somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কিছু আজাব নামা...পর্ব-২

২৭ শে জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পর্ব-১ ঃ

গত পর্বের পরঃ
-------------

খাওয়া শেষে বিলটা সে নিজেই দিয়ে দিল... আমাকে দিতে দেয় নাই। মেয়ে মানুষরা সাধারনত এই জিনিসটা করে না। মেয়ে মানুষ "ত্যেগেই সুখ" এই টাতে বিশ্বাসী হয় না।

বিল দেয়া শেষে বললাম এখন কোথায় যাবা? বলে তোমার বাসায় যাব.... আমি তো অবাক! কয় কি?
আমার বাসায় কেন?
বাহ... তোমার বাসার সবার সাথে পরিচিত হব...
আরে এ তো দেখি আজিব পাবলিক... হুট করে কারে বাসায় নিয়া যামু?... আবার আমার থেকে সিনিয়র.... কি কইয়া পরিচয় দিমু.... আমার বাসায় আবার হুট হাট কাওরে নিয়া গেলে সন্দেহ করে...

বললাম.. তোমাকে তো আমার বাসায় কেউ চেনে না... হটাৎ নিয়ে গেলে সন্দেহ করবে... মনে করবে ভাগাইয়া নিয়া আইছি.... শুনে খুবই মজ্যা পাইল... কয়, তাহলে তারাতারি চল... আজ তোমার বাসায় যাবই...
এ কি জন্ত্রনা...

ভাল ভাবে বোঝানোর পরে বলে ঠিক আছে.. তাহলে চল ভার্সিটি যাই...

দুজন রওনা হলাম... ভার্সিটির দিকে... মাঝপথে সোনারগাও হোটেলের কাছে এসে বল... তুমি তো আমার জুনিয়র তোমাকে কিভাবে পরিচয় করে দিব? এক কাজ কর তুমি বাসায় চলে যাও আমি আমার বাসায় চলে যাই...

কথা শুনে আর সারা শরীর জ্বালা করতে লাগল..... নিজেকে খুবই অপমানিত বোধ হতে লাগল....

বাসায় চলে আসলাম... মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল.... কথা গুলো খুবই খোচা দিতে লাগল...

রাতে দোস্তোদের সাথে বিস্তর আলোচনা হইল... কেউ কইল মাইয়া তোরে পচন্দ করে নাই...করলে ভার্সিটি নিয়া যাইতো... কেউ কইল... পছন্দ করেছে.. কিন্তু জুনিয়র বলে... বাদ দিয়া দিছে...

সন্ধার পর থেকে নেটে আসে নাই.... অনেক অপেক্ষা করলাম... রাত ১২টা বাজার পর মোবাইলে ফোন দিলাম... ১রিং হয় ধরে না, ২রিং হয় ধরে না....৫ম বারে লাইন কেটে দিল.... আবার আধা ঘন্টা পরে করলাম... ঘচাং করে কেটে দিল... আবার করলাম.. মোবাইল বন্ধ.... রাত ২টায় করলা... এক মাইয়া ফোন ধইরা কয়."দুক্ষিতঃ এই মূহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, একটু পরে আবার ডায়াল করুন"...এই মাইয়াটা একটা বদের হাড্ডি....আনেক সময় মোবাইলে এই রকম কথা কয়..

মনের দুক্ষে কি করমু খুইজ্যা পাই না.... দোস্ত গুরু 'রবিন' কে ফোন দিলাম.. ঘটনা শুইন্যা কইল.. এক কাজ কর... একটা sms কর... মোবাইল অন করলে তুই ডেলিভারি রিপোট পাবি... তখন সাথ সাথে কল করবি।

ভাল বুদ্ধি ... sms কি লিখা যায় চিন্তা কইরা পাই না...একট লিখি আবার মুছি.... এই ভাবে ১ ঘন্টা গেল... বাল আর ভাল লাগে না... যা মনে আসে তাই লিখমু.. যা আছে কপালে... বানাইয়া চাম মাইরা পোম দিয়া লিখলাম...Ame jebone o kono din pizzahut e khai nai.. tume amake oikhane onek mojar ekta pizza khawaiso.. atto mojar pizza amar life e khai nai, tai onek onek thnx. pizza khawanur kotha jebone o vulbo na...r vulbo na je amake pizza khawaise

মনে মনে কইলাম আর যাই হোক এই ওষধে কাজ হইব... সেন্ড কইরা ঘুমাইতে গেলাম...


ঘুমাইতে গিয়া পরলাম এক যন্ত্রনায়... কিছুতেই ঘুম আসে না....রাতে ঘুম না আসলে খালি ছোট বাথরুম পায়... একটু পর পর ছোট রুমে যাই আর আসি.. আসলে আবার পানি খাইতে মন চায়...বিছানায় গড়াগড়ি দিয়া ঘুম যখন আর না আসে হটৎ মনে হইল... গতকালের মত "তুসকা সিরাপ" খাইয়া একটা ঘুম দেই...

তুসকার বোতল হাতে নিয়া দেখি বাল...বোতল খালি, নিচে ২/১ ফোটা আছে.. .. কি আর করা বোতলে পানি ভইরা ঝকাইয়া ঝুকাইয়া পানিটাই খাইয়্যা ফেললাম...

বোতল ধোয়া পানি খাইলে কি আর ঘুম আসে....

বিছানায় গরাগরি দিয়া আর ভাল লাগে না... চিন্তা করতে লাগলাম.. কারে ফোন দেয়া যায়? এক কাজ করি সাদিয়ারে ফোন দেই, ও আবার একটু গল্প বাজ..... কিন্তু ওই তো আমারে সারাক্ষন দৌড় এর উপর রাখে.... এত রাতে কথা কইবো তো...ধূর এত চিন্তা করে কি কাজ করা যায়. যাই ভাবা সেই কাজ ...

সাদিয়াকে ফোন দিলাম...১রিং শেষ.. ধরে না.. ২রিং ধরে না..৩রিং এর মাঝামাঝি... ধরল.. ঘুমের ঘোরে কি যে কইল আমিই বুঝলাম না...কি মনে কইরা কইলাম.. "আমি সামছু বলছি..." মনে হইল পরিচিত নাম শুনে একটু সজাগ হইচে... বলল 'কি ব্যাপর এত রাতে জরুরী কিচু... কোন সমস্যা?"
আমি বললাম... না এই মানে... আমতা আমতা করতে লাগলাম.. আবার বলল "কিছু সমস্যা?" মনে মনে কইলাম... সমস্যা তো কিছুই ছিল না... এখন তো দেখি বড় সমস্যার মধ্য পইরা গেলাম.... আস্ত আস্তে বললাম... 'আগামীকাল ক্লাস কখন তা জানার জন্য ফোন করছি...' সাথে সাথে মনে হইল আমার ঘরের মধ্য ঠাডা পড়ছে... একটা চিক্কুর মাইরা কইল..."হারামজাদা এত রাতে তুই ফোন করছস ক্লাস কখন জানার জন্য...ফোন তোরে ভইরা দিমু...ফোন রাখ"
ডরের চোটে ফোন রাইখ্যা দিলাম....বিছানায় গরা-গরি দিতে দিতে দেখি ফজরের আজান দেয়... একটু পরে দেখি আকাশ ফর্সা হইয় আসতাছে... যখন ঘুম ভাংল দেখি সাড়ে ১১ টা বাজে...

ঘুম থেক উঠে... গোসল করে ক্লাসে গেলাম... ক্লাসে সাদিয়া আমাকে দেখে হাইস্যা কয়... 'রাতের ঝাড়িটা কিমুন লাগল? আর একদিন এই রকম ফোন করবা আরো বেশি ডলা দিমু..."

সারাদিন ক্লাসে মটকা মাইরা পইড়া রইলাম...বন্ধুরা জিগায় কি হইছে.. আমি কই, কিচু হয় নাই তবে কিছু একটা হইব... যারা জানে তারা আর বেশি ঘাটাঘাটি করে নাই...



-------------------------------------------------
(মনের কিছু দুক্ষের কথা কইতাছি.... কেউ কোন বাজে মন্তব্য করবেন না...যন্তরনা কিভাবে শুরু হইছে আইজ তার বয়ান দিমু....গত রাতে কয় আমি নাকি কোন মাইয়ার সাথে কথা কই.. তারে আর ভাল লাগে না..গত ১ সাপ্তাহ ধরে একই প‌্যাচাল)
২৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×