
একঃ-
‘অন্তরে ধরেছে ঘুণ’
প্রিয়ার বিরহে নিরালায় বসে কবি লিখে কবিতা,
প্রিয়া তখন মনানন্দে গুনগুনায় বিরহের রচয়িতা,
নির্জনে বসলে একলা মন বিমনা হয়,
বনে বসে বাজায় বাঁশি দেয় না দেখা,
তারে চিনি আমি জানি সে বড় বাঁকা।
ধেয়ান করে মনের চোখ মেলে দেখি অন্তরে ধরেছে ঘুণ,
মনে লোভ আমার ধেয়ানে বিভ্রান্তি করি কেমনে শোধন?
দুইঃ-
‘অন্যের অপকার’
কালাকালে কালের কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়েছি,
বিপাকে পড়ে জেনেছি আবেগের ঈষে হালচাষ হয় না,
জল ভাটিতে যায় কিন্তু রাগলে আখে আগুন লাগে না,
সবদিক নৈতিক হয় মানুষ যখন বাস্তবিক চিন্তা করে,
যোগের যোগ্যতায় সুযোগ্যরা সুযোগ পায়,
তক্কে তক্কে থাকলে স্বার্থান্ধ হয়ে মানুষ অন্যের অপকার করে,
আশ্বাসে আশীর্বচন জপে আশীর্বাদ করেও অনেক অভিশপ্ত হয়।
তিনঃ-
‘অত্যাচারে অত্যাচারিত’
প্রভাব-প্রতিপত্তির বিত্তে বিবেক বিকৃত হচ্ছে,
উৎপ্রাস উল্লাসে মানুষ মানুষের কলিজা চিবিয়ে খায়,
সত্যাসত্য জেনে সভ্যতা বিপর্যস্ত হয়েছে,
হায় মানবতা, তুমি কেন আত্মহত্যা করলে?
জানি তুমি নিরুত্তর এবং স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করে খুব ভালো করেছ,
নইলে আমি তোমাকে হত্য করতাম,
তোমাকে হত্যা করলে আমি অত্যাচারে অত্যাচারিত হতাম নিষ্ঠুর।
চারঃ-
‘পলাশতলে মেলা’
আমাকে ফতুর করার জন্য বৈশাখমাসে পলাশতলে মেলা বসে,
ধান বেচে টুনির জন্য আলতা শাড়ি কিনেছিলাম হায়ন আগে,
বাগানে আগুন লাগে পলাশ যখন খিল খিল করে হাসে,
রণে যেতে চাই না, আজানের সুর শুনলে গ্লানি ক্লান্তি দূর হয়,
দরবেশের পাশে বসে জীবনচর্চা শিখি, দোয়া যেচে ধন্য হই,
আমি পাপ করেছি, সন্ত হওয়ার ইচ্ছা মনে নেই,
সর্বস্বান্ত হয়ে ভালোমানুষ হওয়ার জন্য মৌনব্রত করেছি।
© Mohammed Abdulhaque
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



