আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার পেট চলে কাজকর্মের বিনিময়ে। কর্ম ব্যস্ততার কারণে অনেকের মতো আমারও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত জানবার বা খোজখবর রাখবার সময় হয়ে ওঠে না। কিংবা আগ্রহ থাকে না। সবার সব বিষয় জানবার বা সব বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করবার কথাও না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করবো। পাশাপাশি যতটা সম্ভব আশেপাশের মানুষদের নিয়ে ভাববো। এটাই আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।
আমাদের 'যারা রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন' তারা দেশ ও বিশ্বের রাজনীতির খোজখবর রাখবেন। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন সংশ্লিষ্ট মানুষজন এবং দেশের বুদ্ধিজীবী মহল। (দেশের ভালোমন্দ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করাটাই যাদের একমাত্র পেশা।)
পেপার পত্রিকা বা মিডিয়ার কল্যাণে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে আমি বা আমরা জানবো... সহজে দেশের, বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাবো। এবং নির্বাচনের সময় নিজের সিদ্ধান্ত জানাবো। - এটাই তো হওয়ার কথা ছিলো। তাহলে আমাকে কেন (আমার কাজের পাশাপাশি) দেশের রাজনীতি অর্থনীতি বিশ্বনীতি নিয়ে ডিটেইলসে ভাবতে হচ্ছে? এটা তো আমার কাজ নয়!
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি বা বিশ্বনীতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা যাদের করার কথা সেইসব গুণীজনগন কার হিন্দিচুল ছিড়ছেন?! কেনো আমি বা আমরা তাদের ভাবনাচিন্তায় বিশ্বাস রাখতে পারছিনা?! প্রশ্নটা আমার বা আমাদের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে কে করবে?! দেশের সাংবাদিক, গণমাধ্যম? তারা আজকাল কি করছেন? তারা তাদের কাজ করতে পারছে না কেন?
এইসব সমস্যার মূল কোথায়? স্বৈরতন্ত্রে...! স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির উপায় কি?!
২. দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি নিয়ে ভালো ধারণা না থাকলেও আমার পরিবার বা সমাজের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আমার ভালো ধারণা আছে। অর্থাৎ আমার পরিবার কিভাবে চলছে?! পাড়াপড়শিদের পরিবার কিভাবে চলছে?! এসব সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারণা আছে। বলতে পারেন, আমার পরিবার ও সমাজ সম্পর্কে আমি ধারণা রাখবার চেষ্টা করি। আমার মনে হয়- নিজের পরিবার ও সমাজ সম্পর্কে প্রত্যেকেরই মোটামুটি ধারণা থাকা দরকার। পরিবার ও সমাজের জীবননীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকালে দেশের রাজনীতি অর্থনীতি জানবার বা বুঝবার চেষ্টা করলে কিছুটা সহজে বুঝা যায়। এবং নির্বাচনে নিজের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে সুবিধা হয়।
৩. কিছুদিন ধরে সামুতে নিয়মিত আছি। ব্লগারদের লেখা পড়বার চেষ্টা করছি। এবং নিজেও টুকটাক (যতটুকু বুঝতেছি) লিখছি বা চেষ্টা করছি, যদিও আমি লেখালেখির মানুষ নাই; ভালো পাঠকও নই। আমি আসলে মাঝেমধ্যে গল্প ও কবিতা পড়ি...
দেশ বা বিশ্ব কঠিন সময়ের মধ্যে যাচ্ছে মনে হলে ব্লগের প্রাসঙ্গিক লেখা পড়ে, পেপার পত্রিকা টিভি টকশো ইত্যাদি দেখে পরিস্থিতি বুঝবার চেষ্টা করি। এনিওয়ে
এখন দুঃখের কথা হচ্ছে, সামুতে যিনি দেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত লিখতেন সামুর নিয়মভঙ্গ করায় তিনি এখন শাস্তিতে আছেন। ফলে আমি ঐ ব্লগারের সমসাময়িক লেখা বা চিন্তাভাবনা মিস করছি। শাস্তিতে ভোগা ঐ ব্লগার, তার ব্লগে বা কমেন্টে প্রায়ই দেশের বঞ্চিত মানুষদের কথা বলতেন। আমি নিজেকে বঞ্চিত মানুষদের একজন মনে করায়, তাঁর চিন্তাভাবনা বা লেখা আমার ভালো লাগতো।
ব্যান হওয়া ব্লগারের ব্যান প্রসঙ্গে এডমিনের সাম্প্রতিক ও পূর্বের প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পড়ে যতটা বুঝতে পেরেছি- 'অপ্রাসঙ্গিক বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করায় ঐ ব্লগারকে শাস্তির আওতায় নেওয়া হয়েছে বা প্রথমপাতায় পাথায় লেখার ও কমেন্ট করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। '
এই প্রসঙ্গে ব্লগ টিম বা এডমিনের সমীপে আমার কিছু জিজ্ঞাসা আছে। "আমি বা অন্যকেউ যদি কোনো সহ ব্লগারের ব্লগপোস্টে অপ্রাসঙ্গিক করি; তাহলে কি আমার বা অভিযুক্ত ব্লগারে প্রথমপাতায় লেখালেখির অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে? নাকি শাস্তি নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্লগার সম্পর্কে এডমিনের পূর্ব অভিজ্ঞতা বা সিদ্ধান্তের উপর?
( পরিস্কার করা ভালো, ব্লগে অপ্রাসঙ্গিক, আক্রমণাত্মক মন্তব্য অন্যান্য অনেকের মতো আমিও অপছন্দ করি। অপ্রাসঙ্গিক, আক্রমণাত্মক মন্তব্য মোটেও কাম্য নয়।)
''কমেন্ট বক্সে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা অপরাধে, নিজের ব্লগবাড়িতে বা প্রথমপাতায় লেখালেখির অধিকার কেড়ে নেওয়াটা কি অপরাধের চাইতেও বড় শান্তি নয়?"
কারো পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে, ' সহ ব্লগারদের ব্লগে অভিযুক্ত ব্লগারের কমেন্টের অধিকার কেড়ে নেওয়াটাকেই আমি যথাযথ শাস্তি মনে করি।
ছবিঃ সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:২০