২৩ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ বিবাহ করেছিলেন ৯ বছর বয়সী মৃণালিনী দেবীকে।
কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহ করেছিলেন ২১ বছর বয়সে আশালতা সেন গুপ্তাকে।
এদিকে আবার দস্যুরানী ফুলন দেবী বিবাহ করেছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে।
মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া তো বিবাহ করলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে।
একটা সময়ে মানুষজন আগে ভাগেই বিবাহ নামক অতি জরুরী কাজ সেরে নিতেন।আমাদের দাদা-নানা গোত্রীয় মানুষগুলোই তো বিবাহ করেছিলে ১৩-১৭ বছর বয়সে। তখন না ছিল ইভ টিজিং, না ছিল নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, না ছিল অবিচার-ব্যভিচার। যতটুকু ছিল তা এখনকার মত প্রকটাকার ছিল না। বড়ই সুন্দর ছিল সেদিনের দিন গুলি।
সেদিন হইতে শতবর্ষে পরে, আজকের জনগন বিবাহ করে অতি দেরীতে। মেয়ের অভিভাবকরা নিজের পায়ে দাঁড়ানো ছেলে ছাড়া মেয়েকে বিবাহ দেন না। ছেলে ততদিনে জীবনের তিন ভাগের দেড় ভাগ সময় পার করে ফেলে।
পূর্বের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কেউ যদি এখন আগে ভাগে বিবাহ করে তবে তা হয় বাল্যবিবাহ। এই সম্পর্কিত আবার আইনও আছে। আইন অমান্য করলে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড সাথে ১০০০টাকা জরিমানা।!
শতবর্ষ পরে আজকের এই দিনে, পেপার পত্রিকা খুললেই দেখা যায় ইভটিজিং, নৈতিক মুল্যবোধের অবক্ষয়, স্ক্যান্ডাল , অবিচার আর ব্যভিচারের খবরাখবর।
এইসব অনৈতিক কার্যকালাপ থামাইতে হলে অবশ্যই জনগনকে কম বয়সে বিবাহের সুযোগ করে দিতে, করতে হবে উৎসাহিত। পুরোনো ঐতিহ্যকে আবার ফিরায়ে আনতে হবে।
আজকের এই দুর্দশা দেখে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বলেছিলেন,
পরানের বান্ধবরে বুড়ি হইলাম তোর কারণে
লালন শাহ বলেছিলেন, সময় গেলে সাধন হবে না...