ব্যস্ত গলির মুখ। সেখানে হাবলুর পান বিড়ির দোকান। দোকানের এক কোনে হাবুল বিড়ালকে দুধ খেতে দিয়েছে।
এক অতি চালাক মিয়াভাই - হাবুলর বিড়ালের দুধ পান করা দেখে- দোকানে এসে বলেন- একটা সিগারেট দাও। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে চালাক মিয়া ভাই বলেন- ব্যবসায় যা মুনাফা করছো- সবতো দেখি বিড়ালের পেটেই চালান করে দিচ্ছো।
হাবলু বলে - হ তাতো দিচ্ছি।
চালাক মিয়া ভাই অতি আশ্চর্য্য হয়ে দেখেন- বিড়াল যে পেয়ালায় দুধ পান করছে- পেয়ালাটি দেখতে অতি নোংরা হলেও মহা মূল্যবান। এর এন্টিক মূল্য হবে কমপক্ষে লাখ টাকা। পেয়ালাটি হাত করতে পারলেই লালে লাল। কিন্তু দোকানদারকে কোনো অবস্থাতেই সেটা বুঝতে দেয়া যাবেনা। বুঝতে পারলেই - ব্যাটা হয় জিনিসটি ছাড়বেনা। না হয় অতি উচ্চমূল্য হাঁকাবে।
কৌশলে পেয়ালাটি নেয়ার উপায় কি?
অতি চালাক মিয়া ভাই বললেন- বিড়ালতো আমিও পুষি। ঘরে দুধের গাভীও আছে। বেচবা নাকি তোমার বিড়াল।
না , পান বিড়ি বেচি। কিন্তু শখের পোষা বিড়াল বেচিনা।
না বেচলে কি হবে। আমিও মহাজন মানুষ। একবার যে জিনিস পছন্দ করি- সেটা না নিলেতো ভাই-আমার চলেনা।
বিড়ালের দাম যা চাইবা তাই দেবো। এই নাও পাঁচ হাজার টাকা।
হাবুল বলে- আপনিও মহাজন মানুষ। আমিও ছোট দোকানদার। কি আর করা। যান নিয়ে যান। তবে একটু আদরে রাখবেন।
চালাক মিয়া ভাই- বিড়াল কোলে নিয়ে আদরে করতে করতে বলেন- বিড়ালতো বিক্রি করে দিলা। এখন এই পুরানো-নোংরা-পেয়ালাটি রেখে আর কি করবা। এই নাও আরো পাঁচশ টাকা। পেয়ালাটিও দিয়ে দাও।
হাবলু একটা সিগারেট এগিয়ে দিতে দিতে বলে- এই নেন মন ভরে আরেকটা সিগারেট খান। এটার দাম দিতে হবেনা।
তবে, দুঃখিত । আপনি পোষা বিড়াল চেয়েছেন। বিড়াল পেয়েছেন। কিন্তু পেয়ালাটি মিয়া ভাই বিক্রি করা যাবেনা। এটা দিয়েইতো আসল ব্যবসা করছি। আর এই পেয়ালা দেখিয়েই এ পর্যন্ত শখানেক বিড়াল বিক্রি করে দিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯