একটূ ব্যাক ট্র্যাক করে পিছনে ফিরে যাই। আপনি কিছুই বুঝেন না । প্রাণচঞ্চল এক কিশোর । হঠাৎ করে আপনি চলমান নীল আলোকচিত্রের হাতছানি পেলেন। সে জিনিসে বুঁদ না হলেও এরপর থেকে যে এট লিস্ট সেটার হাতছানি চালিয়ে গেছেন এটা মোটামুটি সিউর। এরপর কোন একদিন বিভিন্ন নিল অন্তর্জাল ভিত্তিক জায়গাইয় আপনার গবেষণা অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে চালিয়ে গেলেন। কি পেলেন ? পেলেন ক্যাটাগরি ভিত্তিক নীল ... নানা রকম বিন্যাসের নীলে নীলাঞ্জনারা নক্ষত্র খচিত উদম দেহের অথবা শুধুই উদম দেহের দৈহিক আভ্যন্তরীণ নীলের নীলোত্তাপের একের পর এক তাপমাত্রা আপনি অনুভব করছেন । সেই সাথে আপনি আরো বেশি উত্তাপ মস্তিষ্কে অনুভব করবেন যখন কিনা আপনি সমকামি নীল খুঁজে পাবেন । এও সম্ভব ! অস্ফুট স্বরে বলে উঠবেন। আপনি শিখলেন কোথা থেকে ?? লোকেশন কই? নীল শিল্পালয়গুলো কই (আমি সূতিকাগার নিয়ে বলছি) ? একবার ভেবে দেখেন তো, এই জিনিসগুলোর ধারণা , তাদের (নীল শিল্পকলাদের) মাথায় কি হঠাৎ এসে গেছে ? না, হঠাৎ আসে নি। সেই সমাজে এগুলো নিত্য ব্যাপার বলেই সেগুলো দিয়ে ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার প্রয়াসেই তাদের এই শিল্প গড়া
এরপর সেই সমাজে সমাকামি নীল বেড়ে যাচ্ছে এক্সপোনেনশিয়ালি। খুব কাছ থেকে চিন্তা করেন, সরকার যদি এদের এই কাজে বৈধতা দেয় , তাহলে কি হবে ? সমকামিদের কাছে তো গ্রহণযোগ্যতা পাবেই সেই সাথে কিয়দংশ হেটারোদের (ইংলিশ+ বাংলাবিভক্তি) কাছেও পাবে। এখন আমার কথা কি? আমার কথা হচ্ছে, তাদের সমাজে কাজটা চলতো গোপণে। কিন্তু এ ধরণের নীল কাজে অংশ নেওয়া মানুষের সঙ্খ্যা প্রচুর। সরকারের বৈধতা দেওয়া না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। বৈধতা থাকলেও করবে, বৈধতা না থাকলেও করতো। তাহলে সেই সমাজে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে আমাদের এত মাথা ব্যথা কেন ? হ্যা, মাথা ব্যথা থাকতো । কখন থাকতো ? যদি সেখানে অকাতরে মানুষ মেরে ফেলা হতো , অথবা মানুষকে জড় করে বিপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হতো। সেগুলার তো কিছু হয়ই নাই। উলটা মানুষ গেছে খারাপ পথে। সরকার খারাপ পথটা চালু করতে বাধ্য হইছে। ঐ সমাজের এই ঘটনায় আমার কিছুই যায় আসে না ।
আসি বাঙ্গালি নামে এক বোকাচোদা জাতির প্রসঙ্গে। আজকে রাতে যদি উত্তর আমেরিকার কেউ একজন গু খেয়ে "It's so yammi. seriously " বলে ফেইসবুকে পোস্ট করে সেই ছবিতে যদি কয়েক লক্ষ লাইক এবং কয়েক সহস্র লাইক থাকে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, ঢাকা শহরের অন্তত করে হলেও ২০ হাজার লোক এই কাজ টা করে ফেইসবুকে গর্বের সাথে ছবি ভরবে ।
গে দের সমস্যা কই ? শরীরে ?? না রে ভাই ... সমস্যা মানসিকতায় । লেসবিয়ানদের সমস্যা কই ? সেইম , কথা ... সমবেদনা জানাই, তাদের যারা অর্ধেক নর , অর্ধেক নারী হিসেবে বেঁচে আছেন । কত কষ্ট করে প্রতিটি দিন অতিবাহিত করছেন । তাদের অধিকার প্রতিষ্টা হোক। গে তথা লেসবিয়ানদের একই সাথে ছেলে বা মেয়ের অধিকার না দিয়ে তাদের (যারা দৈহিক ভাবেই অর্ধ পুরুষ, অর্ধ নারী) এট লিস্ট মানুষের খাতায় নামটা তুলে দিন । let them live.
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১২