নিজের চক্ষু দিয়েই দেখা, এ যেন এক আজব আমেরিকা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
নিজের চক্ষু দিয়েই দেখা, এ যেন এক আজব আমেরিকা।
১) চুল কাটাতে খরচ হয় ১৫ ডলার, আর বাড়ির ঘাস কাটাতে খরচ হয় ৪০ ডলার।
২) চুল লম্বা করে হিপ্পি হয়ে গেলেও কোনো টিকেট খাওয়ার ভয় নেই, কিন্তু ঘাস যদি নির্দিষ্ট সাইজের চেয়ে বড় হয় তবে নির্ঘাত জরিমানা।
...
৩) টাকা খরচ করে ঔষধ ছিটিয়ে ঘাস সবুজ,সুন্দর আর বড় করে রাখতে হয়।সেই ঘাস কেটে ছোট করার জন্য আবার টাকা খরচ করতে হয়।
৪) ৪০/৫০ হাজার ডলারের গাড়ি ড্রাইভওয়েতে পড়ে থাকে , কিন্তু অপ্রয়োজনীয় জাঙ্ক গ্যারেজে রেখে গ্যারেজ দরজা ভালো করে বন্ধ করে রাখা হয়।
৫)রাস্তার আশেপাশে ব্যবহৃত সোফা, ফার্ণিচার পড়ে থাকে কেউ নেয়া না। কিন্তু ফ্লি মার্কেট বা পুরোনো বাজার থেকে সেগুলো আবার টাকা খরচ করে কিনে নিয়ে যায়।
৬) স্ত্রী'রা দু তিন শত ডলার খরচ করে ম্যাকাপ নেয় নিজেকে সুন্দর করার জন্য, আর স্বামীরা ৯৯ সেন্টের বিয়ার খেয়ে মাতাল হয় স্ত্রীকে সুন্দর দেখার জন্য।
৭) এক ক্যান বিয়ারের দাম ৯৯ সেন্ট আর এক বোতল পানির দাম ১ডলার ৯৯ সেন্ট।
৮)এখানে একজন অসুস্থ রোগীকে শপিং সেন্টারের একেবারে ভিতরে গিয়ে তারপর ঔষধ কিনতে হয়। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ দরজা দিয়ে ঢুকেই দোকানের একেবারে সামনের ডেস্ক থেকেই সিগারেট কিনে নেয়।
৯) এই আমেরিকার অনেক সিটিতে ধূমপান নিষিদ্ধ হচ্ছে, আবার এই আমেরিকায় অনেক সিটিতে উইড বা গান্জা পান সিদ্ধ হচ্ছে।
১০) এখানে অফিস সময়ে ব্যাংকের দরজা খোলা থাকে। ভিতরে চা, কফি, কুকি, ক্যান্ডি ফ্রী। কিন্তু ১০ সেন্টের একটা কলম এরা চেন দিয়ে আটকে রাখে।
১১) এখানে দরজার সামনে অব্যবহৃত টিভি, ফ্রিজ ফেলে রাখুন ।কোনো ভয় নেই কেউ নিয়ে যাবেনা। তবে যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এগুলোর ওপর বিক্রয় মূল্যটা লিখে রাখেন। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠে আর পাবেন না।
১২) সভ্যতার এই দেশে বেশীরভাগ গ্যাস স্টেশানে টাকা-পয়সার লেনদেন হয় বুলেট প্রুফ গ্লাসের ভিতর থেকে ছোট একটা খোপের ভিতর দিয়ে। যেটার ভিতর দিয়ে শুধুমাত্র টাকাটা নেয়া যাবে আর ভাংতি ফেরত দেয়া যাবে। সভ্য দেশের এ কেমন ভীতিকর নির্দশন।
১৩) এখানে কপোত কপোতিরা পার্কে ভালোবাসার যথেচ্ছার করে, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এতে ঘাসের কোনো ক্ষতি হলে খবর আছে।
১৪) এটা হলো সবচেয়ে মজার- ম্যাকডোনাল্ড আর বার্গার কিং থেকে এরা মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট খাবার যেমন ডাবল চীজ বার্গার, হ্যাম বার্গার ইত্যাদি কিনবে আর সাথে কিনবে শরীর ফিট রাখার জন্য ডায়েট কোক।
১৫) এরা কাটা চামচ দিয়ে খুব পরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার খায় সাথে টিস্যু নিয়ে আঙ্গুল মুছে। কিন্তু হিস্যু করে কখনোই টিস্যু বা পানি ব্যবহার করেনা।
১৬) বাড়ি আপনার, বাড়ি'র উঠোন আপনার, উঠোনের ঘাস আপনার, গাড়ী আপনার। কিন্তু ড্রাইভওয়ে ছাড়া ঘাসের ওপর গাড়ী রাখলেও খবর আছে।
চামে নিজগৃহখানাও ব্লগে দিয়ে দিলাম
২৭টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি
পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।
ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?
কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।
এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন
একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!
ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন