বিএনপি: কিছু হলেই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব, কোন কোন স্থানে কেউ কেউ চাঁদাবাজিতে জণগণকে ভাজাভাজা করে ফেলা, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া নির্ভর দল, দলের মধ্যে সুশৃঙ্খলা নেই, চেইন অফ কমান্ড অপেক্ষাকৃত কম--
জামাত: জামাত কৌশলগত রাজনীতি থেকে শত মাইল পিছিয়ে আছে। তার উপর তাদের উপর গলায় ৭১ সালের একটি বিতর্কিত তাবিজ ঝুলছে-রাজনৈতিক ক্ষমা চাইলে ক্ষতি কী। পুরাতনকেই আঁকড়ে ধরে আছে। দলীয় সংস্কারের ধারের কাছেও নাই। কমিউনিকেশন পাওয়ার এবং প্রেজেন্টেশন দক্ষতা খুবই কম। কোথায় কিভাবে কথা বলতে হবে তা জানে না।
বাপু! রাজপথের রাজনীতি শিখতে হবে তো!
জাতীয় পার্টি: স্বৈরাচারের তাবিজ ঝুলছে গলায়। মেরুদণ্ডহীনভাবে অন্যের উপর নির্ভর করে। কি একটা হযবরল অবস্থা।
নিজের মেরুদণ্ড ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে তো!
বাম দল: জণগণমুখী হন। একঘেয়েমির বক্তব্য এবং কাজ জনগণ নেয় না। আপনাদের নিয়ে তৃনমূল পর্যায়ে জনগণের নাস্তিক ভীতি আছে তা দূর করুন। দলে পরিবর্তন চাই- সংষ্কার আনুন। কিছু করবো কিছু করবো না- তা হবে না- তা হবে না। ঝেড়ে কাসুন। সকলের সাথে- সকল দলমতকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করুন।
নোট:
"দলে গোছাও পিও"। দেশের সাধারণ জণগণ গতানুগতিক রাজনীতি এবং রাষ্ট্রনীতি চায় না। তাদের মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। তারপর ঐ যে জেনজি তরুন! ওরে বাবা! তারা দেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু আউল ফাউল ব্যবস্থা কিছুতেই মেনে নিবে না-একেবারে তারা ডাইরেক্ট এ্যাকশনে যাবেই যাবে। তাই সময় থাকতেই দলের ভিতরে ইতিবাচক মূল্যবোধগত পরিবর্তন করুন। দলে সূদুর প্রসারী পরিবর্তন করুন, জনগনের জন্য কৌশলগত রাজনীতি শিখুন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সেবা জণগনের দ্বারে পৌছে দিতে রাজনীতি করুন, চেহারা এবং আচরণে হম্বিতম্বি ভাব পরিহার করুন। "চাঁদাবাজির যুগ শেষ- তাই বুঝে আগাও পিও"। তৃনমুল হতে ঢাকা পর্যন্ত সকল দলের কর্মীদেরকে সম্মান করুন- তাদের কথা শুনুন- ভালবাসুন- তেলবাজি প্রত্যাহার করুন। শক্তিশালী কৌশলগত পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করুন। অসাধারণ একটি জনকল্যানমূলক রাষ্ট্র জনগণ চায়- এটার নিশ্চয়তার জন্য কাজ করুন।
নিজের আখের গোছানোর রাজনৈতিক চিন্তাধারা বাদ দিন।
----- বৃহত্তর স্বার্থে কেউ পারসোনালি নিবেন না। আপনারা চাইলে আরো যোগ করতে পারেন---
লায়লা, ৪ আগস্ট,২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০০