স্বাভাবিক অবস্থায় হৃদপিন্ড ১ মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার স্পন্দন করে থাকে। এ ধরনের স্পন্দন খুব একটা বোঝা যায় না। যদি মুহূর্তের জন্য হলেও এই হৃদপিন্ডের স্পন্দন বোঝা যায় তাকেই স্বাভাবিক হৃদ কম্পন (পালপিটিশন) বলা হয়। অনেক সময় হৃদকম্পন হৃৎপিন্ডের কার্যক্ষমতার ওপর আঘাত হানে। ভূমিকম্পের মতহ হৃদকম্পনও মুহূর্তের মধ্যে অনেক ক্ষতি করতে পারে। তবে যুবক-যুবতীদের মাঝে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই হৃদকম্পনের কারণ হৃদরোগজনিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক হৃৎপিন্ড থাকা অবস্থায় হৃদকম্পন দেখা দেয়। দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা হৃদকম্পন বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে অন্যতম। এ ধরণের রোগীদের অটোনমিক নার্ভ অত্যাধিক অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকে। হৃদকম্পনের সময় নাড়ির গতি বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্টের এপেক্স বা চূড়ায় (যা সাধারণত বুকের বাঁ পাশে থাকে) ক্ষণস্থায়ী অথবা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অনুভূত হয়। এ ধরণের রোগীর অন্যান্য উপসর্গ যেমন মাথা ঘোরা, দীর্ঘশ্বাস ফেলা, পাতলা পায়খানা, ঘন ঘন প্রস্রাব করা ইত্যাদিও দেখা যায়। অবসাদগ্রস্ত রোগীরও অনেক সময় হৃদকম্পন হতে পারে। এছাড়া চা, কফি, বিভিন্ন ঔষধের যেমন (ভেন্টোলিন, এমিনোফাইলিন, এট্রোপিন, থাইরোক্সিন ইত্যাদি) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে হৃদকম্পন দেখা দেয়। মধ্যবয়সী মহিলাদের মাসিক বন্ধের কাছাকাছি সময়ে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গিয়ে হৃদকম্পন দেখা দিতে পারে। তাই হৃদকম্পন দেখা দিলেই মারাত্মক হৃদরোগ চিন্তা না করে সাধারণ কারণগুলো বের করা উচিত। এতে খুব সহজেই রোগীর রোগ শনাক্ত করা যায়।
আগামী পর্বে হৃদরোগ নিয়ে আরও কিছু বলব।
সুখে থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




