ক) যে বাগান ফুলে ফুলে তাঁর সুবাস আর মাধুর্য ছড়িয়ে আকর্ষণীয় সেটিও বাগান আবার যে বাগান মালীর পরিচর্যার অভাবে গাছে ফুল ফুটোতে না পেরে রঙহীন আর মলিন সেটিও কিন্তু বাগান ।
খ) মাঝে মাঝে এতো দমবন্ধ লাগে যে ইচ্ছে করে ঘর সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে যাই । ফেসবুক, ব্লগ, ইমেইল, হোয়াটসআপ, ইন্সটাগ্রাম সবকিছু ছেড়ে কোন এক উচু পাহাড়ে গিয়ে বসবাস করবো আর বাতাস খাবো। দমবন্ধ পৃথিবী, যেন কাগজে মোড়া।
গ) একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠার জন্য মাঝে মাঝে মাতামাতি করা ভালো কিন্তু তাই বলেতো বেশী মাতামাতি করতে গিয়ে মাতাল হয়ে গেলে চলবেনা
ঘ) আমি ভাবতাম ব্লগে মানুষ লেখালেখি করে। লেখালেখি মানে কিন্তু শুধু গল্প আর কবিতা নয়, লেখালেখি অনেক ধরনের। কিন্তু ইদানিং ব্লগে কেমন ফেসবুক ফেসবুক আমেজ পাচ্ছি আই মিন, ফেসবুকে যেমন জনপ্রিয়তা নিয়ে টানাটানি, ফেসবুকে যেমন কারও প্রতি প্রেম ভালোবাসা, রাগ, ঘৃণা, হতাশা, কষ্ট, বেদনা এসব প্রকাশ করার জন্য ডাইরেক্টলি কিংবা ইনডাইরেক্টলি কাউকে দেখানোর জন্য কোন স্ট্যাটাস দেওয়া হয় ব্লগেও দেখছি সেম যাক, ফেসবুকটা ডিএকটিভেট করে রেখে তাহলে আমার তেমন লস হচ্ছেনা। ফেসবুকের মজা ব্লগেও যে পাচ্ছি
ঙ) আমার কোন বিশেষ ক্ষমতা থাকলে আমি বাংলা স্বরবর্ণ থেকে অ কে উঠিয়ে দিতাম। এই অ এর জন্য যত যন্ত্রণা । অবহেলা, অসম্মান, অস্বীকৃতি, অমর্যাদা, অশান্তি সব যে অ এর দান। তবে অ থাকুক, শুধুমাত্র অমর হওয়ার জন্য। কারন আমি যে মরে গিয়েও অমর হয়ে থাকতে চাই মানুষের হৃদয়ে ।
চ) মিথী_মারজান আপু সেদিন বলল, আমার নিকটাকে নাকি কোন ভাইয়া মাল্টি ভেবেছিল, হাহা খুব মজা পেয়েছি কথাটায় । এখন মনে হচ্ছে আমার নিকটা রাধাকৃষ্ণ হলেও মন্দ হতোনা তাহলে আমি হতাম ভাপু। আই মিন ভাইয়া কিংবা আপু সেই সত্যিটা যখন অপ্রকাশিত তখন তাকে ভাপু বলি আমি
ছ) জনপ্রিয় হওয়ার চাইতে প্রিয় হওয়াটা অনেক বেশী কঠিন । আমি জনপ্রিয় হতে চাইনা কিন্তু প্রিয় হতে চাই।
জ) আপনি জীবনে যখন অনেক বড় কিছু হারিয়ে ফেলবেন তখন জীবনে আর কোন কিছু হারানোর ভয় আপনাকে কাবু করতে পারবেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তখন আপনি অনেক বেপরোয়া হয়ে যাবেন।
ঝ) আমি কখনোই অনিয়ম, অযৌক্তিক আর কমনসেন্স বিহীন কাজকর্ম মেনে নিতে পারিনা। আগে বিষয়গুলো ইগনোর করতাম কিন্তু ইদানিং আর মেজাজটা ঠিক রাখতে পারছিনা। এইসকল বিষয়েই গতকাল সন্ধ্যায় শপিং এর উদ্দেশে ৩ কলিগ মিলে রিকশায় যেতে যেতে এক কলিগের সাথে এক কথায় দু কথায় এমন লাগলো আর মেজাজ এতো বেশী খারাপ হয়ে গেল যে সাথে সাথে রিকশা থামিয়ে নেমে গেলাম । এমন ঘটনা আমার জীবনে প্রথম পরে কলিগ হোয়াটসআপ এ সরি বলে টেক্সট দিল, কল করল কিন্তু আমি না টেক্সট সিন করলাম না কল রিসিভ ।
ঞ) তুমি ছাড়া নিঃশ্বাস নেওয়া যায়, বেঁচে থাকা যায়, মুখে হাসি নিয়ে দারুন পোজ দিয়ে ছবি তোলা যায়, কবিতাও লেখা যায়, শুধু জীবনকে জীবন মনে হয়না, এ পৃথিবীতে স্বর্গের সুখ পাওয়া যায়না, জীবনটাকে অনেক বেশী সুন্দর মনে হয়না, নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হয়না।
ট) জীবনের কঠিন পরিস্থিতি গুলো একা একা হ্যান্ডেল করতে শিখুন। সমস্যা বা বিপদ পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে না দিয়ে তা আপনার নিজের মাঝেই রাখুন এবং নিজেই নিজের সমস্যা সমাধান করতে শিখুন । তাতে লাভবান আপনিই হবেন । মানসিক ভাবে স্ট্রং হবেন আর আসে পাশের মানুষের দু চারটে আজে বাজে কথা থেকেও রেহাই পাবেন ।
ঠ) পোস্ট এর ছবিটির মত একটি গ্রামে বেড়াতে যেতে খুব ইচ্ছে করে । তবে বিশেষ কাউকে নিয়ে সেখানে একটি নতুন ঠিকানা গড়লেও মন্দ হয়না ছবিটি অনেক বেশী পছন্দ হয়েছে । একটি গান মনে পড়লো "বাঁশি শুনে আর কাজ নাই, সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি" । কিন্তু আমিতো বলব, বাঁশির সুর এবং বাঁশিওয়ালা দুইজনেই ডাকাতিয়া আচ্ছা, মেয়েটি কি বাঁশিওয়ালার সাথে অভিমান করে ওদিকে ঘুরে বসে আছে ? বাঁশিওয়ালা কি অভিমানীর অভিমান ভাঙানোর জন্য তাঁর প্রিয় কোন সুর বাজাচ্ছে ? এ প্রশ্নের উত্তর আমি কই পাই আহারে ! বাস্তব যদি এই ছবিটির মতই এমন সুন্দর হতো তাই, থাকুক না হয় কিছুটা অভিমান।
ড) পাশের বাড়িতে ইলিশ মাছ ভাঁজা হচ্ছে । সেই সুবাসে টিকে থাকা কঠিন । এই অত্যাচার সৈহ্য হয় ?
ঢ) বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো একদম ভুলেই যাচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম একটু চর্চা করে নেই । যদিও সবগুলো হলনা ।
ণ) গতকালকের বিষয়টি আমার মাথা থেকে এখনও যায়নি তাই আজকে আমার কারও সাথে ঝগড়া ঝাঁটি করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই যদি কারও ইচ্ছে হয় একটু কষ্ট করে সেই ইচ্ছেটা কে কিছুদিন দমিয়ে রাখুন প্লিজ । অন্য কোনদিন না হয় ঝগড়া করা যাবে ।
লাইফ টা একদম ডাল
হুম, ডাল
দারুন মজা
উঁহু, পানসে
না, টেস্টি
প্রান ডাল এর বিজ্ঞাপনটা আমার কাছে দারুন লাগে । কারও কাছে লেখাটা পানসে মনে হলে একটু প্রান ডাল খেয়ে দেখতে পারেন
(ও আচ্ছা, আমার কিন্তু কথা শেষ হয়নি । আরও অনেক কথা আছে, সেগুলো না হয় আরেকদিন বলি)
ব্লগ শুধু লেখার জায়গা না, ব্লগ থেকে নাকি লেখা শেখাও যায় । আমিও তেমন এই লেখার ধরনটা শিখেছি আমাদের কারও কারও প্রিয় আবার কারও কারও অপ্রিয় একজন সিনিয়র ব্লগার থেকে ধরনটা মনে ধরেছে তাই। তাঁর নামটা প্রকাশ করতে ইচ্ছে করছেনা । কেন জানি একটু ধোঁয়াশা রাখতে ইচ্ছে হল । কিন্তু যারা বোঝার ঠিকই বুঝবে আর সেই বিশেষ ব্লগার, যার কাছে থেকে লেখার ধরণটা শেখা, আপনার অনুমতি ব্যতীত আপনার লেখার ধরন কপি করলাম বলে কিছু মনে করবেন না। মাঝে মাঝে যাদেরকে বেশী আপন মনে হয় তাদের কাছে থেকে কোনকিছুর জন্য আমার অনুমতি নিতে ইচ্ছে করেনা । কিছু করার নেই, আমি এমনই
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮