ইসলামী রাজনীতি ও রাসুল (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ওপর গতকাল বৃষ্টির ধারার মতো একের পর এক জুতা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ সময় তাকে ‘কুত্তা’সহ বিভিন্ন শব্দ প্রয়োগে ভর্ত্সনা করা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে একপর্যায়ে পালিয়ে যান মন্ত্রী শাজাহান খান।
গতকাল সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে জুতা নিক্ষেপের শিকার হন শাজাহান খান। মুহুর্মুহু জুতা নিক্ষেপের কারণে এ সময় সেখানে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান অতিথির বক্তব্যের একপর্যায়ে মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘ইসলাম পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এ ধর্ম নিয়ে রাজনীতির খেলা বন্ধ করুন। রাসুল (সা.) ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেননি। কোরআনের কোথাও ধর্মীয় রাজনীতির কথা নেই। কোরআনে এ সম্পর্কে কোনো আয়াত নেই। রাসুল (সা.) ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পছন্দ করতেন না। তিনি এ কাজটি কখনও করেননি।’
তখন মুসল্লিদের মধ্য থেকে একজন দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ করেন এবং জানতে চান, মুসলমান হিসেবে মন্ত্রী কেন তাহলে রাজনীতি করছেন। এ সময় অন্য মুসল্লিরাও মন্ত্রীর এ কথার ব্যাখ্যা দাবি করে হইচই করতে থাকলে মন্ত্রী কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে উত্তেজিত বক্তব্য রাখলে মুসল্লিরা তাকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় মন্ত্রীসহ অনেকের গায়ে জুতা গিয়ে পড়তে থাকে। মুসল্লিরা উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, ‘আমরা তোমাকে চাই না, ওকে আনছেন কেন, কুত্তা এখান থেকে ভাগ।’ এ সময় বৃষ্টির মতো জুতা নিক্ষেপ হতে থাকে মঞ্চে।
অবস্থা বেগতিক দেখে মন্ত্রীর নিরাপত্তাকর্মী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোকজন মন্ত্রীকে দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। অতি দ্রুত তিনি ইমলামিক ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এ সময় পেছন থেকে মুসল্লিরা ‘ধর ধর’ আওয়াজ দিতে থাকেন। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরও মুসল্লিরা বলতে থাকেন যে, ‘জুতা মারছে, একেবারেই রাইট করছে। গালে দুইটা মারা দরকার ছিল।’
এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজলসহ আয়োজকরা হতভম্ব হয়ে যান। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর দেখা যায় মঞ্চে বহু জুতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেগুলো মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মূল অংশের বাইরে পূর্ব চত্বরে বেলা ৩টা থেকে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। তবে বাদ মাগরিব প্রতিযোগিতার মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
জুতা নিক্ষেপের ঘটনার পরপরই তার সঙ্গে ইফা ডিজি শামীম মো. আফজলও চলে যান। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর বাদ এশা ফের কিরাত প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
উল্টাপাল্টা বললে জুতা খেতে হয়, জনগণ আর কত সহ্য করবে? ???
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।