কাকে কি বলে ডাকা যায় এ বিষয়ে এত বেশী ইতস্ততবোধ বাংলাদেশ বাদে অন্য কোথাও আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হয়'।
হাজারো বিড়ম্বনার এই দেশে কাকে কি নামে অথবা কি ভাবে ডাকা হবে তা সত্যই এক মহা বিড়ম্বনার ব্যাপার বটে।
তুই, আপনি, তুমি, এই, অগো, স্যার, জনাব, মাননীয়, শ্রদ্ধেয়, মহামান্য, চাচা, মামা, দাদা, খালু, ফুফা,দুলাভাই আরো কত কত যে সম্বোধন আছে বলা মুশকিল। বাংলা ভাষায় মাত্র ৫০ টি অক্ষরের মধ্যে এত বেশী এবং জটিল বিশেষন পদ রয়েছে তা ভালোভাবে বুঝতে ব্যাকরণবিদ হতে হবে বৈকি। বিশ্বে সবচে বৃহৎ দশ হাজার অক্ষরের চায়না ভাষাতেও এত এত ডাকাডাকির ব্যাপার আছে কিনা চিন্তার বিষয়। এর চাইতে আমাদের বিলেতি ভাষায় ভালো ইউ,মিস্টার, স্যার -ম্যাডামেই কর্ম কাবার।
আপনি যদি সামাজিক প্রানী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে ডাকাডাকির ক্ষেত্রে বিরাট হিসাব-নিকাষ করে চলতে হবে নইলে বিপদ- মহাবিপদ।
আপনি যদি রাস্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর নামের আগে মহামান্য কিংবা মাননীয় ব্যবহার না করেন তাইলে বলা হবে আপনার শিস্টাচার নাই, মানহানির মামলাও হইতে পারে। আপনি যদি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের, আত্বীয় স্বজনদের হিসেব কইষা না ডাকেন তাইলে আপনি হবেন বেয়াদপ ক্ষেত্র বিশেষে ফাজিল।
বিসিএস সহ নানান চাকুরীর পরিক্ষায় আমাদের সম্বোধন জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, যেমন, আপনার দাদার ভাইয়ের ছেলের বউয়ের ছেলের শ্যালকের শ্বশুরের পিতামহের ছেলে আপনার কে হবে???? (ও আল্লাগো... রাস্তা দেখাও পলায় যাই।)
কলেজে ভর্তির সময় এক স্যারকে না চিনে মামা বলে ডেকেছিলাম উত্তরে স্যার আমাকে ঝাড়ির বর্ষনে ভাসায়া দিয়েছিলেন। অতপর লাইনে থাকা পেছনের বন্ধুদের বললাম খবরদার অই লোককে স্যার ডাকবি না, উনি কিন্তু এখানকার ক্লার্ক! বন্ধুরা তাই করেছিল। যা হবার তাই,
ঝাড়ি খেয়ে ঝাল মেটানোর জন্য ওরা বেশ কবার আমাকে ফোন করেছিল কিন্তু আমি ধরি নাই