somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্প- প্রতিদান

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুভ্র আর নন্দি একেবারে হাঁপাতে হাঁপাতে আমার পাশে এসে বসে।ভয়ে দুজেনই যেন নীলাভ হয়ে আছে। এই তপ্ত দুপুরে আজো মনে হয় কোনো রোদেলা আকাশে ফেরারি চিল হয়ে উড়েছিলো সারাদিন ।এখন ক্লান্তি চূর্ণ করার ছলে,স্নেহসিক্ত হতে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।ছোট কবুতরের মতো দুরু দুরু কাঁপছে ওদের বুক। আমি অল্প চিন্তামগ্ন হই।

কিছুক্ষণ পরে একটু স্থিত হলে -দুজনেই একসাথে কথা বলা শুরু করে।যার সারমর্ম হলো- পাশের জংগলের একটু গহীনে একটা লুকলুকি গাছ আছে।গাছটি একটি ছোট টিলার উপর। সেখানে পাকা লুকলুকি পাড়তে গিয়ে দেখে-একটি বিদুঘটে গিরগিটি একেবারে লাল রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে।আর পাশে একেবারে বর্ণহীন,শাদা,নিষ্প্রাণ একটি শিশু টিকটিকি পড়ে আছে। লাল গিরগিটি আর বর্ণহীন টিকটিকির ঘটনা দেখে নন্দি আমায় বলে-জানো আরিফ চাচু, গিরগিটিটি না পুরা টিকটিকির রক্ত শুষে খেয়েছে । আর রক্ত ছাড়া কেউ কি বাঁচতে পারে বলো?আহারে,বেচারা টিকটিকি কেনো যে গিরগিটির কাছ থেকে জীবন নিয়ে পালালো না।

গ্রীষ্মের ছুটিতে দুই ভাইবোন সারা গ্রামময় এভাবে ঘুরে বেড়ায়।ওদের ছুটোছুটি দেখে মনে হয় জীবন রংয়ের দুটি প্রজাপতি ফুলের কাননে আপন মনে গুন্জরন করে যাচ্ছে অবিরত ।আর চির সবুজ কচি পাতার মতো ওদের নবীনতা দেখে আমার স্নেহ যেন ওদের ওপর স্ফটিক শিশির হয়ে ঝড়ে।এমন মিল দুজনের ,একজনকে রামধনু মনে হলে ,আরেক জনকে মনে হয়,সেই রামধনুর বিচ্ছুরিত শোভা।সারা দিনমান,এক জন আরেক জনের ছায়া হয়ে থাকে সবসময়।

এভাবে নানা ছোট ছোট ঘটনায়,কখনো আনন্দে,কখনোবা বর্ণিল উত্তেজনায়,কৌতুহলি জীবনের মুখরতায় ওদের পৃথিবী বেশ আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। ওদের দেখে আমিও নিশ্চিন্ত হই,অবসন্ন দিনের সব হেঁয়ালি ভুলে যাই।

একদিন সন্ধ্যার পর বেদীয় অংকের কিছু কৌশল আর মজা নিয়ে আমি ওদের মনোরন্জন করছি।ঘরের ভিতরে ভ্যাপসা গরম পড়েছে ।
নন্দি বলে, চলো চাচু,বাইরে জোছনার মাঝে যাই।

আমাদের উঠোনের লাগোয়া একটি মহুয়া গাছ,আর কিছু অরনীয় ঝোপ আছে।ঝিরঝিরে বাতাস,ফুরফুরে গন্ধ আর মন আবেশীত চন্দ্রিমার লোভে এতো রাতে বাইরে না যেতে আমি ও আর বারণ করিনা। ঝোপের অদূরে ,মহুয়া গাছের রুপালী ছায়ামাখা আলোয় আমরা একটি শতরন্চি বিছিয়ে বসি।হঠাৎ দেখি, নন্দি কেমন যেন করছে।কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেচারি মূর্ছা যায়।

গ্রামের ডাক্তার, বৈদ্য,কবিরাজের বাসায় নিরবিচ্ছিন্ন ছুটোছুটি করে,অবশেষে অকুল পাথারে নানাবিধ শংকায় ভাসতে ভাসতে একেবারে মফস্বলের হাসপাতালে শুরু হলো আমাদের উদ্ভ্রান্ত বেলোয়ারি নৈরাশ্য জীবনের পালা।

হসপিটালের নিষ্প্রাণ বেডে নন্দি জীবন্মৃত শুয়ে আছে।স্যালাইন থেকে ফোটা ফোটা ঔষধ ওর দেহে প্রবেশ করছে। শুভ্র বোনের কপালে হাত রেখে বসে আছে চুপচাপ। আমার বড় দিদি- নন্দি আর শুভ্রর স্নেহময়ী মা চোখ আড়াল করে আছেন,বুঝতে পারছি অবিরল বাধঁনহীন অশ্রুধারা বইছে ভিতরে। বড় কষ্টে কান্না আটকে রেখেছেন।

এ কুহকময় রাত যেন আর শেষ হয়না। ডাক্তার বাবুরা কিছু বলেন না। রাত গভীর হতে থাকে। একে একে সবাই ফিরে যায় ঘরে। শুধু বোনের পাশ থেকে শুভ্রর আর বাড়ি ফিরা হয়না। দু হাত দিয়ে আলতো করে জড়িয়ে রাখে বোনের মুখ।হসপিটালই যেন আজ ওর বসতবাটি, খেলাঘর,নিজের পৃথিবী,নিজের আপন ভূবন।

আমাদের উৎকন্ঠা ও রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। এক উচ্ছ্বল বহমান অনুপম জীবন অকস্মাত এমনি কঠিন এক যতির সামনে এভাবে থমকে দাঁড়াবে টেরই পাইনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক অপরুপ স্বর্গীয় রুপালি চাঁদ যেন আঁধারে পুন্জিভূত হলো।

অবশেষে , ডাক্তার বাবু আমাকে উনার অফিসঘরে নিয়ে যান।নানাবিদ ভয় আর শংকায় আমি নিথর বসে থাকি। ভাবি,বিশ্বাসের সব দুয়ার যেন এবার বন্ধ হয়ে এলো। এই বুঝি ভালোবাসার অদেখা সুতোয় টান পড়লো।
করুণাময়ের কাছে মিনতি করি,রাতের পর যেন এক স্বর্ণালী ভোর আসে।ডাক্তারবাবু,কিছু কাগজপত্রাদি আমার সামনে রাখেন।তারপর এই প্রথমবারের মতো বলেন, ভয়ের কিছুই নেই।সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে,ওর জন্য অতি শীঘ্র আরো কয়েক ব্যাগ রক্তের বড় বেশী প্রয়োজন।

একেতো মফস্বল শহর।তারপর গভীর রাত।আশে পাশে সব নিস্তব্ধ হয়ে আছে।মাঝে মাঝে শুধু ভেসে আসছে রক্ত হিম করা এক তক্ষকের ডাক।বাইরের আকাশও মেঘাচ্ছন্ন।পৃথিবীর সব আলো যেন একেবারে নিভে গেছে আজ।শুধু আমরা নিরাশার শংকায় দুলছি আর আশার ভেলায় ভেসে আছি।রক্তের গ্রুপ মিলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করেও কোনোও আশার বানী পাওয়া গেলোনা। আর এ রুপহীন রাতের নিপতিত অন্ধকারে আলোর স্পর্শ পাওয়া যে বড়ই কঠিন।এক অদেখা পৃথিবীর ফুলের মতো শিশুর জীবন সলতে জ্বলতে না জ্বলতেই এবার বুঝি সত্যিই নিঃশেষ হয়ে এলো।

জীবনে চলার পথে দু জনের যেমন মিল,বাহিরে মিল, অন্তরে মিল। রক্তও যেন বুঝে ওঠে তা।সবাই চুপচাপ। শুধু শুভ্রর রক্তই যেন বুঝতে পারে অসাড় শুয়ে থাকা নন্দির বেঁচে থাকার এক অব্যক্ত আকুল আহ্বানের কথা।
ছোট শুভ্র । কতই বা ওর বয়স। ডাক্তার রক্ত দেয়ার কথা বলার সাথে সাথেই মুহুর্তেই রাজী হয়ে যায় সে।

পাশাপাশি বেডে শুভ্র আর নন্দি শুয়ে আছে। শুভ্র'র রক্তে ধীরে ধীরে লাল হতে থাকে স্বচ্ছ ব্যাগ।এরপর একটু একটু করে সে রক্ত প্রবেশ করে নন্দীর দেহে। শুভ্র পাশের সীটে চেয়ে দেখে নন্দী ধীরে ,অতি ধীরে যেন রক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাণের সজীবতায় ফিরে আসছে।

এবার আমি রুমের জানালাটা একটু আলগা করে দেই। হালকা শীতল বাতাস এসে আমাদের স্পর্শ করে। ভোরের আলো এতক্ষণে আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়েছে।
ছোট শুভ্রর মনে কত কিছু দোলা দিয়ে যায়। দিদির সাথে তার কত মধুমাখা স্মৃতি,হাসির,আনন্দের,অভিমানের,নিটোল সৌন্দর্য্যের ।মনে পড়ে সেই লুকলুকি বনে মরা টিকটিকির কথা। মনে পড়ে দিদি বলেছিলো -রক্ত ছাড়া শুধু টিকটিকি কেন রে, কোনো প্রাণীইতো বাঁচতে পারেনা।

শুভ্র বিছানায় শুয়ে আস্তে করে আমার হাত ধরে।একবার আমার দিকে থাকায়,একবার বোনের দিকে,আরেকবার আড় চোখে নিজের শরীর দেখে ।চোখের ভাষা বুঝা দায়,বেচারাকে দেখে মনে হলো এই প্রথম অল্প ভয় পেলো।আমি পরম স্নেহে আর মমতায় ওর শিয়রের পাশে বসি। আমার স্নেহের কণা যেন ওর কপোল বেয়ে আসা অশ্রুদানার সাথে একাকার হয়ে যায়।

শুভ্ড় আমাক ওর আরোও কাছে টানে।আমার মাথাটা ওর মুখের পাশে নিয়ে যায়। কষ্টে না আনন্দে বুঝা যায় না।চেয়ে দেখি নিদারুন শংকায় ছলছল করছে ওর চোখ।দেখি, ওর শরীর যেন কেমন মলিন আর নিষ্প্রভ ।তারপর, চুপিচুপি, কানে কানে আমায় বলে, চাচু, দিদি কখন ভালো হয়ে ওঠবে,আর আমি কি রক্ত দেয়ার পর পরই মারা যাবো?দিদিকে বলো,আমি জীবনে যেমন ওর পাশে পাশে ছিলাম,মৃত্যুর পরও আমি ওর সাথে মিশে থাকবো। দিদির সেরে ওঠা কি দেখে যেতে পারবোনা একটিবার।

আসলে ছোট শুভ্র এতুটুকু বুঝতে পারেনি যে, ওকে মাত্র এক ব্যাগ রক্তই দিতে বলেছিলেন ডাক্তার বাবু। ও মনে করেছিলো-ওকে দিদির জন্য শরীরের সব রক্তই দিয়ে দিতে হবে ।আর রক্ত দেয়ার পর পরই সে একেবারে রক্তহীন হয়ে মারা যাবে সেই টিকটিকিটার মতো।তবুও তার আদরের দিদি জীবন ফিরে পাবে,এই আশায় মুহুর্তমাত্র দেরী না করেই সে রাজি হয়েছিলো নিজের শরীরের সব রক্তই দিদিকে দিয়ে দিতে।

আর নন্দি সেদিন রাতের জোছনার লুকোচুরিতেও ভাইয়ের ওপর সদা চোখ রেখেছিলো।শতরন্চির যে জায়গায় সেদিন রাতে শুভ্র বসেছিলো,সেখানে নন্দি হঠাত খেয়াল করে,একটি বিষধর সাপ,মরণ কামড় বসিয়ে দেয় যেকোন সময় শুভ্রর পীটে ।নন্দি আর এক মুহুর্তও অপচয় করেনি, নিজের জীবন বাজি রেখেই সেরাতে ভাইকে আগলে নিয়েছিলো।

আজ অনেকদিন পর ।নন্দি বিদেশ থেকে দেশে এসেছে। আমার পাশে এসে বসে ।নন্দি বলে, চাচু শুভ্র কখন ফিরবে? চলো চাচু ওর ঘরে যাই।

আমি আর নন্দি শুভ্রর ঘরে প্রবেশ করি। নন্দি কী যেন মনে করে একটি ডায়েরির পৃষ্ঠা উল্টোয়।সেখানে শুভ্র লিখেছে, জীবনে প্রাপ্তির আর পূণ্যের ঘর একেবারে ফাঁকা।সারা জীবনের যতুটুকু সন্চয় তা হলো-প্রিয় দিদির জন্য দেয়া শুধু এক ব্যাগ রক্ত।

চেয়ে দেখি,নন্দির চোখ টলমল করছে। আমার কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে নেয়। তারপর চেয়ার টেনে নিয়ে শুভ্রর পড়ার টেবিলে বসে।-

গল্পে গল্পে রাত গভীর হয়। ভ্রমনের ক্লান্তি নিয়ে নন্দি ঘুমিয়ে পড়েছে। শুভ্র এবার ডায়েরিটি আমার দিকে বাড়িয়ে দেয়।

গোটা গোটা কী সুন্দর অক্ষরে লিখা লাইনগুলো পড়ি-

এই আমি নন্দি, পথ থেকে কুড়িয়ে এনে প্রিয় চাচু জীবন দিয়েছিলেন একবার, আর মৃত্যপথ যাত্রী সাপে কাটা রোগীকে রক্ত দিয়ে তুমি জীবন দিলো আরেকবার। এমন সৌভাগ্যবতি এক পরাশ্রিতা মেয়ে এই মহাসমূদ্র ভালোবাসার প্রতিদান দেয় কেমন করে?
আমার ঘটেতো এক বিন্দু জলও নেই।

এবার আমার চোখও ঝাপসা হয়ে আসে।
এর প্রত্যুত্তরে আমার আর কিছু লিখা হয়না কোনো ডায়েরির পাতায় ।শুধু মনে মনে বলি,বিদেশের সবঐশ্বর্য,সুখের স্বপ্নীল ভূবন ছেড়ে এক নিঃসঙগ বুড়োর টানে এভাবে ছুটে এসেছো ।যার মাঝে আমি হিমালয়ের মতো অবিচল নির্ভরতা খুঁজে পাই,এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কী হতে পারে,বলো,মা।


তুমি নিজেই যে এই বুড়ো জীবনে আমার সবচেয়ে বড় প্রতিদান ।

২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×