somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুনোপুটির আকুলি বিকুলি

২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে ঘুম ভাঙতেই একটা ব্লগ ব্লগ গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো চারপাশে। কম্বলের চাদরে প্যাকেট করা শীতের সকালের নির্জনতা আর ঠান্ডার অলংকার হয়ে চলে এলো একদম নাকের পাশে - চিরচেনা সুরসুরি সহকারে ।

আমি কারন খুঁজছি। হতে পারে হঠাৎ আলসেমির সুযোগ পেয়ে অথবা একখানা ভাঙা ল্যাপটপ আর আপাতত সুলভ মডেমের খোজ পেয়ে অথবা একবারেই কাকতালীয় কিংবা আপাতত ধরেই নিলাম কোন কারন ছাড়াই।

প্রতিদিন রাতেই ঘুমাতে যাবার আগে ভাবি সবকিছু ঝেড়ে ফেলে আগামীকাল সকালে উঠে নতুনভাবে দিন শুরু করবো। কিন্তু তা কি আর হয়!! .... আজকের দিনের শুরু কেমন হবে তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে ব্লগ ব্লগ গন্ধটাকে অবহেলা করা যায়না।

অবহেলা করা যায়না 'সামু' নিকনেমের চায়ের দোকানটাকেও। দু'তিনদিন ধরে একটু ঘোরাঘুরি হচ্ছে। সাথে সাথে স্মুতিচারন হচ্ছে মাত্র কদিন আগের কিছু সময়ের। কাজের কাজ বাদ দিয়ে অকাজের পেছনে পড়ে থাকা। অন্যদের চোখে অকাজ তবে ব্লগাররা জানেন কখনো কখনো এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর হয়না।

কদিনে বেশ কয়েকটা লেখাই দেখলাম যার বিষয়বস্ত হচ্ছে 'আগের মতো আর ভালো লেখা পাওয়া যায়না কিংবা ভাল লেখকদের দেখা পাওয়া যায়না।'

কারন খুজলাম। সম্ভাব্য ব্যখ্যা হতে পারে দুটো।
এক.
লেখা আগের মতোই আছে। তবে আগে ব্লগার কম ছিলো তাই অল্পতেই চোখে পড়তো এখন বেশি তাই খোঁজাখুজি করতে হয় বেশি।
দুই.
পাঠক কম লেখক হয়েছে বেশি এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ভাল লেখকরা সবাই ভাল পাঠকে রূপান্তরিত হয়েছেন। ভাল লেখকরা একটু বেশিই দ্বায়িত্বশীল হয়ে থাকেন কিনা!!

অনেক জ্ঞানগর্ভ কথাবার্তা হয়ে গেলো। আসলে সবই বয়সের দোষ।প্রোফাইলে তাকিয়ে দেখি বয়স হয়েছে দুই বছর এক মাস। একদম কম না । একটা সিনিয়র সিনিয়র ভাব চলে আসে। আগে দেখতাম কে সিনিয়র আর কে নবাগত তা নিয়ে একটা মনস্তাত্বিক যুদ্ধ চলতো। নবাগতদের জন্য বেশি কথ বলা নিষেধ ছিলো অলিখিতভাবে। মাঝে মাঝে আবার সিনিয়র ব্লগারদের শীতল পাটি বৈঠক বসতো। কাউকে উপাধি কি শাস্তি দেয়া, কাউকে বয়কট করা অথবা 'এক দফা এক দাবী' টাইপের কোন ইস্যুতে। কখনো হয়তো একটু সাধ জাগতো, ইস! কবে যে ওখানে বসার সুযোগ পাওয়া যাবে। দুবছর তো পার হয়ে গেলো। বলি, এখন কি আমাকে একটু যায়গা দেয়া যায়??

"আপনি এখন আর লিখেননা কেন" কারো উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন আসা মানেই ধরে নিতে হবে ব্লগজগতে তার একটা মর্যাদা আছে । বেচারা তখন বিগলিত হয়ে লেখালেখি আরো কমিয়ে দেয়। একসময় যাদুঘরে শোভা পায় তার লেখা। আমি অবশ্য হারিয়ে গেছি অন্য কারনে। একটু বেশি চালাকি করতে গিয়ে । ওই সময়টাতে এদিক সেদিক অনেক গুলো ব্লগের জন্ম হয়। লেখক হবার আশায় আমাদের দৌড়াদৌড়ি বেড়ে যায়। কদিন আতেল আতেল ভাব নিয়ে সচলায়তনে গুতাগুতি করি। প্যাচালী হয়ে প্রথম আলোতে । মাঝখানে আবার ফেসবুক, ব্লগস্পট, ফ্লিকার আরো কত কি। যা হবার তাই হয়েছে। এখন আবার যথারীতি ভদ্র মানুষ। তবে একটু ভাবনায় পড়ি তখনই যখন অনেকদিন পরে কেউ একজন খুব সরল অনুভুতি নিয়ে বলে ভাই আপনি না ইন্টারনেটে কি লেখতেন । এখনো কি লেখেন নাকি। মজা লাগে।

লিখি না আসলে। উগরাই। যা মনে আসে তাই। ফ্রি যায়গা পেলে একটু ময়লা লাগিয়ে যাই। ট্যাক্স তো আর লাগেনা।


তবে একটা বিষয়ে খুব অপরাধবোধ কাজ করে। লেখকরা জাতির সম্পদ। কারো যোগ্যতা থাকলে লেখা উচিত। নিজে না পারলেও যে পারে তাকে অন্তত বাহবা দেয়া দরকার।

ভাবছি পড়বো। যাদের যাদের লেখা একসময় পড়তাম খুঁজে তাদের লেখা পড়বো। অন্তত ভালো হয়েছে একুটু বলতে পারবো।

যারা ব্লগে লেখে কমবেশি সকলেরই একটা পরিচিত সার্কেল তৈরী হয়ে যায়। আলোচনা সমালোচনা, বিতর্কে সময়টা তখন উপভোগ্য হয়ে ওঠে।শব্দ চর্চার জন্য একটা ইন্টিমেট সার্কেল জরুরী এটা কারো কারো মত। আমারও দ্বিমত নেই। দুচারজনের সাথে একসময় এধরনের ব্লগীয় সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো। সময়ের বাস্তবতায় এখন ছিন্নভিন্ন।

হয়তো হবে। আবার হবে।



সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:১৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×