০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:২০
বিল্ডিঙের থাই এলুমিনিয়াম গ্লাসে চড়া থাপ্পরের শব্দ
আধলা ইট পায়ে পড়তেই বেড়িয়ে আসে খিস্তি
শালা, বেজন্মার দল!
ঝনঝন করে পড়ল আরেকটা আয়না
শালা, ছোট লোকের জাত, তোর মায়েরে বাপ
ইট মারিস তো মার, তোর চৌদ্দ পুরুষের পিন্ডিতে মার।
থেমে থাকা বাসে খেকিয়ে ওঠে হতচকিত স্টীমড মানুষ
কয় দিন পর পর খ্যালা পাইয়া নিছে শালা এই গার্মেন্টেসের পোলাপান
খ্যাত থেকে উঠে আইসা গায়ে চামড়ায় ঢাকার রোদ্দুর বাতাস
কথা বার্তায় কি তেজ শালাদের, ছেম্রি গুলার চলনের কি ছিরি ছাদ
টায়ার পোড়ায়া রাজনীতি মারে, শালা এডা কি ওর বাপের রাস্তা ?
বিনম্র গৃহকত্রীরা গাল পাড়ে না সম্ভবত এরাই বিরক্ত সবচেয়ে বেশি
ছুটা বুয়াদের বড় বার, ঘর ঝাড়া পোছা, বাসন কোসনে আলাদা দাম
আর নিত্যি বেরামের গোঁ
তবু আপোষে মন রক্ষা করে চলা, যত সব গার্মেন্টস হয়ে
এসবের বাড় বড় গেছে,
দশ বছরের পুরাতন বুড়ীটাও চাকরীতে চলে গেল
তিন হাজার টাকার এই তিন লাখ বিরক্তিরা ভাবে তারা জন্মে কেন ?
০৪.০৮.১০