06-30- পডকামেনায়াটুনগুস্কানদী ,রাশিয়া]- [1917-08-13, 09-13, 10-13 – ফাতিমা ,পর্তুগাল]- [1926- হিমালয় ,নেপাল]-[1942- হোপেহ ,চীন]- [1942-02-24- লসঅ্যাঞ্জেলস ,ক্যালিফোর্নিয়া]-[1946 – স্ক্যান্ডিনেভিয়া]-[1946-05-18 – এঞ্জেলহোমমিউনিসিপালিটি ,সুইডেন]-[1947-06-21 – ওয়াশিংটন ,ইউএস।

1947-06-24-ওয়াশিংটন ,ইউএস]-[1947-07-08 – রসওয়েল ,ইউএস]- [1947-10- ফিনিক্স ,অ্যারিজোনা]- [1948-01-07- কেন্টাকি ,ইউএস]- [1948-07-24- আলাবামা ,ইউএস]- [1948-10-01- নর্থডাকোটা ,ইউএস]- [1950-03-22- নিউমেক্সিকো ,ইউএস]- [1950-05-11- ম্যাকমিনভেল]- [1951-08-25- লুব্বক ,টেক্সাস]- [1952-07-13- ওয়াশিংটন ,ইউএস]- 1952-07-24 – নেভাডা]- [1952-09-12- ফ্লাটউডস, পশ্চিমভার্জিনিয়া]- [1953-05-21- প্রেসকট, ভার্জিনিয়া] [1953-08-12- বিসমার্ক ,ডাকোটা]- [1953-11-23- লেকসুপিরিয়র ,কানাডা]- [1955-08-21-কেন্টাকি] [1957-05-20- পূর্বআংগ্লিয়া, যুক্তরাজ্য]-

[1957-11-02- লেভেলান্ড ,টেক্সাস]-[1959- সোভিয়েতইউনিয়ন]- [1959-06-26&27- পপুয়ানিউগিনি]-[1961-09-19- নিউহ্যাম্পশায়ার]-[1964-04-24- সরক্কো ,নিউমেক্সিকো]-[1964-09-04-সিস্কোগ্রুভ ,ক্যালিফোর্নিয়া]-[

1965-12-01- সানমিগুয়েল ,আর্জেন্টিনা]-[1965-12-09- পেন্সিলভেনিয়া।

1966-01-11-ওয়ানাক ,নিউজার্সি]-[1966-04-06- ক্লেয়টন ,অস্ট্রেলিয়া]-[1966-04-17- ওহাইও ,ইউএস]-[1966-08-25- মিনোট ,ডাকোটা]-1966-10-11- এলিজাবেথ ,নিউজার্সি]-[1967-03-05- মিনোট ,ডাকোটা]-[1967-03-20-মাল্মস্ট্রম, ইউএস]-[1967-05-20- ফ্যালকনলেক ,কানাডা]-[1967-08-29- কুসাক ,ফ্রান্স]-[1967-09-01- সেন্টলুইসভ্যালি, কলোরাডো]-[1967-10-04- শ্যাগহারবার, কানাডা-[1967-12-03-অ্যাশল্যান্ড ,নেবরাস্কা]-[1969-01-01- প্রিন্সজর্জ ,কলোম্বিয়া]-[1971-09-04- অ্যারেনাল ,কোস্টারিকা]-[1973-10-11- মিসিসিপি ,ইউএস]-[1974-01-23- নর্থওয়েলসযুক্তরাজ্য]-[1975-01-12-নর্থবারজেন ,নিউজার্সি]-[1976-06-22-ক্যানারিদ্বীপপুঞ্জ, স্পেন]-[1976-09-19- তেহরান ,ইরান]-[1977-01-06- মন্ট্রিল ,কুইবেক]-[1978-05-10-এমিলসিন ,পোল্যান্ড]-[1978-10-21-ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া]-[1978-12-21- নিউজিল্যান্ড]-[1979-08-27- মিনেসোটা]-[1979-11-09- লিভিংস্টোন ,স্কটল্যান্ড]-[1979-11-11-ভ্যালেন্সিয়া ,স্পেন]-[1980-12-28-সাফফোল্ক,ইংল্যান্ড]-[1980-12-29-নিউক্যানি ,টেক্সাস]-[1986-11-17-আলাস্কা]-[1990-03-30- ওয়ালোনিয়া, বেলজিয়াম]-[1990-11-07-মন্ট্রিল ,কুইবেক]-[1991-04-21-লন্ডন ,ইংল্যান্ড]-[1991-09-15- স্পেসশাটলডিসকভারি ,মহাকাশ]-[1993-08-08- ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া]-[1996-01-20- মিনাসজেরাইস, ব্রাজিল]-[1996-12-02-স্পেসশাটলডিসকভারি ,মহাকাশ]-[1997-03-13-ফিনিক্স ,অ্যারিজোনা]-[1997-08-06- মেক্সিকোসিটি]

-[2001-03-19-স্পেসশাটলডিসকভারি ,অরবিট]-[2001-07-15-নিউজার্সি]-[2005-04-27 -ওয়াশিংটন ,ইউএস]-[2007-02-02- লন্ডন ,ইংল্যান্ড]-[2007-02-16-কালিনিনগ্রাদ, রাশিয়া]-[2007-03-03- নিউদিল্লী ,ইন্ডিয়া।

2007-03-10 –ওহাইও]-[2007-05-02- সাট্টন ,ইংল্যান্ড]-[2007-05-12 –আয়ারল্যান্ড]-[2007-05-27 –কানাডা]-[2007-05-28- বাঙ্গালোর, ইন্ডিয়া।

2007-09-25-কোডিয়াক ,আলাস্কা]-[2007-10-30 -কলকাতা ,ইন্ডিয়া]-[2007-11-08- ল্যারনাকা, সাইপ্রাস]-[2008-01-01-সানডিয়েগো]-[2008-01-08 to 2008-02-09- স্টিফেনভিল, টেক্সাস, ডাবলিন]-[2008-05 to 2008-09- ইস্তানবুল ,তুরস্ক]-[2008-06-20- যুক্তরাজ্য]-[2008-06-21- মস্কো ,রাশিয়া]-[2008-12-10 -জাগরিব, ক্রোয়েশিয়া]-[2009-05-31- কলকাতা ,ইন্ডিয়া]-[2009- নেভাডা ,মেক্সিকোসিটি]-[2009-08-16- উরাল ,রাশিয়া]-[2009-10-20- ফ্লোরিডা, ইউএস]-[2009-12-09- ফিনমার্ক, নরওয়েএবংসুইডেন]-[2010-05 to 2010-12- ইস্তানবুল ,তুরস্ক]-[2010-07-09 -হেজিয়াং, চীন]-[2010-10-13- চেলসি ,নিউইয়র্ক]-[2011-01-26- কলকাতা, পশ্চিমবাংলা]-[2011-02-20- ভ্যাঙ্কুভার।

2011-03-28- কলোরাডো]-[2011-05-16- লিসসামিট ,মিসিসিপি]-[ 26-06-2011 অর্থাৎএইমাসের২৬তারিখ-সিয়াটল, ওয়াশিংটন]-[2-5-2015-তে ডেট্রয়েটে থেকে বেইজিং থেকে বিমানের সফর যাত্রী]-[স্ক্রারবরা, অরেন্টিও,ক্যানাডা – 05-02-15] ইত্যাদি আরও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে…।



এখন প্রস্ন হল আমাদের প্রিয় পৃথিবীর জগতে প্রাণের অস্তিত্ব লাভ করার সম্ভাবনা কতটুকু??

প্রায় ১০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি সম্বলিত আমাদের এই চেনা মহাবিশ্বে কমপক্ষে কতোগুলো গ্রহ প্রাণের বাসযোগ্য এবং তন্মদ্ধে কতোগুলো জীবনময় গ্রহে বুদ্ধিমান সভ্যতার অস্তিত্ব বিকাশ লাভ করতে পারে-এই বিষয়ে বিজ্ঞানমহলে সবচেয়ে যুক্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক বিজ্ঞান বিশুদ্ধ তত্ত্ব পাওয়া যায় ড্রেকের সাড়াজাগানো সমীকরণ থেকে। সমীকরণটি হল-




ড্রেকের সমীকরণে আমাদের গ্যালাক্সিতে প্রতিবছর জন্ম নেয়া নক্ষত্রের সংখ্যাকে নক্ষত্রগুলোর মধ্যে যেগুলোতে গ্রহজগত আছে তার সংখ্যা, যেগুলোতে প্রাণের বিকাশ সম্ভব এমন গ্রহজগতের গড় সংখ্যা হিসেবে বলা হয়েছে। প্রাণের বিকাশ সম্ভব এমন গ্রহগুলোর মধ্যে সত্যিকারভাবে প্রাণের অস্তিত্বময় গ্রহগুলো উল্লেখ করা হয়েছে জীবনময় গ্রহের সংখ্যা হিসেবে। প্রাণের বিকাশ হওয়া গ্রহগুলোতে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্বময় গ্রহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুদ্ধিমান প্রাণী মহাবৈশ্বিক যোগাযোগের উপায় বের করেছে এমন গ্রহের সংখ্যা এবং ওইসব সভ্যতার গড় পড়তা আয়ুর ভগ্নাংশ দিয়ে গুন করে মহাজাগতিক সভ্যতার সংখ্যা বের করা হয়েছে। এই ফর্মুলায় R-এর মান করার মতো জ্যোর্তিবিদ্যা্গত উপাত্ত আছে। শকভস্কি ও কার্ল সাগানের মতে এখন খুব সম্ভবতঃ বছরে গড়ে দশটি নক্ষত্র গঠিত হয়। আমরা খালি চোখে শুধুমাত্র আমাদের মাতৃ গ্যালাক্সির তারকাগুলোকেই দর্শন করতে পারি এর বেশি নয়।

তবে অত্যাধুনিক উন্নত টেলিস্কোপের মাধ্যমে যে অগনিত ছায়াপথ অবলোকন করতে পারি সেই অনুসারে বেশীরভাগ বিজ্ঞানিদের মতে মহাবিশ্ব প্রায় কমপক্ষে ১০০ বিলিয়ন গালাক্সি রয়েছে এবং প্রতিটি গ্যালাক্সিতেই গড়ে অনুরূপ ১০০ বিলিয়ন বা ১০হাজার কোটি নক্ষত্র বিদ্যমান। সেই হিসেবে গুন করলে আমাদের বিশ্বজগতে কমপক্ষে ১০০০০ বিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে যার প্রত্যেকটি আবার কিছু গ্রহ উপগ্রহের সমন্বয়ে এক একটি সোলার সিস্টেম। তাহলে চিন্তা করুন এই ১০০০০ বিলিয়ন নক্ষত্রব্যবস্থায় কতোগুলি গ্রহ থাকা সম্ভব…আমাদের সৌরজগতের মত?? স্বাভাবিকভাবে প্রতিটি সোলার সিস্টেমেই অন্তত গড়ে একটি করে পৃথিবীতুল্য গ্রহ থাকে যা সূর্যের চেয়ে একটি নিরাপদ ও সূক্ষ্ম দূরত্বে পরিভ্রমণ করে যার-ফলশ্রুতিতে গ্রহটিকে জীবনময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেই হিসেবে প্রতিটি গ্যালাক্সিতেই ১০০ বিলিয়ন পৃথিবীতুল্য গ্রহ থাকা চাই- আর পুরো মহাবিশ্বের হিসেবে তো আরও ১০০ বিলিয়ন গুন বেশি। তবে সেইসব গ্রহে প্রান সঞ্চারিত হলেও যদি বুদ্ধিমান সভ্যতার উৎকর্ষতা অর্জন করতে পেরেছে এমন সংখ্যা ১-১০% এর বেশি হবার কথা নয়।

প্রক্ষান্তরে ড্রেকের এই আবেগ-বিবর্জিত সমীকরণ পরিধান করলেও পুরো মহাবিশ্বে কমপক্ষে প্রায় ১০০ বিলিয়ন পৃথিবীর অস্তিত্ব আবশ্যক যেখানে আমাদের অনুরূপ বুদ্ধিমান সত্ত্বা বিকশিত হয়েছে। বুদ্ধিমত্তায় তারা হতে পারে আমাদের চেয়ে ১০০০ বছর এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে।

আজ আমরা এই ২০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ ব্যাস সম্পন্ন প্রায় অগনিত গ্যালাক্সি অধ্যুষিত ক্রমশ সম্প্রসারণশীল এই অসীম মহাবিশ্বে আমরা অনুরূপ সংখ্যক জীবনময় পৃথিবীর আশা করলেই পারি। অন্ততপক্ষে আজকের বিজ্ঞান তাত্ত্বিকভাবে হলেও এই সপ্নে বিভোর যে যত সংখ্যক গগনমণ্ডল তত সংখ্যক জীবনময় পৃথিবী। তাহলে কুরআন কি বলে…??

-সাক্ষ্য দেয় কুরআন- “আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য ছায়াপথ(গ্যালাক্সি)ও অনুরূপ সংখ্যক অগনিত পৃথিবী। এবং তাদের প্রতিও আল্লাহ্‌র ওহী নাজিল হয়।”

এখানে জগতসমুহ বা নভমণ্ডলীসমূহ বলতে কুরআন এখানে যে ‘সামাওয়াত’ ব্যবহার করেছেন তা নিশ্চিতভাবে গ্যালাক্সিগুলোকে নির্দেশ করে। অনেক বন্ধ্যা আলেম যারা বিজ্ঞান সম্বন্ধেতো কোন জ্ঞানই রাখেনা-এবং কুরআন সম্বন্ধেও না। তাদের মধ্যে একদল বিকৃত বাইবেলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সামায়া বলতে সাত আসমানের বিজ্ঞান বিবির্জিত ধারণা পোষণ করেন। আবার অপরপক্ষে ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকরের দোষে’-দুষ্টগণ স্টিফেন হকিনের ভুল প্রমাণ হওয়া একটি থিওরি যা বর্তমানে হকিং নিজেও স্বীকার করেছেন- সেই রদ হওয়া ‘বিগ-ক্রাঞ্চ’ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সাত মহাবিশ্ব বা সাত আসমানের অনুবাদ করেন। অথচ তাদের এই বেসিক তথ্যটিও জানা নেই যে আরবগণ সামায়া বলতে অসংখ্য বুঝতেন।

মেটা-ইউনিভার্স -এর কনসেপ্ট সঠিক নয়। কিছু চরম্পন্থি বিজ্ঞানী বাইবেলের ৭ আসমানের ধারণা প্রমাণ করার জন্য এই ভুল তত্ত্বের গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন, যা কোন স্বীকৃত বিজ্ঞানই এর স্বীকৃতি প্রদান করেননি। বরং এটা নিয়ে বিজ্ঞানমহল বাদই দিলাম-পশ্চিমাদের কলেজ লেভেলের ছাত্ররাও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে।

অতএব জগতসমুহ বলতে এখানে অগনিত ছায়াপথই হল সঠিক অর্থ। বর্তমানে অনেক অনুবাদকই এই ভুল শুধরে নিয়েছেন। নূরানির নতুন গবেষণামূলক কুরআনেও সামায়াত বলতে অগনিত আকাশ বা জগতসমুহ, নক্ষত্রমণ্ডলী, গ্যালাক্সি অর্থে অনুবাদ করেছেন। এখানে জগতসমুহ বা নক্ষত্র বা আকাশমণ্ডলীইসমূহই বিশুদ্ধ অর্থ।

কারণ আমরা যে জগতে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে গালাক্সি, যা অগনিত নক্ষত্রমণ্ডলী ও গ্রহ, উপগ্রহ ও পৃথিবীসমূহের সমষ্টি। আমরা খোলা চোখে আকাশ বলতে যতদূর দেখতে পাই তা আমাদের গ্যালাক্সির নক্ষত্র বা তাঁরাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, আর আমরা এই গ্যালাক্সিরই বাসিন্দা- যা মহাশূন্যের এর বিশাল শুন্য এলাকায় অন্যান্য গ্যালাক্সির নিকট থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। আর এমন অসংখ্য গ্যালাক্সি অধ্যুষিত এই অসীম ব্যাপ্তিকেই আমরা মহাবিশ্ব বলি- যা একটা নাম মাত্র। এখানে আসল আকাশমণ্ডলী বা জগতসমুহ হল এক একটি গ্যালাক্সি।

সাতটি মহাবিশ্ব বা ভিন্নমতে সাত (সম্বন্ধে আলেমগণ নিজেরাও অবগত নয়) আসমানের ধারণা যেমন কুরআনের সাথে যেমন সংঘাত সৃষ্টি করে তেমন বিজ্ঞানের সাথেও। কারণ অসংখ্য ছায়াপথ মিলেই একটি মহাবিশ্ব আর কুরআনের আয়াত যেমন মের বিশ্বকে অসীম ও সম্প্রসারণশীল বলে- বিজ্ঞানও আজ তাই প্রমাণ করেছে। আর মহাবিশ্ব যদি সত্যিই অসীম হয়ে থাকে তাহলে সেখানে একাধিক মহাবিশ্বের ধারণা অসার। এখানে অগনিত মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য একদিকে যেমন আমাদের চেনা মহাবিশ্বকে সসীম হতে হবে- অনুরূপভাবে এর প্রসারণের গতিও থামাতে হবে-যা কুরআনের “এক্সপেন্ডিং ইউনিভার্স’’ বিরুদ্ধে যাচ্ছে আবার বিজ্ঞানেরও বিরুদ্ধে।

অতএব জগতসমুহ বলতে এখানে নিশ্চিতভাবে ছায়াপথ বুঝতে হবে- আর এই জগতসমুহই হল পারফেক্ট অর্থ। আর আমাদের নিজ নিজ জগত হল আমাদের মাতৃ ছায়াপথ।

কে ভেবেছিল সেই সপ্তম শতাব্দীতে যেখানে মানবজাতির তাদের স্বীয় মাদার-সোলার সিস্টেম সম্পন্ধে কোন জ্ঞানই রাখতনা, কিংবা পৃথিবীর সীমারেখার গণ্ডির বাহিরে ভাববার ছিলনা কোন সাহস; প্রায় ১০০ বিলিয়ন অসংখ্য গ্যালাক্সি বা পৃথিবীসমূহ তো অনেক দূরের কথা; যখন মানুষ স্থির-সমতল পৃথিবীর ধারণা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিল-ঠিক সেই অজ্ঞানতার যুগে হাবল টেলিস্কোপের আশ্রয় ব্যাতীরেখেই মরুভূমির এক নিরক্ষর মানুষ যিনি লিখতে পর্যন্ত জানতেন না, তিনি বিংশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কৃত অগনিত পৃথিবী ও ছায়াপথের দাবী করে বসলেন। বিস্ময়!!

সেই নবম শতাব্দীতে যখন মুসলিম চিন্তাশীলরা তরতর করে জ্ঞানবিজ্ঞানে পৃথিবীর সকল জাতির চেয়ে উৎকর্ষতার চরম শিখরে উন্নীত হচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে কিছু বন্ধ্যা আলেম মুতাজিলা বিজ্ঞানীগণ কিংবা ইমাম গাজ্জালির মতো অন্যান্য চিন্তাশীলদের উপর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই ফাদার এডভান্স বন্ধ্যারা পশ্চিমা সমস্যার প্রভাবে আন্দোলিত হয়ে আতঙ্কিত হয়ে ভাবতে শুরু করলেন যে বিজ্ঞান আবার বাইবেলের ন্যায় কুরআনকে না আক্রমণ করে বসে। অথচ তারা ভুলে গিয়েছিল যে আল্লাহ্‌ পাক আমাদের পুরো কুরআন জুড়ে সৃষ্টি-জগত সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা গবেষণা করবার তাগিত দিয়েছেন। যাতে করে মানুষ বিজ্ঞানময় কুরআনকে ভালভাবে বুঝতে পারে। এবং কুরআনে বারবার বলা হয়েছে চিন্তাশিল আলেমদের জন্যই আছে নিদর্শন। সেই সময়ের চিন্তাশীলতার মাঝে যদি আলেমসমাজ বাঁধ না সাঁজত তবে মুসলমান বিজ্ঞানীরাই আজ বিগ-বাঙ্ক, এক্সপেন্ডিং ইউনিভার্স জাতীয় তত্ত্বের আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক হতে পারতো।




যাইহোক, এখন প্রশ্ন হল- অসংখ্য বা অগনিত পৃথিবী কেন??

আমরা জানি- কয়েকটি গ্রহ-উপগ্রহ মিলে একটি নক্ষত্রমণ্ডলী কাজ করে যাকে আমরা সোলার সিস্টেম বলি। আর এই সোলার সিস্টেমে যে গ্রহটি উক্ত নক্ষত্রের এমন এক পরিমিত দূরত্বে পরিভ্রমণ করে যেখানে গ্রহটিকে সূর্যটি প্রাণ সৃষ্টি করবার ও টিকিয়ে রাখবার অনুমতি প্রদান করে। আর এই প্রাণী লালন-পালনের যোগ্যতা সম্পন্ন গ্রহটিকেই আমরা পৃথিবী নামে অভিহিত করি। আর এখানেই সাধারণ গ্রহ ও পৃথিবীর মধ্যে পার্থক্য। এবং স্রষ্টাও কুরআনে পৃথিবী বলতে আমাদের এই প্রাণ বসবাসের উপযোগী জিবনময় গ্রহকেই বুঝিয়েছেন। এবং পৃথিবীকে মহান আল্লাহ্‌ আল-কুরানে একটি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। যার কারণে যতবারই মহাবিশ্ব-এর কথা এসেছে ততবারই মহান আল্লাহ্‌ পৃথিবীর কথাটি আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন। যেখানে এর কোন প্রয়োজনই ছিলনা। কেননা পৃথিবী এই মহাবিশ্বেরই একটি বালিকনা সদৃশ একটি বিচ্ছিন্ন অংশমাত্র। আর বাস্তবতা ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে-“অসীমতার বিচারে মহাবিশ্বে আমাদের কিংবা আমাদের প্রিয় পৃথিবীর বিশেষ কোন অবস্থান নেই।”

আরও ভাববার বিষয় এই যে স্রষ্টা এখানে জগতসমুহহে যেমন ‘সামাওয়াত’ শব্দতি ব্যবহার করেছেন অনুরুপভাবে পৃথিবীর ক্ষেত্রেও একবচনের বদলে বহুবচন ‘আল-আরদ’শব্দটি ব্যবহার করেছেন যার অর্থ ‘পৃথিবীসমূহ”- “তিনিই সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য মহাকাশমণ্ডলী ও অগণিত পৃথিবী”-[৬৫:১২]।

এখানে আল্লাহ্‌ পাক অগনিত উল্লেখ না করে বললেন অগনিত পৃথিবী। কারণ পৃথিবী হল সেই গ্রহ যেখানে প্রাণী বসবাস করে। আরও ভাববার বিষয় হল যখন [৬৫:১২]-আয়াতটি এও দাবী করে যে –“তাদের প্রতিও আল্লাহ্‌র ওহী অবতীর্ণ হয়” !!! বিস্ময়!!!

তার অর্থ এই যে আল্লাহ্‌ পাক যেসব অগনিত প্রাণী বসবাসের উপযুক্ত পৃথিবীসমূহ সৃষ্টি করেছেন- সেই সব পৃথিবীর বাসিন্দাদের নিকটও আল্লাহ্‌ ওহী নাজিল করেন। এখানে আয়াতের বক্তব্য খুবই সুস্পষ্ট-এবং “ইহা সেই কিতাব যাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোন অবকাশ নেই”-(২ঃ২)।

আমাদের পৃথিবীই যদি একমাত্র প্রাণী বসবাসের উপযোগী গ্রহ হতো- তবে তো আল-কুরানে ‘আল-আরদ’ তথা পৃথিবীসমূহ বা অসংখ্য পৃথিবীর কথা উল্লেখ থাকবার কথা নয়। প্রাণী বসবাসের উপযোগী গ্রহ যদি ইউনিভার্স জুড়ে একটিই হতো সেক্ষেত্রেও এখানে পৃথিবী কিংবা বহুবচনে পৃথিবীসমূহ শব্দটি উল্লেখ থাকবার কথা নয়-কারন এখানে আল্লাহ্‌ গ্রহসমুহ বলতে পারতেন আর এটাই বিশুদ্ধ শব্দ। যা কুরআনের অন্য আয়াতসমূহে ব্যবহৃত হয়েছে।

আসল কথা হল উক্ত আয়াতসমূহে স্রষ্টা আমাদের একাধিক পৃথিবী বলতে একাধিক জীবনময় গ্রহের অস্তিত্বকেই অবহিত করতে চেয়েছেন।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই তথ্যটিই জানাতে চাইছেন যে –“তোমরাতো সামান্য মানুষমাত্র, তাদেরই মতো যাদের আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন”-[৫:১৮]। “তিনি এমন আরও সৃষ্টি করেছেন, যা তোমরা অবগত নও”- [১৬:৮]।

প্রক্ষান্তরে আমাদের পৃথিবীতেই যদি একমাত্র প্রাণ থাকতো তাহলে এতোগুলো অজস্র পৃথিবী আল্লাহ্‌ পাক কেন সৃষ্টি করলেন??

যেখানে মহান স্রষ্টা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন যে- “তিনি অনর্থক কোনকিছু সৃষ্টি করেননা”-(আল-কুরান)।

শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সোভা কিংবা আমাদের চক্ষু শীতলকারী বিনেদোনের জন্যও তো এই অসংখ্য পৃথিবী কিংবা অসংখ্য গ্যালাক্সির সৃষ্টির কোন প্রয়োজন ছিলনা । কেননা আমরা যে গ্যালাক্সিতে বসবাস করি সেই মাতৃ গ্যালাক্সিইতো আমরা পুরোপুরি খোলা চোখে দেখতে পারিনা। তাহলে এই ১০০ কিংবা ভিন্নমতে ২০০ কোটি গ্যালাক্সি কি আল্লাহ্‌ পাক ক্রিয়াচ্ছলে অর্থহীন সৃষ্টি করলেন?

উত্তর অবশ্যই না। কারণ আল্লাহ্‌র গুণাবলীর সাথে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ –“আল্লাহ্‌ কোন কিছু অর্থহীন ক্রিয়াচ্ছলে সৃষ্টি করেননা-(৩:১৯০-১৯১)।”

অন্ততপক্ষে কুরআন আমাদের এই তথ্যই প্রদান করে। কুরআন সম্বন্ধে যারা সামান্য জ্ঞানও রাখেন তারাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন নিঃসঙ্কোচে।

তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তা সত্যই যদি কোন কিছু অর্থহীন কিংবা ক্রিয়াচ্ছলে সৃষ্টি না করে থাকেন, তবে মহাবিশ্বের সর্বত্রই তিনি প্রাণের উপযোগী যেসব অসংখ্য পৃথিবীতুল্য গ্রহ সৃষ্টি করে রেখেছেন –সেখানে নিঃসন্দেহে জীবনের অস্তিত্ব থাকবে এটাই যৌক্তিক ও অর্থপূর্ণ। আর এর বাহিরে যতসব ধারণা ও সংশয় সেগুলো অর্থহীন বাতুলতা মাত্র।

বিজ্ঞান এখনও মহাবিশ্বের সর্বত্র প্রানের সন্ধান না পেলেও কুরআন সেই ৭তম শতাব্দিতে মানবজাতিকে এই তথ্য প্রদান করেছে যে-“তার(স্রষ্টার) অন্যতম নিদর্শন মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি এবং যার সর্বত্রই তিনি প্রাণীকুল ছড়িয়ে দিয়েছেন, এই সবই তার নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। আর তাদেরও আল্লাহ্‌ যখন ইচ্ছা সমবেত করতে সক্ষম”-(৪২:২৯)—“মহাবিশ্ব ও পৃথিবীতে যারা রয়েছে, তোমার প্রতিপালক তাদের ভালোভাবেই জানেন”-[১৭:৫৫]।

আবারও লক্ষ্য করুণ। এখানেও কোন একক বা সিঙ্গুলার তত্ত্বের প্রস্তাব আসেনি। বরং এই দুইয়ের সর্বত্রই, এ থেকে স্পষ্টরুপে প্রতিভাত হয় যে আমাদের পৃথিবী ছাড়াও স্রষ্টা মহাবিশ্বের সকল গ্যালাক্সির বসবাস যোগ্য সব অঞ্চলের সর্বত্রই প্রান ছড়িয়ে রেখেছেন। তাও আবার এই তথ্য নাকি মুমিনদের জন্য নিদর্শন। যদি তাই হয় তাহলে তো ভিন জগতের পৃথিবীসমূহ থেকে আসা ফ্লাইং সসার কিংবা এলিয়ানদের দর্শনের সৌভাগ্য হলে আল্লাহ্‌র শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিৎ যেহেতু আল্লাহ্‌ পাক এটিকে আমাদের জন্য নিদর্শন ঘোষনা করেছেন। তাই আপনি যদি স্রষ্টায় বিশ্বাসী হন-তবে হটাৎ অন্য কোন পৃথিবী থেকে আসা প্রাণী কিংবা তাদের উড়ন্তযান প্রত্যক্ষ করলে এটিকে দৃষ্টিভ্রম ভেবে সন্দেহ পোষণ না করে বরং সেটিকে আল্লাহ্‌র সৃষ্টির নিদর্শন মনে করে বলুন-“সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রভু আল্লাহ্‌র-যিনি আমাকে তার ভিন জগতের আগুন্তুকদের দর্শন করবার নিদর্শন ও অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন।”




[[কেন আমরা বহির্জাগতিক প্রাণীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারিনা ?? এবং-তার সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো নিয়ে প্রবন্ধটির পরবর্তী পর্বে আমরা আলোচনা করবো…শুধু তাই নয়- আপনি জেনে বিস্মিত হবেন যে- পবিত্র কুরআন অ্যান্টি-ম্যাটার বা প্যারালাল ইউনিভার্সের অস্তিত্বেরও প্রস্তাব পেশ করেছে। পরবর্তী পর্বে এই বিষয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।] অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও ইচ্ছা শর্তেও বিষয়টি এখানে তুলে ধরতে পারলামনা-কারন বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার দাবী রাখে। মূলত এই আর্টিকেলটি লিখেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। ২০০৯ এর বই মেলাতে -'সার্চ অফ দ্যা ট্রুথ' এর প্রথম পর্বে ।
উক্ত রচনাটি আমি পূর্বের "ভীন গ্রহের এলিয়ান" শিরোনাম পরিবর্তন করে "বহির্জাগতিক স্বত্বাদের সন্ধান" শিরোনামে নামকরণ করলাম। অনেক দিন থেকেই ইচ্ছা ছিল পোষ্ট করার... যা আজ সম্ভব হল...আশা করি ভালো লাগবে...আর হ্যাঁ ! বিজ্ঞান যদি আপনার আবেগের পক্ষে যায়, তার অর্থ এই নয় যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি নিছক আবেগে হাবুডুবু খাওয়া ভুল।]]
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×