somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৪ পর্ব

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৪ পর্ব
বাবার অনেক স্বপ্ন। পড়াশুনায় মোটামুটি ছিলাম। বেশি পড়াশুনা না করলেও কেমন করে যেন প্রতি পরীক্ষায় রেজাল্ট ভাল হয়ে যেত। বিস্ময় প্রকাশ করত সবায় । আসলে যেটুকু পড়াশুনা করতাম, করার মত করতাম। মা বাবার মনে দুঃখ দিতে চাইনা। তাই তাদের অনেক আবদার প্রশ্ন না করেই মেনে নিতাম। মা ইচ্ছা পোষণ করেছে আমার বিয়ে দেবে। লাল টুকটুকে বউ ঘরে তুলবে। বউ নুপুর পায়ে এ ঘর থেকে ও ঘরে যাবে, ঝুমুর-ঝুমুর শব্দ হবে। সেই আনন্দে ভরে থাকবে মায়ের মনটা। জানি না মায়ের এই স্বপ্ন পূরণ হরেব কিনা! যদি না হয় জানি মা খুবই কষ্ট পাবে। সেই কষ্টে আমাকেই হয়তো ভবিষ্যতে কষ্ট পেতে হবে। কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা আমার মনে হয় ঠিক না। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। বিশ্বাস করে ফেলি কাউকে হঠাৎ করেই। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে যেয়ে বিয়েতে আমাকে রাজি হতে হবে! কী জানি, বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে কি-না! একমাত্র ছেলে হিসাবে একটু বেশি মাত্রায় আশা থাকতে পারে আমাকে নিয়ে। আমার যত সব আবদার সাধ্যমত পূরণ করার চেষ্টা করেছে মা-বাবা। তাই আামিও তাদের আবদার পূরণ করার চেষ্টা করি। একদিন মা আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে ফেললো,
“তারুণ্য তুই তো অনেকের সাথে উঠা-বসা করিস, তুই আবার কাউকে পছন্দ করিস না-তো?”
মা’র প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি আমি। হেসেই উরিয়ে দিয়েছি। মা ও আমার সাথে হেসে ফেলেছিল। কখন যে বাড়ি যাব! এায়ের মুখটা দেখব। মনটা অস্থির হয়ে উঠল। যোগাযোগ ঠিক রাখার জন্য মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে বাবা। মাঝে-মধ্যেই বাড়িতে মোবাইল করি। এক কাজ করি, মোবাইল করে জানিয়ে দিই আমার আসতে দেরি হবে। তারা যেন চিন্তা না করে। পকেট থেকে মোবাই বের করে মোবাইল করতে যাব, মূহুর্তে চোখ পড়ে গেল শ্রাবস্তীর দিকে। শ্রাবস্তী ট্রেনের কামরা থেকে নামছে। বুকের ভিতর কী যেন হয়ে গেল। মোবাইলটা পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে দৌড় দেবার প্রস্তুতি নিলাম। হ্যাঁ, শ্রাবস্তী আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। কী যে আছে আজ কপালে! বুঝতে পারছি না। শ্রাবস্তী কি আমাকে ব্লাকমেইল করবে? ও যদি কোন অপরাধী দলের সদস্য হয়ে থাকে, তবে ওর সাথে নিশ্চয় আরো লোকজন থাকতো। অথচ এখানে কোন লোকজনও নেই। আমি আর শ্রাবস্তী। শ্রাবস্তী একটি মেয়ে আর আমি ছেলে। কিসের ভয়। শ্রাবস্তী এদিক-ওদিক কিছু করলে এবারে ছেড়ে দেব না।
শ্রাবস্তী আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। হাতে থাকা ব্যাগটা ভারী বলে কষ্ট হচ্ছে শ্রাবস্তীর। একবার বাম হাতে একবার ডান হাতে নিচ্ছে ব্যাগটা। হালকা গোলাপী রঙের সালোয়ার কামিজ পরা শ্রাবস্তীর। শ্রাবস্তী এসে আমার থেকে দূওে দাঁড়াল। কিছু যেন বলবে আমাক্ েসেই মায়াবী চাহনি। শ্রাবস্তীকে কেন যেন আমার আপন মনে হচ্ছে। ও কি যেন বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না। মাঝে-মধ্যেই শ্রাবস্তীর লার ঠোঁট দুটো মৃদু নড়ে উঠছে। আমি স্বভাবিক। যা হবার তাতো হবেই, চিন্তা করে কোন লাভ নেই। শ্রাবস্তী কথা বলছে না। হয়তো বুঝতে পারছে আমার সাথে ওরকম ব্যবহার করা ঠিক ওর হয়নি। নাকি কামরাতে একা বলে ভয পেয়ে আমার সান্নিধ্য চাইছে। শ্রাবস্তীর সাথে হঠাৎ এই অল্প সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করার চেষ্টা করছি।

নিয়মিত চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×