(অমিত্রাক্ষর)
পর্ব ২
---
সকাল বিকাল আদল বদল হয়, মানুষ বদলে না,
দেখলাম কত মানুষ ভবে শয়ে শয়ে শুদ্ধ মানুষ না দেখলাম।
দিনে জ্বলে লাল হয় সূর্য রাতে জ্বলে না,
আকাশে চাঁদ অম্লান থাকে তারা দেখা যায় না,
ঝলমলে জুনিপোকা উড়ে, চকোরি জ্যোৎস্না পান করে,
বুকের ভিতর তুষেরাগুন জ্বলে ধোঁয়া বার হয় না,
বিষণ্ণ বাতাসে আতঙ্ক, আকাশে অশ্রু,
রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বেনারসী,
শবরীর তিরে নিথর সারস, ডানা মেলেছে সারসী।
অনুস্মৃতি অনুস্মরণের জন্য মন ফিরে যায় অতীতে,
সুখ যত ছিল সব হারাতে শুরু করেছে স্মৃতিপথে,
আমি বিমনা হয়ে ভাবি, কী যেন হারিয়েছে,
কী যেন খুঁজে পাই না, কী যেন আমাকে ভাবায়,
অহর্নিশ নিমগ্ন থাকি আমি ঘুমাতে পারি না রাতে।
আজ কতদিন হয় স্মৃতি আমাকে কাঁদাতে পারেনি,
সেই কবে গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়েছি, আর ফিরেনি,
আজ কতদিন হয় আমি রাত জেগে স্মৃতিচারণ করিনি,
কবে থেকে আধার গৃহে দীপ জ্বলছে, আজো নিবেনি,
আজ কতদিন হয় বিরহের কবিতা লিখে বিরক্ত হইনি,
পাষাণ হয়ে জেনেছি আমার মনাসী হয়েছে পাষাণী।
নদীর স্রোত সাগরে যেয়ে ঘুরেফিরে নদীতে আসে,
সেও এসেছিল ফিরে তবে অপরিচিত বেশে,
তাকে চেনা হয়নি যদিও বসেছিলাম দেখার আশে,
পরিচিতজন অপরিচিত হলে মন বেজার হয়,
প্রিয়জন অচেনার মতো অভিনয় করলে,
কষ্টে ক্লিষ্ট হয়ে বরণ করতে হয় পরাজয়।
পূবালী বাতাসে শিমুলের তুলা ভেসে যায় পশ্চিমে,
আমার চটফটানি দেখে চাঁদ হাসে আষাঢ় মাসে,
বধূর মনের খবর শুনার জন্য উচাটন আমার মনে,
বধূকে নয়ন ভরে দেখার জন্য মন ভেসেছে শূন্যে।
মনে-প্রাণে চাইলাম যারে তার সাথে মোর শোয়া-বসা,
মনের মিল হলে মনের জোরে প্রকাশ হয় ভালোবাসা,
মনে পুষি অহিংসা মনের ভিতর লুকিয়ে রাখি হিংসা,
বিদ্বেষীরা গোপনে বিদ্বেষ করে মনের বিষে মরে মনসা।
রূপচাঁদকে ধনভাণ্ডারে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম,
সোনার খনি পাওয়ার পর সে অবহেলিত হয়েছে,
অষ্টধাতু গলিয়ে রূপবতীর জন্য ললন্তিকা বানাব,
চিন্তার কারণ নেই, রাজরোগে আমি আর রোগা হব না,
গুপ্তধন এবং গুপ্তব্যাধির গূঢ়তত্ত্ব মাত্র কয়েকজন জানে,
গূঢ়ৈষণার গূঢ়ার্থ জানার পর গুণ্ডার গুণ্ডি গুণ্ডিত হয়েছিল।
© Mohammed Abdulhaque
দয়া করে মতামত জানাবেন।
এটা কোনো চিরায়ত কবিতা নয়, এটা সত্যিকারের অমিত্রাক্ষর, মানে ফ্রিস্টাইল (freestyle)।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



