কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন একটি পূর্নাংগ নির্বাচন বিধিমালা প্রস্তুত করবে আশা করা যায়। এই বিধিমালায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সঠিক জনপ্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করার সুযোগ থাকা উচিত। কোনো বিশাল ব্যাখ্যায় না গিয়ে, এই প্রসংগে আমার কিছু প্রস্তাব:
১. নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধকৃত সব রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনের জন্যে কমপক্ষে তাদের মোট প্রার্থীর এক-তৃতীয়াংশ মহিলা মনোনয়ন দিতে হবে।। যদি এই সংখ্যায় (মোট প্রার্থীর এক-তৃতীয়াংশ) ভগ্নাংশ থাকে, ভগ্নাংশটি পূর্ন সংখ্যা রূপে বিবেচিত হবে।
২. মোট প্রার্থীর নূন্যতম পনের শতাংশ (১৫%) হিন্দু প্রার্থী হতে হবে।
৩. একইভাবে, মোট প্রার্থীর কমপক্ষে এক শতাংশ (১%) করে বৌদ্ধ, খ্রীস্টান এবং আদিবাসী মনোনয়ন দিতে হবে।
এখন একটি উদাহরণের মাধ্যমে ধারনাটি পরিস্কার করা যাক। নির্বাচন কমিশনে প্রথমবারের মতো নিবন্ধকৃত নতুন দল "নিখিল বাংলা সমতা দল"। এই দল আগামী সংসদ নির্বাচনে ১১৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
এই প্রস্তাব (ধরা যাক, এর নাম কর্ণফুলি নির্বাচনী প্রস্তাব) অনুযায়ী, এই দল থেকে নূন্যতম মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা হতে হবে ৩৯ (১১৫ এর এক-তৃতীয়াংশ=৩৮.৩৩ => ৩৯)।
নূন্যতম ১৮ টি (১১৫ এর ১৫ শতাংশ=১৭.২৫ => ১৮) আসনের মনোনয়ন এই দলের হিন্দু সদস্যদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। ধরা যাক এই ১৮ জনের মধ্যে ৪ মহিলা হিন্দুও আছেন। তারা মহিলা প্রার্থীর হিসেবেও আছেন।
একইভাবে, কমপক্ষে ২ জন (১১৫ এর ১ শতাংশ=১.১৫ => ২) করে এইদল থেকে মনোনয়ন পাবে বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও আদিবাসী সদস্যবৃন্দ।
এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হলে আলাদাভাবে মহিলা আসন সংরক্ষনের প্রয়োজন হবে না।
এই প্রস্তাবে আরো দুটি বিধি যোগ করা যেতে পারে:
১. মোট পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ হতে হবে। (২০০ বছর পরে হয়ত এই নিয়মের প্রয়োজন হতে পারে )
২।. মোট মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ হতে হবে। (এই বিধিরও দরকার হবে বলে মনে হয় না)
সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা এই প্রস্তাবের দূর্বল দিকগুলো আলোচনা করুন। এবং এর মূল ভাবনার পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিন।
সময় নিয়ে এই পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------
এই লেখার বা প্রস্তাবের কোন কপিরাইট নেই। যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সুত্র উল্লেখ করলে খুশী হব।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ১০:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




