somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”৩৪পর্ব

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩৪পর্ব

কোন উত্তর মুখে এলো না। পেছনের দিকে মুখ করে শ্রাবস্তীকে বললা, “বলবো?”
শ্রাবস্তী খুবই আস্তে বলল, “প্লিজ অন্য কথা বলে দেন।”
তনয় কৌত’হলী স্বরে বলল, “কিরে কি বলছিস তোরা?”
“কিছু না, তোর আসতে দেরী হলো যে?”
“ও একটু তেরি হয়ে গেলো। তা এতক্ষণ কিভাবে কাটলো তোদের?”
তনয়ের দিকে নজর ঘুরাতে যেয়েই দেখতে পেলাম টেবিলের উপর ভঙিা কাঁচ। কাঁচের সামান্য মাথা বেড়িয়ে আছে। দেখে বললাম, “ঐ ভাবে ভাঙা কাঁচ কেউ টেবিলে রাখে? তোর কি কোনদিন বুদ্ধি শুদ্ধি হবে না?” তীক্ষè ভাবে তাকালাম তনয়ের পানে। তনয় টেবিলের কাছে এসে বের হয়ে থাকা কাঁচটা একটু সরিয়ে দিয়ে বলল, “তারুণ্য আর একটু বস। আমি এখনি আসছি। ব’লে আবার বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল।
“আরে আবার কোথায় যাবি? আমরা পরের ট্রেনে চলে যাব।”
“ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। বৃষ্টি কমলে তারপর”-তনয় বলল
“না মানে কোথায় যাচ্ছিস? তোর সাথে অনেক কথা আছে।”
“আমি যাব আর আসব।” বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে টেবিলে একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়েÑ“এখানে কমলালেবু আর বাদাম আছে । দয়া করে এগুলো দিয়ে মুখ নাড়াতে থাকুন। আমি এখুন আসছি।”
শ্রাবস্তী ঘাড় নাড়ল।
আমি বললাম, “এই তনয় চা খাওয়া দরকার যে।”
“রান্না ঘরে চা চিনি কৌটায় দুধ সবই আছে।”
“তাহলে কি তোর বাড়িতে এস চা তৈরী করে খেতে হবে?”
“কী করব বল। আমাদের ভাগ্যে তো ..হবে না..।”
তনয়ের কথার জের ধরে বললাম,“থাম-থাম তোর আর বক্তৃতা দিতে হবে না। যেখানে যাচ্ছিস সেখানে থেকে তাড়াতাড়ি ঘুড়ে আয়।”
অীর স্বরে তনয় বলে, “গেলে তো তোর ভালই হয়।” তারপর শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে বলে, “ঠিক আছে, আমি যাব আর আসব।” বলে তনয় চলে গেল।
শ্রাবস্তী বলল, “আপনার বন্ধুতো বেশ রসিক!”
“হ্যাঁ, ও খুব মজা করে কথা বলতে পারে। দেখুন তো রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে?”
“হ্যাঁ।” বলে শ্রাবস্তী ন¤্রস্বরে বললো, “আপনাকে খুব কষ্ট দিলাম?”
“কষ্ট আর কী। সবই তো পরিস্থিতির স্বীকার।”
“জামা একটু পরে পরবেন। এখনও কি ব্যাথা করছে?”
আমি কিছু বললাম না। ঘুরে দাঁড়ালাম ওর দিকে মুখ করে । মৃদু হাসি এলো । শ্রাবস্তীর প্রতি যেন কেমন একটা অনুভ’তি জন্ম নিচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ ফসকে বলে ফেললাম, “ব্যাথা করছে ঠিকই কিন্তু এখন ততটা বুঝতে পারছি না।”

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×