বিশ্লেষণ, চুলচুলীয় বিশ্লেষণ আর নুনুবিশ্লেষণঃ
সকল নুনু বিশ্ল্বেষণই চুলচুলীয় বিশ্লেষণ তবে সকল চুলচুলীয় বিশ্লেষণই নুনুবিশ্লেষণ নয়।
প্রথমে চুলচুলীয় বিশ্লেষণের একটি নমুনা দেয়া যাক;
"ধরি নুনু/ খাও দুদু।"
এটি কোনো অশ্লীল বাক্য নয়এটি একটি প্রার্থনা।
প্রথমে অস্লীলতার একটা সংজ্ঞা নির্ধারণকরা প্রয়োজন।
এখানে আমি, অশ্লীলতার চুলচুলীয় সংজ্ঞা প্রদান করেছি,
সংজ্ঞাটি হলো, "নুনুচুলকানোই হোক আর কান চুলকানোই হোক দুটোই বাহিরে চুলকালে অশ্লীলতা, মূলত প্রকাশ্যে চুলকানোটাই অশ্লীলতা।"
উপরের বাক্য অশ্লীল হয়ে উঠেনি কারণ এতে কোন প্রকার বাহ্যিক চুলকানি নেই, অন্তর্গত চুলকানি থাকলে সেটা ভিন্ন কথা , অন্য কোনো লেখায় আমরা অন্তর্গত চুলকানির মর্ম উদ্ধার করব।
এখন আমাদের দেখতে হবে উপরের বাক্যের প্রার্থনার রূপ কেমন।
প্রার্থনাটি একজন কামুকী রমনীর অভিমানী প্রেমিকের প্রতি মিলনের ব্যথিত প্রার্থনা। প্রেমিক পুরুষের পাহাড় স্তম্ভ দম্ভ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অভিমানে মিলনে যাচ্ছে না।প্রার্থনাটি মিলনে উপগত হওয়ার উদ্ধত প্রার্থনা,
কেননা, রমনীর প্রার্থনায় "নিশ্চিত" শব্দের আভাস পাওয়া যায় যা থেকে মনে হয় এই প্রার্থনাটি অব্যর্থ কার্যকরী। এবং রমনী কার্যকরী প্রার্থনাই বেছে নিয়েছে সেই কারণে প্রার্থী হয়েও তাঁর মধ্যে উদ্ধততা প্রকাশ পেয়েছে এবং সেটি তাঁর অন্তর্গত চুলকানি। অন্তর্গত চুলকানি সে প্রার্থনায় প্রকাশ করেছে।
এবার আসা যাক নুনুবিশ্লেষণেঃ
নুনু'র ধর্ম নুন। তাই কোনো কিছু কিরকম হয়েছে প্রশ্ন করলে আমরা বলতে পারি নুনু হয়েছে। যেহেতু নুনু হয়েছে তাই নুনু হচ্ছে কর্ম এবং কোনো কর্তা দ্বারা সাধিত হয়েছে। মানে কর্তা হচ্ছে নুনুকর্তা, এখানে দেখা যাচ্ছে যে কর্তা নুনুকর্মের ক্রিয়ার কর্তা। মানুষ যদি কর্তা এবং কর্ম দুই ভাগে বিভক্ত হয় তাহলে আমরা দেখি যে নুনুকর্ম মানুষের মুখ্যকর্ম। মুখ্যকর্মের কর্তা কে ? মুখ্যকর্মের কর্তা হল, আমি আপনি এবং সকলে । সকলে আমরা নুনুকর্মের কতা। এখন যে দার্শনিক প্রশ্নটা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে সেটি হচ্ছে
ঈশ্বর কোন কর্মের কর্তা?
এই প্রশ্নের সমাধান বের করতে হলে আমাদের প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, একটি আপাত অনুমিত
ধারণাকে সত্য বলে ধরে নিতে হবে তা নাহলে অস্বস্তি ক্রমেই বৃদ্ধির দিকে যাবে, তো আপাত অনুমিত ধারণা কী? আপাত অনুমিত ধারণাটি হল এই যে ঈশ্বরের কোনো নুনু নেই ফলে তাঁর কোনো নুনুকর্ম নেই।
মানে দাঁড়ালো ঈশ্বরের কোনো মুখ্যকর্ম নেই।
মুখ্যকর্মহীন কর্তা কখনো মুখ্যকর্মের কর্তাকে সৃষ্টি করতে পারে না।
কর্মের ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন হয়, কর্তা, মাধ্যম এবং শক্তির। আর এই শক্তির উৎপাদনের জন্য বিকশিত হয়েছে সভ্যতা। সভ্যতা বিকাশে মুখ্যকর্মের কর্তার ভূমিকাই মুখ্য। যেহেতু ঈশ্বরের নুনুকর্ম নেই সেহেতু নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় সভ্যতা বিকাশে ঈশ্বরের কোনো ভূমিকা নেই। তাই স্বভাবতই তিনি আমাদের প্রতি মানে মুখ্যকর্মের কর্তার প্রতি চড়াও হবেন।
এখন যে নুনুকর্মের জন্য সভ্যতা বিকশিত হয়ে আধুনিক হয়েছে সেই আধুনিক সভ্যতাই নুনুকর্ম কে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চাচ্ছে।
এখান থেকে একটা বিষয় আমরা পরিষ্কার ভাবে অনুমান করে নিতে পারি যে, যারা নুনুকর্ম ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চান তাদের নুনু মাধ্যমে সমস্যা আছে। মানুষের সমস্যা থাকতেই পারে, মানুষ সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। এখন কথা হচ্ছে, আপনার নুনুতে সমস্যা আপনি ডাক্তারের কাছে যান কবিরাজের কাছে যান, আমাদের নুনু ধরে টানাটানি করে নুনুকর্মে বাঁধা দিচ্ছেন কেনো? আপনারাতো সভ্যতা বিকাশ পরিপন্থি অকর্মে লিপ্ত হয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মত! চরিত্রে আপনারা প্রতিক্রিয়াশীল।আর প্রতিক্রিয়াশীলেরা তো প্রগতিশীলদের প্রতি চড়াও হবেই। রক্ষণশীলেরা আবার বেশ ঝামেলায় আছে কারণ তাদের নুনুকর্ম আছে, আছে ঠিকই তবে এই নুনুকর্মের কর্তা দ্বিধাগ্রস্থ।