
‘গূঢ়ৈষণা’
(অমিত্রাক্ষর)
স্বপ্নিল পরিবেশে সারারাত একলা বসেছিলাম,
স্বপ্নরা স্বপ্রকাশ হলে স্বপ্নময়ী স্বপ্নাবিষ্ট হয়েছিল,
স্বপ্নলোকে প্রবেশ করে মানসী হয়েছিল স্বপ্নচারিণী।
কত কথা জমেছিল মনে, পাশে বসে গল্প করব দুজনে,
প্রেমাসন সাজিয়েছিলাম পাশাপাশি বসার আশে নির্জনে,
তোমাকে ধরতে চেয়ে হতাশ হয়ে স্বপ্নোত্থিত হয়েছিলাম।
স্বপ্নে দেখেছি আবডাল থেকে কেউ আমাকে ডেকেছে,
গন্তব্যে পৌঁছার জন্য আমি একলা পথে নেমেছি,
কে যেন কানে কানে ডাকে, নিরালায় বসে আমি শুনেছি,
কে সে, পর নাকি আপন? তা আজো না জানতে পেরেছি।
আষাঢ়ের আকাশে ঘনরস জমছে, হয়তো ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে,
ঝিরঝিরে বৃষ্টি অঝোরধারায় ঝরে পরিবেশে বর্ষামুখরিত হবে,
বৃষ্টিধোওয়া ফুল তোমার কানড়ে গুঁজে দিতে চাই,
বাদলসন্ধ্যায় তোমার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই,
বৃষ্টিসজল হলে তোমার জেল্লায় জোলো হাওয়ায় আগুন লাগবে,
আমি উন্মনা হয়েছি, মনে আনচান ভাব, তুমি কখন আসবে?
চাঁদিনিকে মনের কথা বলতে চেয়েছিলাম, চাঁদিনি তা শুনেনি,
অভিমান করে বোকা মন বেঁকেছে, গূঢ়তত্ত্ব আমি জানিনি,
বেহেলার ভ্যান ভ্যানানি আর মন্দিরার টুনটানি,
আউলা ঝাউলা সুরে গাওয়া দুঃখের গান শুনে,
ঝগড়াঝাঁটি করতে না পেরে কোন্দলিয়া বুড়ি হয়েছে উদাসিনী।
© Mohammed Abdulhaque
আর পড়তে চাইলে এখনে ইবই আছে...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



