প্রতিদিন কত অসহায় মানুষ দেখি আমরা? দশ? বিশ? শ? দেখি হয়তো, গুনি না। ঢাকার ভিক্ষাবৃত্তি একটা পেশা বলে ভিক্ষুকদের জন্য সহমর্মিতা থাকে না, খেটে খাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়ায় মধ্যবিত্তদের, নুন আনতে পান্তা ফুরানোদের। অসুস্থ্য হলে ধার করে, বাড়ী বেচে, গয়না বেচে, নিঃস্ব হয়। আমার মা বলেন, স্বর্ণ ঘরে রাখার এই সুবিধা, বিপদের সময় কাজে লাগে। বেশীরভাগ মধ্যবিত্তের সোনার অলংকার প্রীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল আপদকালিন সেভিংস। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট শিখীর মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্যানসার চিকিৎসার ভার বহন করা কেমন দুঃসাধ্য হতে পারে সহজেই বোঝা সম্ভব। প্রথম ধাক্কা সামলাতে সামলাতে সব সেভিংস নিশ্চিহ্ন হয়েছে, তারপরে......চিকিৎসা বাকী রেখে শিখী অভিমানী হবে ইশ্বরের সাথে, পালি ও সংস্কৃতি ভাষার শিক্ষক হবার স্বপ্ন অধরা রেখে নিজেই হয়ে যাবে অপ্রচলিত।
আমাদের চোখের ভেতরে ঢুকে বসে থাকে বুনো বুনো কালসাপ। সব নিরুদ্দেশ যাত্রায় আমরা অন্ধ, সুতীব্র অহংকারে দিকভ্রম। এসব আমাদের মনুষ্য সীমাবদ্ধতা। কিন্তু প্রিয় বন্ধুটি অসুস্থ্য হলে আমরা সহমর্মিতা চাই, নিজের বিপদে চাই অন্যের আবির্ভাব, আয়োজন, সহযোগিতা।
শিখী আমাদের ব্লগের বন্ধু। শুক্রবার বিকেল ৩টায় শিখীর জন্য চলে আসুন বায়তুল মোকারমের উত্তর পাশে, মৈত্রী মিলনায়তনে (মুক্তি ভবন (৫ম তলা), ২১/২, পুরানা পল্টন, ঢাকা)।
'গরমভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প' ও 'স্লামডগ মিলিয়নিয়ার' দুটোই অদ্ভুত ছবি, জীবনের হার্স-রিয়েলিটির এমন উপস্থাপন দর্শকদের তাড়িত করবে নিঃসন্দেহে। যীশুর (০১৭১১৫০৪৬৭৮) সাথে যোগাযোগ করে চলে আসুন শুক্রবার তিনটায়। এমন একটা আয়োজনের মধ্যে থেকে ফান্ড কালেকশনের নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে নানামুখী সংযোগের কারণে।
শুক্রবার হোক ব্লগারদের আরেকটা সমাবেশের দিন। বিকেল ৩টায় শিখীর পাশে দাড়িয়ে জীবনের দাবীকে আরেকবার প্রতিষ্ঠিত করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২১