30.04.05
তুমি আমি সেদিন যে ঘরে এঁকেছিলাম ভালবাসার ছবি,
হেসেছিলাম সকল দুঃখ ভুলে-
আজ সে ঘরে হয়তো বসত করে অন্য কোন কেউ
নয়তো মানুষহীন ঘরখানি ভরে গেছে
অবহেলার ঝুলে ।।
তুমি আমি সেদিন যে স্নানঘরে গেয়েছিলাম মিলনের গান,
কুঁড়িয়ে নিয়েছিলাম প্রেমের শেষ জলবিন্দু-
আজ সে স্নানঘরে নিঃশব্দ আঁধারে একাকী
কেঁদে যায় হয়তো শুঁকিয়ে যাওয়া সেই
ভালবাসার সিন্ধু ।।
তুমি আমি সেদিন যে আয়নায় দেখেছিলাম সুখী যুগলবন্দী;
ভুলেছিলাম জগতসংসার-
আজ সে আয়নায় হয়ত ধুলো জমে গেছে
নয়তবা পারদের পলেস্তরায় জং ধরে গিয়ে
ছড়াচ্ছে হাহাকার ।।
তুমি আমি সেদিন যে হলঘরে রচেছিলাম স্বপ্ন হাজার;
বুনেছিলাম ভবিষ্যতের কাম্য সফলতা-
আজ সে হলঘরে কত নতুন কলরব
মুছে দিয়ে যায় প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা
প্রণয়ের পাতা ।।
তুমি আমি সেদিন যে পথে হেঁটেছিলাম অনেক রাত;
দেখেছিলাম চাঁদের আলোয় বকুলের মাখামাখি-
আজ সে পথে ঝরে আছে অজস্র মৃত বকুল
গন্ধ নাই তবুও তারে হাতের মুঠোয়
সযতনে রাখি ।।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




