somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগনামচা ৪: ঢাকা ভ্রমণ(একই লেখকের "অন্যমানুষ " নিকে আরেকটি ব্লগে প্রকাশিত){রিপোস্ট}

০৬ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভ্রমণ করিবার ইচ্ছা কার নাই বলেন।সবাই তার ক্লাস অনুযায়ী ভ্রমণপিপাসু।কেউ হয়ত ভ্রমন করে দেশের বাইরে লান্ডান বা জেনেভাতে ।ছাত্ররা তারুণ্যের আতসয্যে দেশের ভেতরেই ঘুরি কুয়াকাটা বা সেন্ট মার্টিন।আর ছাপোষা মধ্যবিত্ত মানুষেরা ঘুরে নিজ জেলার বাইরে পাশে কোথাও।আবার আমার মত যাদের নিবাস ঢাকার বাইরে ঢাকা তো তাদের লাগি"জাদু কি নগরী"।ঢাকা যে যাওয়া হয়নাই তা নয় কিণ্তু প্রতিবারে হয় মা না হয় বাবার সাথে। এবারে ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্টের ছুতায় একলা একা এক বন্ধুকে নিয়ে ঘেলাম ঢাকা।

**উড়ছে গাড়ী যাত্রাবাড়ী:

চিটাগং থেকে ঢাকা যাব।টিকেট কাটতে গেলাম তাই স্টেশনে।রেল যে কেমনে লোকসানী খাত হয়?দুই দিন আগে গিয়াও টিকেট পেলাম না।অগত্যা বাসই ভরসা। যাওয়ার দিন টিকেট কাটলাম হানিফের।সকালে বাসে উঠলাম।খারাপ না।সাড়ে আট টার গাড়ী ছাড়ল ৯টা ১৫ তে।আমি ও আমার বন্ধু সিটে বসে ঘুমানোর পরিকল্পনা বাস্টবায়নে ব্যাস্ত হলাম।গাড়ীও চলছে দুরন্তগতিতে। আবারও ভাবলাম খারাপ না।১৫ মিনিটও না যেতেই বিশাল এক হার্ড ব্রেকে ঘুম ভাংলো।দুনিয়ার প্রতি অদ্ভুত রাগে রাগী হয়ে যেভাবে চালক গাড়ি চালাল তাতে আর চোখে ঘুম নাই। এর পর কুমিল্লায় এল যাত্রা বিরতি। দেখলাম মানুষ যে খায়। আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা নাই। তাই এক বোতল পানি কিনেই বাসে উঠলাম।এই বাসে কোন বিদেশী উঠলে নিশ্চিত ভাবত বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৫০০০ মা.ড. এর উপরে। একেক জন যা মার্কেটিং করল দেখার মত।গাড়ী ছাড়ল ,এবার দেখি মাথার পিছে আলতো টান। তাকিয়ে দেখি পিছনের সিটের পিচ্চিটা আমার ছোট ছোট চুল ধরে দাড়িয়ে আছে।ভালৈ লাগলো। আর তার যে ছড়া পড়া ???এর পর আবার হার্ড ব্রেকে সামলাতে না পেরে আমার কান ধরে ঝুলে রইল।পণ করলাম ঢাকা গিয়েই ট্রেন এর টিকিট তারপর অন্য কাজ। বাসকে না বললাম।১টা ৩০ বাজে আসলাম ঢাকা ,নেমেই কমলাপুর স্টেশনে দৌড়।প্রভাতীর দুই টিকেট গেলাম খালার বাসায়।




**বইমেলা:

ঢাকায় আসলাম আর বইমেলায় যাবনা?আর আগে কখনও যাই নি আমি । তাই প্রচন্ড আগ্রহে শেওড়াপাড়া থেকে রওনা হলাম ৫ টায়। ভলভো বাসে শাহবাগের উদ্দেশ্যে চললাম।হায়রে জ্যাম।ভোলভো তো চলতেই ভুলে গেলো।সময় যে কি পেইন তা টের পেলাম হাড়ে হাড়ে। :!! :!! আর বাসগামী মানুষের কথা আর ...।অবশেষে ৭টা ৩০এ এলাম শাহবাগ,এসেই নতুন বিপদ বইমেলার রাস্তা তো জানিনা।রিক্সারে বলি বাংলা একাডেমী যাবা।সোজা জবাব "না।।আরেকজনরে বলি বইমেলায় যাবা---"না"।আইডি্যা !!!!মানুষের ভীড় যেদিকে যায় সেদিকে যাব।আর খেয়াল রাখবে opposite direction মানুষ বই হাতে আসে কি না।যদি আসে মানে আমি রাইট পথে আছি।এভাবে মানুষের সাথে এসে ২৫ মিনিট হেটে বইমেলায় প্রবেশ ।আহা কি আনন্দ? :):):)



কত বই আর বই। মনুষ আর মানুষ।টিউশনির টাকা, বাজারমারা টাকা ইত্যাদি দিয়ে বেশ কিছু বই কিনলাম যার অধিকাংশই উপহারকৃত হয়ে গেল।এত কাজিন যে কেন থাকে।শাহবাগ ফেরার পালা।বুক ফুলিয়ে হেঁটে আসলাম শহীদ মিনার পর্যনত।তার পর হা হয়ে গেলাম।সামনে তিনটি রাস্তা। হে খোদা কোনটা দিয়ে আসছি ভুলে গেছি।রিক্সা দিয়ে এলাম।চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে খালার বাসায় আগমন।খেয়েই ঘুম.

***মিশন ধোলাইখাল:

পরদিন সকালে বাসা থেকে ধোলাইখালে গেলাম প্রযেক্টের কাজে।সন্গী হল বুয়েটের বন্ধু কামরুল।উদ্দেশ্য গ্রাফাইট কেনা পিস্টনের জন্য।
ধোলাই খালে যারেই বলি সে তাকিয়ে থাকে তারপর হাসিমুখে বলে নাই।তবে যা ভালো লাগলো মানুষগুলার ব্যাবহার।সবাই হাসিমুখে আমাকে আরেকটা দোকান দেখাতে লাগলো।এভাবে ধোলাই খাল ঘুরা হল।কত যে মেশিনারী!!!ইন্জিনের হেন পার্টস নাই যেটা এখানে নাই। আমার তো মনে হয় যারা যন্ত্রকৌশলে পড়ে তাদের সবার এখানে একবার হইলেও আসা উচিত।অনেক ঘুরার পর এক দোকানী বলল এখানে পাবেন না ইত্তেফাক মোড়ে যান ।গেলাম,পেলাম আ্যাডভান্স করলাম। ৩ টা বাজে।বলল ৪টা র দিকে আসতে। এত সময় কি করি। কামরুল বলল চল বলধা গার্ডেন যাই।

****বলধা গার্ডেন::

বলধা গার্ডেন গিয়ে তো আমি পুরা বলদ হয়ে গেলাম।দেশ তো একেবারে শেষ হয়ে গেল।ওখানে সব কাপল অন্তরংগ ভাবে বসে আছে।এসব কি দেখা যায়???লজ্জায় লাল ,নিল হয়ে গেলাম। ;);););););)
এখানে শুধু আমরা দুইজন ছেলে ১ সাথে বসে আছি। কামরুল ঢাকার পাবলিক তাই চোখ সয়ে গেছে।কিন্তু আমার...।যাই হোক ৪.৩০ এ কাংখিত গ্রাফাইত হাতে পেলাম ১০০০ টাকা দিয়ে।ছোট ১টা জিনিস।বন্ধুর থেকে বিদায় নিয়ে খালার বাসায়।সবার সাথে কথা বলতে বলতে রাত হল ঘুমালাম।পরদিন সকালে ট্রেন । ঢাকা ভ্রমণ খারাপ হয়নি আসলে। আবার আসব ....।

(হয়তবা চলবে)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×