আগেই বলে নিচ্ছি আমি কিন্তু নিজেকে কোন লেখক কিংবা কবি বলে দাবী করিনা কেউ আমাকে আবার ওসব বলে লজ্জা দিবেন না যেন । মাঝে মাঝে দু এক লাইন লিখি কিন্ত সেগুলো কবিতার মত দেখতে হলেও আসলে কবিতা না ।। সেগুলোকে কবিতার রেপ্লিকা বলতে পারেন তারপরেও কবিতার মত দেখতে কিছু লিখিনা অনেকদিন হল। শেষ লিখেছিলাম
আমার শেষ লেখা, কবিতার মত দেখতে কিছু একটা
আমি প্রথম যখন ব্লগে লেখা শুরু করি কেউ জানতো না, এখনও জানেনা দু একজন ছাড়া । তবে আমার সব কবিতা যাকে নিয়ে তাঁকেও কখনো দেখাতাম না কিন্ত আমি যে তাহার কাছে অনেক আগেই ধরা পরে গিয়েছি তাও আমি জানতাম না তিনি আমার নিজস্ব কবিগুরু আমার মদন চাঁদ
আমার কোন লেখা পেলে তিনি তা একজন শিক্ষকের মত পড়েন এবং তার ভুলগুলো নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেন ও শিখিয়ে দেন । আমি তা মাঝে মাঝে বুঝি আবার মাঝে মাঝে তা একদমই বুঝিনা । আর কবিতার যে নিয়ম কানুন আছে তা আমার জানাই ছিলোনা । তবে একটা জিনিস যদি লিখি অবশ্যই তার নিয়ম কানুন মেনে শিখে লেখা উচিত ।
বেচারী আমি তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখলেও আমার কবিতার ভাবাবেগের দিকে তার মনোযোগ কম থাকে কারন তিনি কবিতা বিষয়ে এতো জ্ঞানী যে আমার ওমন রেপ্লিকা কবিতা দেখে তিনি পড়ার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন
কিছুদিন আগে আমার লেখা একটা কবিতা সাহস করে তাঁকে দেখালাম। তার হাতে কাগজটা দিয়েই আমি পলাতক । কারন আমি জানি বিজ্ঞ কবি ওই লেখার মধ্যে হাজারটা ভুল পাবেন আর বিরক্ত হবেন। তিন চার মিনিট পর ফিরে এসে দেখলাম তিনি আমার কাগজটা হাতে নিয়ে বসে আছেন আর মুচকি হাসছেন । তার হাসি দেখে আমি কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিলাম তাই একটু ভয়ে ভয়ে সামনে গেলাম
তারপর তিনি আমাকে বসিয়ে সেই কবিতার ছন্দ মাত্রা ও আরও কিছু ভুল আমাকে বোঝালেন ও শেখালেন আর বললেন তিনি সেটা সম্পাদনা করে দিবেন ।
সেই কবিতার দুটা লাইন ছিল
প্রেম হোক তবে পূর্ণ চাঁদে
আঁধার দিবে পাহারা ।
তো তিনি বললেন চাঁদ যদি পূর্ণ হয় তাহলে আধার আসবে কোথা থেকে । পূর্ণ চাঁদ বা পূর্ণিমার সাথে জোছনা থাকে আঁধার না । আমারতো এইসব মাথায়ই আসেনি । এছাড়াও কবিতার ছন্দ মাত্রা ঠিক ছিলোনা । আমারতো সেগুলো জানাই নেই
মহাশয় সেদিন বললেন তিনি প্রথম প্রথম ব্লগে আমার কবিতা পড়তেন কিন্ত এখন আর পড়েন না কারন সেগুলো কবিতা হয়না। আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম । এক নং আমি যাকে নিয়ে কবিতা লিখি তিনিই পড়েননা আমার কবিতা আর তার সঙ্গী হিসেবে আমার কি এসব আনাড়ি রেপ্লিকা টাইপ কবিতা লেখা সাজে ?
তো সেদিন আমি উপলব্ধি করলাম আমার নিজের মান সম্মান না থাক তার সম্মান রক্ষার্থে আমার কবিতা লেখা শিখতেই হবে এবং তার কাছে থেকে আমাকে কবিতা লেখায় একশো তে একশো পেতেই হবে । তারপর তার শেখানো দু একটা বিষয় অনুসরন করে কবিতা নিয়ে একটু পড়াশোনা করলাম । চাইছিলাম একটা চমৎকার কিছু লিখে তাঁকে চমকে দিবো । একশো তে একশো বা লেটার মার্ক না পাই অন্তত পাশ নম্বর টা যেন পাই
তারপর এখন এই পরিস্থিতিতে যে মন মানসিকটা এমনিতেও কবিতা লেখার ভাব আসেনা মনে আর কবিতা লেখা শেখাও মাথায় যাচ্ছেনা । মাঝে মাঝে যদি দু এক লাইন মাথায় আসেও তখন মনে হয় নাহ ওইসব ফাঁকিবাজি কবিতা আর লেখা যাবেনা ।
তাই এবার আমাকে আমার কবিতা লেখার শিক্ষকের কাছে থেকে সত্যিকারের কবিতা লেখা শিখতেই হবে । কবিতার রেপ্লিকা না, সত্যিকারের কবিতা লিখে আমার কবির মন জয় আমাকে যে করতেই হবে
লেখাটি লিখতে লিখতে মনে হল ইদানীং ব্লগেও তেমন কবিতা দেখা যাচ্ছেনা । তাদেরও কি এমন কেউ শিক্ষক আছেন নাকি যিনি ফাঁকিবাজি কবিতা বাদ দিয়ে সত্যিকারের কবিতা লিখতে বলেছেন ? কি জানি বাপু সব কবিরা গেলো কই তবে ব্লগের কিছু মানুষ নিশ্চয় এখন খুব খুশী
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০