রয় এন্ডারসন। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর 'এ পিজিয়ন সেট অন এ ব্রাঞ্চ রিফ্লেক্টিং অন এক্সিসটেন্স' সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। কিন্তু কে রয় এন্ডারসন?
বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছে এই ভদ্রলোক কিন্তু তেমন পরিচিত নন। যদিও তাঁর রয়েছে পাঁচ দশকের ক্যারিয়ার। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এই পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে এই সুইডিশ নির্মাতা বানিয়েছেন মাত্র পাঁচটি সিনেমা।
এন্ডারসন তাঁর প্রথম ছবি বানান ১৯৭০ সালে। 'এ সুইডিশ লাভ ষ্টোরি'। ছবিটি প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যবসাও করে। পরবর্তীতে তিনি বানান 'গিলাপ'। ছবিটি যেমন ছিল জটিল, তেমনিভাবে ব্যবসায় ফ্লপ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা 'গিলাপ'র কারণে এন্ডারসন বেশ সমালোচিত হন। আর এই সমালোচনা তাকে সিনেমার জগৎ থেকে অনেকটা সময় দূরে রাখে।
পঁচিশ বছর বাদে ২০০০ সালে এন্ডারসন বানান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ছবি 'সংস ফ্রম দ্যা সেকণ্ড ফ্লোর'। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তিনি বানান 'ইউ দ্যা লিভিং'। আর এ বছরে এসে ভেনিসে গোল্ডেন লায়ন জেতা 'এ পিজিয়ন সেট অন এ ব্রাঞ্চ রিফ্লেক্টিং অন এক্সিসটেন্স' এর কথা তো চলচ্চিত্রপ্রেমীরা জেনেই গেছেন।
ভেনিসে যখন তাঁর সদ্য বানানো ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে, তখন দর্শক হিসেব মেলাতে ব্যস্ত এটা কমেডি না ট্র্যাজেডি। কোন বাস্তবতার কথা বলেন এন্ডারসন! আসলে ভদ্রলোক এমনই। তাঁর বানানো ছবিগুলো যে অন্য মাত্রার, সে নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই।
এবারে দেখি এন্ডারসন কী বলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এন্ডারসন বলেন, 'কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আমি সবসময় কাজ করেছি। মানুষের ঝুঁকি, অপমান; যখন মানুষ একে ওপরকে অপমান করে, এভাবে তারা নিজেদের অপমান করে।'
এন্ডারসন তাঁর দ্রুত ও কিছুটা কমেডি ঘরাণার ষ্টাইলের জন্য বিখ্যাত। অনেক চলচ্চিত্র সমালোচকই তাঁকে তারাকোভস্কি, বার্গম্যানদের সারিতে দেখে থাকেন।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, এন্ডারসনের ক্যারিয়ার পাঁচ দশকের। স্বাভাবিক প্রশ্ন, এই পাঁচটি সিনেমা ছাড়া এতটা সময় তিনি কী করেছেন? না, এন্ডারসন বসে থাকেননি। এই সময়ে তিনি চারশোরও বেশি টিভি কমার্শিয়াল বানিয়েছেন।
এবারে এন্ডারসন গোল্ডেন লায়ন জেতার পর তাই দর্শকের প্রত্যাশা- ধীর লয়ে নয়, অনাগত দিনে এন্ডারসন আরো অনেক সিনেমা বানাক।
(চলচ্ছবি.কম থেকে নেয়া)