somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানঃ অনুচ্ছেদ ৭০(১) ও একটি প্রশ্ন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ (১) অনুচ্ছেদে আছেঃ

"কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে।"

উপরোক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যখন একটি রাজনৈতিক দল কর্তৃক গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত দলের কোন সদস্যের পছন্দ হবে না বা তার নীতির বিরুদ্ধে যাবে, তখনও ওই সিদ্ধান্তের পক্ষেই তাকে ভোট দিতে হবে। ভোট দানে বিরত থাকলে বা সংসদে অনুপস্থিত থাকলেও ধরে নেওয়া হবে যে তিনি দলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই কাজ করলে সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী তার সংসদসদস্য পদ বাতিল হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই অনুচ্ছেদ কি গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করবে? রাজনৈতিক দলগুলো যখন গলা উঁচিয়ে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন তখন এই অনুচ্ছেদের কথা তাদের মনে থাকে না? আবার সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধানের ৭০(১) অনুচ্ছেদ কি তাহলে স্ববিরোধী কথা নয়?

এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলা সংলাপ অনুষ্ঠানে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর আভ্যন্তরীণ শৃংখলা রক্ষার জন্য এই অনুচ্ছেদ জরুরি। সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তার কথার সমর্থন করে বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও এই অনুচ্ছেদ বাতিল করার অনুকুলে নয়।

বেশ ভালো কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো অন্য জায়গায়। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ শৃংখলা রক্ষার জন্য জাতীয় সংবিধানের কী দায় পড়েছে? সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রের কী হলো? রাজনৈতিক দলের শৃংখলা রক্ষার জন্য সংবিধানকে কেন বিতর্কিত করা হলো? জবাব কি দেবেন কেউ?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×