উহা (ট্রাম্প) সকল কিছু ওলট পালট করিয়া দিবে, ইহা আর নতুন কিছু নহে! উহা প্রথমবার আসিয়া যে কাণ্ড করিয়াছিল, তাহা তো সকলের জানা। এখন আবার প্রেসিডেন্ট হইয়াছে, তাই উহা যে আগের চেয়েও অধিক ওলট পালট করিবে, ইহা বলিবার জন্য জ্যোতিষী হইবার প্রয়োজন নাই।
উহা এখন রাশিয়ার পুতিনের সহিত আলোচনা করিবার প্রস্তুতি লইতেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে। উহা বলিয়াছে, দুই পক্ষের সহিত কথা বলিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি টানিতে চায়, কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা উহার এই পদক্ষেপ লইয়া সন্দিহান। বিশেষত, উহা যেরূপ জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করিতেছে, তাহাতে ইউক্রেনসহ পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরিয়া ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করিয়া রাখিয়াছে, এখন উহা যদি কোনো সমঝোতার চেষ্টা করে, তবে কাহার স্বার্থ রক্ষিত হইবে, ইহাই বড় প্রশ্ন।
উহা যাহা বলে, একদিন একরকম, পরদিন সম্পূর্ণ উলটো! উহা শত্রুর সহিত বন্ধুত্ব করে, আবার বন্ধুর সহিত এমন আচরণ করে, যেন চরম শত্রু! সম্প্রতি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সহিত সাক্ষাৎ করিবার পর উহা রসিকতার ছলে বলিয়াছে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করা যাইতে পারে! কানাডার জনগণ ইহা ভালোভাবে গ্রহণ করে নাই, বরং উহাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাইয়াছে।
উহা আসিলে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়, বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়। উহার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তসমূহের ফলে বিশ্ব শেয়ারবাজারে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হইয়াছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাসমূহ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হইয়াছে। ডলারের মান হ্রাস পাইয়াছে, কারণ আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা জন্মিয়াছে যে, নতুন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হইতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




