মাঝে মাঝে খুব আজাইরা পোষ্ট আসে। তার একটা দেখলাম এইটা
উপর্যুপরি ধোলাই খাওয়ার পরেও লেখক লেখাটা সড়ান নাই।
এই পোষ্টে খুব সরাসরি ইসলামের ২ টা শব্দকে (ইনশাল্লাহ-আলহামদুলিল্লাহ) কটাক্ষ করা হয়েছে।
এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, ইসলাম কথাটা শুনলেই অনেকের মাথা ঘুড়ায়। কি অদ্ভুত!!
সংখ্যালঘুদের মধ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী আছে, যারা মনে করে বাংলাদেশ এককালে তাদের অধীন ও তাদের ধর্ম দ্বারা অধ্যুষিত ছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে এইদেশে ইসলামের প্রসার ঘটেছে ও মূল ভুখন্ড থেকে আলাদা হয়ে গেছে।
তাদের ধারণার সাথে আমি সম্পুর্ণ একমত পোষন করি।
কিন্তু তারা আরো মনে করে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের এই ভুখন্ডে কোনঠাসা করে একদিন আবার তারা তাদের শাসন ফিরে পাবে।
আসলে এটা তাদের দুঃস্বপ্ন।
অনেকের ধারণা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নাকি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। কোথায় সংঘর্ষটা হলো এটাও মনে হয় তারা জানে না। ইসলাম নাকি অসাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করে না। ইসলামের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক ধর্ম আর কোন নাই। যুগের পর যুগ ধরে আমরা এই মাটিতে সকল ধর্ম একত্রে বসবাস করে আসছি। একি সাথে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে আসছি, পাশাপাশি ঘড়ে বড় হয়েছি। আজকে এতো বছর পরে আমরা সব হয়ে গেলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক। কি আশ্চার্য!!
একজন মুসলিমের কাছে তার আল্লাহ, রাসুল, ঈমান ও তার ইসলাম সবচেয়ে উপরে। এমন কি মা বাবার উপরেও। দেশ তো আরো পরে। কারণ? কারণ হল, আমাদের ধর্মেই বলা আছে বাবা-মার প্রতি, দেশের প্রতি, প্রতিবেশিদের প্রতি, সংখ্যালঘুদের প্রতি আমাদের দ্বায়িত্ব কি। দেশপ্রেম কেমন হবে, দেশ কিভাবে চালাতে হবে।এবং সেটা পালনে আমরা বাধ্য। যদি কেউ তার ব্যতিক্রম করে তাহলে সে ইসলাম পালন করছে না। তার একার জন্য পুরো ধর্ম ও সব অনুসারীদের দোষ দেওয়া যেতে পারে না।
ঠিক যেমন সকল হিন্দুই পরিমল জয়ধর নয়।
পাকিস্তানে কে কি করছে অথবা ইন্ডিয়াতে কি হচ্ছে, সেটা আমাদের না ভাবলেও চলবে। যারা এইসব ভাবেন তারা ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানে যেয়ে বেশি বেশি ভাবেন। কারণ আমরা নিজেরা স্বাধীন দেশ। কারো দালালি করার জন্য আমরা স্বাধীন হই নাই।
এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, ইসলামের নাম বললেই কেউ কেউ জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততা খুজে পায়। ইসলাম ধর্ম কি জামাত-শিবিরের কাছে আমরা ইজারা দিয়েছি নাকি? এই দেশে ৯০% মানুষ মুসলিম। ৯০% মানুষ নিশ্চই জামাত-শিবির না। তাই মুসলিমদের চাপে রাখার জন্য তথাকথিত চেতনা ব্যবসায়ীরা জামাত-শিবিরকে ব্যবহার করে।
চেতনা ব্যবসায়ীদের যত তাড়াতাড়ি শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ততই সবার জন্যেই মঙ্গল।
অহেতুক খুচাখুচি করে বাজে কথা বলে আক্রমন করে প্রথম কাজটি এইসব লোকেরা করে দেয়। পরে যখন প্রতিউত্তর আসে তখন তারা সারা বিশ্বকে দেখায় ,'' হায় হায় দেখ সবাই আমাদের বাড়ি ভেংগে দিছে, আমাদের মন্দির ভেংগে দিছে, আমরা নির্যাতিত, ব্লাহ ব্লাহ!!"
সম্মান দেখান, সম্মান পাবেন। অসম্মান দেখালে আরো বেশি খারাপ জিনিস ফেরত আসবে, যেটা কারো জন্যই ভাল হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭