বিসিবি কর্মকর্তাদের পাকিস্তান প্রীতি!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
ঢাকা: পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ হবে না বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান হবে। যে দেশে খেলা হয় সাধারণত সেই দেশের নাম আগে আসে। বাংলাদেশে হয়েছে উল্টো। যতগুলো ব্যানার ফেস্টুন লেখা হয়েছে সবগুলোতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে আগে নিয়ে আসা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতি বেশি প্রেম থেকে এটা হয়েছে, না ভুল করে তার ব্যাখ্যা অবশ্য কেউ দিতে পারেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মঞ্জুর আহমেদের মতো শান্তশিষ্ট মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হন, তখন বুঝতে বাকি থাকে না অন্যদের অবস্থা কি?
যে প্রতিষ্ঠান ফেস্টুনগুলো ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েছে, সেই একটাস লিমিটেড ভুলের দায় নিতে রাজি না। তাদের যুক্তি হলো, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কুল অ্যান্ড কুল যেভাবে তাদেরকে দিয়েছে, সে ভাবেই ছাপিয়েছে তারা। একটাসের কর্মকর্তা নেওয়াজ সোহাগ জানানেল,“আমাদের কোন ভুল নেই। আমাদেরকে যা বলা হয়েছে সেটাই করেছি।”
দায়টা আসলে বিসিবির ওপরই বর্তায়। তাদের গাফিলতিতেই এই ভুল হয়েছে। বিসিবির মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্ব হলো স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লোগো এবং খেলা সংক্রান্ত খেলাগুলো প্রকাশের আগে চেক করে দেখা। বিসিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা খেয়ালই করেননি।
শুধু ব্যানার ফেস্টুন না টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য যে ট্রফিটা দেওয়া হবে সেখানেও লেখা হয়েছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। বিসিবি সিইও সোমবার সন্ধ্যায় ভুলের বিষয়ে অবগত হয়েছেন। অথচ সেই সকালেই বিসিবিতে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিইও বাংলানিউজকে জানিয়েছেন,“আমি শোনার পর নির্দেশ দিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব সবগুলো ব্যানার ফেস্টুন পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য। আশা করি খেলা শুরুর আগেই সব বদলে যাবে।”
"দেখুন, পাকিস্তানের ঊর্দু গান শুনতে পাকিস্তানের সিনেমা দেখতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো কম্পিটিশনে আমি পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতে পারি না। আমি পাকিস্তানের বিজয় সহ্য করতে পারি না। অনেকে বলবেন এটা রেসিজম, অনেকে বলবেন এইটা বোকামি। অনেকে বলবেন এটা স্রেফ বুলিসর্বস্ব দেশপ্রেম। আমি বলবো, না, এটা একটা আদিম রেপটিলিয়ান অনুভূতি। এ অনুভূতির নাম ঘৃণা।
পাকিস্তানকে বা তাদের আপামর জনগণকে ঢালাওভাবে ঘৃণা করি না আমি। ওদের দেশে একটা মেয়ে ধর্ষিত হইলে বা ষাট লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হইলে আমার মায়া হয়।
আমি ঘৃণা করি পাকিস্তানের ঐ পতাকাটারে। ঐ পতাকা, যার দোহাই দিয়া পাকি আর্মি আর কুলাঙ্গার রাজাকারেরা লাখ লাখ নারীরে ধর্ষণ করছিলো।
যেই পাকিস্তানীরা পাকিস্তানের সমর্থনে এদেশে আসবেন, তাদের আমি কিচ্ছুটি বলবো না। তাদের দেশ তারা সমর্থন করতেই পারে।
যেই 'বাঙালী'রা স্টেডিয়ামে গিয়া পাকিস্তানের জন্য চিয়ার করবেন তাদের পরিপাকতন্ত্রের বহির্গমন দ্বার দিয়ে বাঁশ ঢুকায়া অন্তর্গমন দ্বার দিয়ে বের করে দিতে মন চায়।
পারি না। আমার এই অনুভূতিকে পাকিস্তানের সাপোর্টাররা বলেন 'ফেইক দেশপ্রেম'। আমি বলি ঘৃণা। এই বেজন্মাদের প্রতি ঘৃণা" courtesy : --- Meem Arafat Manaab
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন