ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মোট ডিজিটের সংখ্যা তেরো। এর মধ্যে প্রথম সাতটা ডিজিট আপনার জেলা, থানা/উপজেলা এবং ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের পরিচয় বহন করে। কষ্ট করে আপনার এগুলোর কোড মনে রাখার দরকার নেই। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের প্রথমেই যে দুটো ডিজিট থাকে তা হলো আপনার জেলা শহরের কোড। যেমন ঢাকার কোড ২৬। সেজন্য ঢাকাবাসীদের সবার আইডি নম্বর শুরু হয়েছে ২৬ দিয়ে।
এর পরের ৯ সম্বন্ধে আমার ধারণা নাই। তবে সম্ভবত ডাটাবেজের হিসাবের সুবিধার্থে এই নম্বরটার আবির্ভাব। তবে এ পর্যন্ত ঢাকার যে ক'জনের আইডি নম্বর দেখলাম সবার এই কমন ৯ সংখ্যাটি রয়েছে। ঢাকার বাইরে যেমন চাদপুরে এই সংখাটা ১। সম্ভবত এর অন্য কন মাজেজা আছে। তবে আপাতত এই তৃতীয় ডিজিটটা ভেরিয়েবল ধরে নিলাম।
তো আপনার এখন পর্যন্ত আইডি কার্ডের তিনটা ডিজিট জানা হয়ে গেলো। ২৬-৯। এর অর্থও আপনি জানেন।
এরপরের দুই ডিজিট আপনার থানার কোড। যেমন আপনি যদি তেজগাঁও এর বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে আপনার থানার কোড হচ্ছে ৯০। টোটাল ডিজিট গিয়ে দাড়ালো ২৬-৯-৯০।
এরপরে আপনি জানতে পারেন আপনার ওয়ার্ড নম্বর। ধরুন নম্বরটি ৪০। মানে আপনি ৪০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যার ভেতরে আছে ইন্দিরা রোড, গ্রীন রোড, পশ্চিম রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজার, মনিপুরীপাড়া, শেরেবাংলা নগর উত্তর, শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ। ব্যাস হয়ে গেলো, আপনার এলাকা বেছে নিন। তো এই ওয়ার্ডের কোডটিসহ আপার সাতটি ডিজিট সম্বন্ধে জানা হয়ে গেলো। ২৬-৯-৯০-৪০।
বাকী থাকলো ৬টা ডিজিট। আর খুঁজতে হবে না। এই ৬ই ডিজিটই হচ্ছে আপনার অত্র এলাকার নিজস্ব আইডেন্টিটি। যেমন ৪২৩০২০। সুতরাং আপনার ন্যাশনাল আইডি হচ্ছে ২৬-৯-৯০-৪০-৪২৩০২০।
এবার সম্ভবত আপনার ১৩ ডিজিটের বিশাল আইডি নম্বরটা মনে রাখা আপনার জন্য সহজ হয়ে গেলো। কিন্তু সামলে, ভেবে নেবেন না যে এই নম্বরটা ভোটার লিস্টের ভোটার নং এর সাথে মিলে যাবে। ভোটার নম্বর হয়েছে ১২ ডিজিট বিশিষ্ট। তবে ভয়ের কিছু নেই। শেষ ৬টা ডিজিট ঠিকই থাকছে। কেবল মাঝখান থেকে থানা ও ওয়ার্ডের কোডগুলো বাদ গিয়ে ভোটার এলাকার কোড বসেছে। আর সেই সাথে বাদ পড়েছে কমন ৯ ও। ধরি পূর্বে উল্লিখিত ব্যক্তির ভোটার এলাকা ইন্দিরা রোড যার কোড নম্বর হচ্ছে ১২৪৩। তারমানে ভোটার নং গিয়ে দাড়াচ্ছে ২৬-১২৪৩ এবং সেই আগের ৪২৩০২০। মানে ২৬-১২৪৩-৪২৩০১০।
ভোটার লিস্টে আপনার নাম চেক করার জন্য ন্যাশনাল আইডিকার্ড নিয়ে বসুন। ওয়েবটি পাবেন এখানে। এবার একটার পর একটা কোড বা এলাকা নির্বাচন করে চলে যান ভোটর লিস্টের পিডিএফ ফাইলে। আপনার ন্যাশনাল আইডির শেষ ৬টা ডিজিট খুজতে থাকুন, কেবল এই নম্বরটাই আছে সিরিয়াল অনুযায়ী। আশা করি সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার নাম-ঠিকানা।
ভোট প্রদানের সময় অহেতুক ঝামেলা এড়াতে নিজেই জেনে নিন আপনার ভোটার নম্বর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪১