ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের একজন দীনেশচন্দ্র গুপ্ত। ভারত উপমহাদেশে বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ঢাকার দীনেশ গুপ্ত অন্যতম। যিনি দীনেশ গুপ্ত নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি ঢাকা ও মেদিনীপুরে বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। মেদিনীপুরে তাঁর সংগঠন পরপর তিন জন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করেছিল। তিন বাঙালী যুবকের সেই সংগ্রাম আজও আমাদের অবাক করে। কতটা সাহসী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে এইরকম আক্রমণ শানানো যায় তা ভাবার বিষয়। পুলিশের তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে রাইটার্সে ঢোকা এবং বেরোনোর পথ রুদ্ধ জেনেও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মানসিকতা দেখে উদ্বুদ্ধ হয় বিপ্লবীরা। ওই যুদ্ধে ভীষণভাবে আহত মুমূর্ষু অবস্থায় দীনেশ ও বিনয় ধরা পড়েন। দীনেশের বিচারের জন্য আলীপুরের সেসন জজ মি. গ্রালিকের সভাপতিত্বে ব্রিটিশ সরকার এক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। উক্ত ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে চলে প্রহসনের নাটক। বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। ইংরেজ সরকার ১৯৩১ সালের ৭ জুলাই দীনেশের ফাঁসি কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। ওই দিন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে খুন করা হয় বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে। । আজ এই বিপ্লবীর ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বনামধন্য বাঙালি বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। বিপ্লবী দিনেশ গুপ্ত সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১০