somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু এইবার না, বাংলাদেশের আগামী ৪ টা নির্বাচন জাতিসংঘের দায়িত্বে করা হক।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিবার নির্বাচন এলেই শুরু হয় লগি বৈঠা, কক্টেল, পেট্রলবোমা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ আর আমাদের যন্ত্রনা। ক্ষমতাশীনরা সবাই ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কেউ চুপিচুপি বিচারকদের বয়স বাড়িয়ে নিজের লোকদের জায়গামত আনে। কেই সংবিধান ইচ্চামত টাইপ করে আমাদের বলে এটাই আসমানী কিতাব, এর বাইরে গেলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিৎ। দিনের পর দিন মারামারি, মানুষ খুন, জ্বালাও-পোড়াও। সবাই নাকি জনগণের জন্য এইসব করে। কোন সেই জনগণ তাও আজ পর্যন্ত বুঝা গেল না। যেভাবেই হোক তাদের ক্ষমতা চাই। তারজন্য যদি অসংখ্য মানুষ গুলি করে রাস্তায় মারতে হয় অথবা সারাদেশের মানুষকে ঘরে বন্দী করে রাখতেও হয় তারপরেও ক্ষমতা তাদের চাই ই চাই। তার জন্য সবকিছু এমনভাবে সাজানো হয় যাতে পরে কোন অসুবিধা না হয়। রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধান, নির্বাচন কমিশনার সবাই একেকজন চড়ম প্রভুভক্ত প্রানী বানানো হয়। তাদের না থাকে ন্যায়-অন্যায় বোধ, না থাকে সৃষ্টিকর্তার ভয় না থাকে মানুষের প্রতি ভালবাসা। এমন দূর্ভাগা হয়ে কেন বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছিল কে জানে? আল্লাহ আমাদের রহমত দিন।

যাই হোক, একদল যাকে সামনে রেখে নির্বাচনে জিততে চায় অন্যদল তাকে মানে না, অন্যদল যাকে দিয়ে নির্বাচন চায় তাকে আরেকদল মানে না। তারমানে বুঝা যার যে জনগণের কথা বলে এতো মায়া কান্না তাদের প্রতি কোন ভরসা নাই। তাদের কাছে গেলে উস্টা খেতে হতে পারে বলেই ভয়ে নিজের লোক দিয়ে কোনমতে নির্বাচনে জিতলেই তো খেল খতম। খালি আরাম আর আরাম। তারপরে জনগন জাহান্নামে যাক না মরুক তাতে উনাদের কি। অথচ বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া এতোই কম যে, তারা চালের দাম একটু কম আর নিরাপরে চলাফেরা করতে পারলেই তারা খুশি। সোজা সাপ্টা কথা হচ্ছে, জনগনের জন্য কাজ করবেন, জনগন আপনাদের এমনিতেই ভোট দিবে। খুবই সিম্পল। আর নয়-ছয় করবেন তো যা ভোট আছে তাও যাবে।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনানদেজ-তারানকো প্রস্তাব করেছেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে। এযাবত কালে যত প্রস্তাব শুনলাম এটাই সবচেয়ে ভাল প্রস্তাব। এবং শুধু এইবার নয়, পরবর্তী ৪ টা নির্বাচন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। একমাত্র তা হলেই নির্বাচন ব্যবস্থার একটা স্থায়ী সমাধান হয়। শুধু তাই নয়, একমাত্র এভাবেই আমাদের দুষ্ট রাজনীতিবীদদের জনগনের কল্যানে মনোনিবেশ করানো সম্ভব।

আওয়ামীরা ছাড়া দেখলাম সবাই তারানকোর প্রস্থাবে সম্মতি দিয়েছে। আওয়ামীরা দেয়নি কারণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ফল তারা খুব ভাল করেই জানে। যাই হোক, তারা আবার ধুয়া তুলেছে জাতিসংঘ নির্বাচন করে দিলে নাকি আমাদের সম্মান (যদি থাকে কোন) ধুলোয় মিশে যাবে। আমরা স্বাধীন জাতি আমাদের নাকি নাক কাটা পরবে। কিন্তু আবার যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভিক্ষার টাকা চুরি করে ধরা খেয়ে প্রোজেক্ট বাতিল হয়ে যায় তখন কিন্তু এদের লজ্জা করেনা। অথবা স্বাধীন দেশের মানুষদের মেরে যখন অন্য কোন দেশ কাটা তারে ঝুলিয়ে রাখে তখন তাদের চিপলেও চেতনা বাইর হয় না। কি আর কমু।

আমরা ২ দলের এই ক্ষমতার খেলা থেকে রেহাই চাই। প্রতিদিন মৃত মানুষের খবর আর স্বজনের আজাহারি দেখতে তো আর ভাল লাগে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×