somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের মিজোরামে চাকমা যুবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে করুনালংকার ভিক্ষু।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে করুনালংকার
ভিক্ষু শীঘ্রই সশস্ত্র আন্দোলনের হুমকি
দিয়েছে। ভারতের মিজোরামে
চাকমা যুবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
খুলেছে। সন্তু লারমার সহায়তায়
নানাভাবে আরেকটি শান্তি
বাহিনী গঠিত হচ্ছে। তাই, এ মুহুর্তে
দেশবাসীর সজাগ থাকা একান্ত
প্রয়োজন।বাংলাদেশের এক ও
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম।
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও
বান্দরবানের ৫০৯৩ বর্গমাইল বিস্তৃত
সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, বিল-ঝিল-
হ্রদ-পাহাড় বেষ্টিত দেশের এক
দশমাংশ ভূমি। চেঙ্গী, মাইনী, কর্নফুলী,
কাছালং বিধৌত এই পার্বত্যবাসী
জনগন কেমন আছে? পাহাড়ে শান্তি,
স্থিতি ও নিরাপত্তা আছে কি? এসব
প্রশ্নে হাবুডুবু খাচ্ছে দেশের
বিবেকবান জনতা।১৯৯৭ সালের ২
ডিসেম্বর বহু আশা-আকাঙ্ক্ষার ফসল ছিল
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। দীর্ঘদিনের
সন্ত্রাসযুদ্ধ বন্ধ হবে, চাঁদাবাজী,
নৈরাজ্য, গোলাবারুদের ধোঁয়া শেষ
হবে, এই ছিল পার্বত্যবাসী উপজাতি ও
বাঙালিদের একমাত্র আশা। কিন্তু,
দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাহাড়ে আজো
শান্তির সু-বাতাস প্রবাহিত হয়নি, জনগন
শান্তির শ্বেতকপোতটির দেখা আজো
পায়নি। কিন্তু কেন?
.
@শান্তি কেন আসছে না ?
.
পাহাড়ে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে
উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসী
তথা জুম্ম লিবারেশন আর্মি
(শান্তিবাহিনী) সব অস্ত্রশস্ত্র ও
গোলাবারুদ আসলেই কি
জমাদিয়েছিল? সন্তু লারমা বাহিনী
কি প্রকৃত-ই বাংলাদেশ সরকারের
কাছে সেদিন আত্মসমর্পন করেছিল?
নাকি লোক দেখানো মহড়া হিসেবে
সেদিন কোন নাটক হয়েছিল। সন্তু
লারমারা ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ আত্মসমর্পন
করে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র,সা
জসরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও সমস্ত
শান্তিবাহিনীর সদস্যকে নিয়ে
একসাথে, এক নিয়মে এবং একই লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নাই।
তাছাড়া, একটি স্বাধীন সার্বভৌম
রাষ্ট্রের সরকারের কাছে একটি সশস্ত্র
রাষ্ট্রদ্রোহীবিদ্রোহী বাহিনী (জুম্ম
লিবারেশন ফ্রন্ট-শান্তিবাহিনী)
আত্মসমর্পনের পর কি নিয়মনীতি প্রচলিত
আছে। তা কিন্তু সন্তু লারমার ক্ষেত্রে
ছাড় দেয়া হয়েছে।বিশ্বের কোথাও
আত্মসমর্পনকারী রাষ্ট্রদ্রোহী
বিদ্রোহী সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পনের
পর এতটা স্বাধীনতা, সুযোগ সুবিধা ও
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার করা হয়
না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায়
রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে)
পাকিস্তানী পূর্বাঞ্চল সেক্টরের
সেনাবাহিনী প্রধান লে. জে. এ কে
নিয়াজী আমাদের মুক্তিবাহিনী ও
ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রধান লে.
জে. জগজিৎ সিং আরোবার কাছে
আত্মসমর্পন করেছিল। সেক্ষেত্রে
নিয়াজী কে শুধুমাত্র জাতি সংঘ সনদ
মোতাবেক আন্তর্জাতিক রীতিনীতি
মোতাবেক আচরণ করা হয়েছিল মাত্র।
নিয়াজী আত্মসমর্পনের পর স্বদেশে
ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত মিডিয়ার
সাথে কোন কথা বলতে পারে নাই,
পুনরায় অস্ত্রধরার হুমকি দেয় নাই,
সরকারের কোন সমালোচনা করতে
পারে নাই।কিন্তু একই ধাঁচে পার্বত্য
চট্টগ্রামে ৩০ হাজার বাঙালী
হত্যাকারী, নিরীহ জনগনের উপর
ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যা সংঘটিত,
বহু সেনা-পুলিশ আনসার-বিডিআর এর
ঘাতক সন্তু লারমা আত্মসমর্পনের পর কী
আচরণ করছে? কথায় কথায় সন্তু বাবুরা
পুণরায় অস্ত্র ধরার হুমকি দিচ্ছে। তারা
ঢাকায় সুন্দরবন হোটেল, ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তন, জাতীয়
প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ
তিন পার্বত্য জেলায় অবাধে
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপ প্রচার
চালিয়ে যাচ্ছে।সন্তু বাবুরা
নিজেদের বলছে আদিবাসী, জুম্ম
জাতি, তাদের মুখপাত্র জুম্ম কন্ঠ, জুম্ম
নিউজ বুলেটিন, রাডার, স্যাটেলাইট,
তাদের বাহিনীর নাম জুম্ম লিবারেশন
আর্মি বা শান্তিবাহিনী, এমন কি
তারা চির পরিচিত, আমাদের
মাতৃভূমির মানচিত্রের এক ও অবিচ্ছেদ্য
অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের নামকরণ
পরিবর্তন করে নাম দিয়েছে-
‘জুম্মল্যান্ড’। দেশে-বিদেশে
বাংলাদেশ বিরোধী ক্যাম্পেইন
চালাচ্ছে। ‘জুম্ম’ জনগণকে জোর করে
মুসলিম বানানোর ভূয়া অভিযোগ
রটাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর ও
দক্ষিণ সুদানের মতো তারা পাহাড়ে
জাতিসংঘ শান্তিবাহিনী
পাঠানোর লবিং করছে।সেই সুযোগে
উপজাতিদের দিয়ে পাহাড়ে গণভোট
করিয়ে তাদের জুমল্যান্ড আদায় করে
নিতে চায়। অথচ একটি আত্মসমর্পনকারী
দলের নেতাও সদস্যদেরকে বিশ্বের
কোথাও এতটা স্বাধীনতা দেয়া হয়
না। সন্তু বাবু নিজে মন্ত্রীর সমমর্যাদায়
পার্বত্যআঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের
পদটি আঁকড়ে আছেন দীর্ঘ ১২ বছর এর
বেশি। তার জনসংহতি সমিতির
নেতারা ও আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা
পরিষদসহ পাহাড়ের প্রতিটি অফিস
আদালতে সিংহভাগ সুবিধা ভোগ
করছেন। আত্মসমর্পনকারী ২০০০
শান্তিবাহিনী সদস্যকে সরকার
লোভনীয় পদে চাকুরী দিয়েছেন।
যারা আগরতলা/কলকাতায় শরণার্থী
ছিল, সরকার তাদেরকেও পর্যাপ্ত রেশন,
চাল-ডাল-তেল-টিন দিয়ে এবং
চাকুরী দিয়ে পূনর্বাসন করেছেন।
তারপরও কেন এত চক্রান্ত? গত ৯ আগষ্ট
২০১৪ এবং একাধিকবার সন্তু লারমা
বলেছেন, পাহাড়ে ৪২ বছর যাবতই
সামরিক শাসন চলছে, উপজাতীয়দের
কোন মানবাধিকার নাকি নাই? তাই
যদি হত গত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে
সরকারী দল আওয়ামীলীগের হাই
ভোল্টেজ নেতা দীপংকর
তালুকদারকে হারিয়ে সন্তুলারমার
দলের সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার
রাঙামাটির সংসদ সদস্য কি করে হলো?
তাহলে কি সন্তু বাবুরা আমাদের
নিরাপত্তা বাহিনীর চাইতেও বেশি
শক্তিশালী? অবশ্যই নয়।বাংলাদেশ
সরকারের দেয়া প্রতিটি ভূমি কমিশন
কেই তারা বানচাল করে দিয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির মালিক
বাংলাদেশ, সন্তুু লারমারা নয়। অথচ-
প্রায়ই দেখা যায়, ভূমি কমিশনের
বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েও তারা বৈঠকে
আসেন না। মাঝে মাঝে দেখা যায়-
তারা বৈঠককে ওয়াক আউট করে চলে
আসেন। সাবেক বিচারপতি খাদেমুল
ইসলাম চৌধুরী তিন পার্বত্য জেলার
ভূমি কমিশনকে কার্যকরী করেছিলেন।
কিন্তু, সন্তুুলারমাদের সাজেশন মতো
না চলাতে তাকেও ভূমি কমিশনের
আদালত/শুনানী করতে দেয়নি ঐ চক্র।
যদিও প্রায় ৫ হাজার মামলা ঐ
কমিশনের কাছে উপজাতি ও
বাঙালিরা দরখাস্তের মাধ্যমে জমা
দিয়েছিল। একগুয়েমি,
হামবড়া,স্বেচ্ছাচারি মনোভাবের
কারণে প্রতিটি পদক্ষেপই উপজাতীয়
নেতারা বানচাল করে দিয়েছে। অথচ
তারা কোন বিজয়ী দল নয়। একটি
পরাজিত এবং আত্মসমর্পনকারী দলের
কাছে এ ধরনের আচরন মোটেও সহ্য করা
যায় না। অথচ বাংলাদেশের জনগন এর
পরেও তাদের কাছে শান্তির
প্রত্যাশা করছেন।পাহাড়ে এখনো
প্রতিটি উন্নয়ন কাজে জেএসএস শতকরা
২০ ভাগ এবং ইউপিডিএফ শতকরা ২০ ভাগ
করে বলপূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে।
নতুবা কোন ঠিকাদার কাজে হাত
দিতে পারে না। অথচ সন্তু বাবুরা
দেশী বিদেশী মিডিয়ার কাছে বলে
বেড়ায়- “শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন
হলেই নাকি পাহাড়ের সব সমস্যা
সমাধান হয়ে যাবে। কী আজগুবি
দাবী?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×