somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নভোথিয়েটার - বাংলাদেশ এর গর্ব।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে নির্মিত “ভাসানী নভোথিয়েটার” উদ্বোধন করা হয় ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। রাজধানীর বিজয় স্মরনীর মোড়ে অবস্থিত ভাসানী নভোথিয়েটার প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। সম্পূর্ন দেশীয় অর্থায়নে ঐটি নির্মান করেছে সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির স্থপতি আলী ইমাম। ৫,৪ একর জমির উপর ভাসানী নভোথিয়েটারের অবস্থান। এ প্রকল্পে রয়েছে তিন তলাবিশিষ্ট মূল নভোথিয়েটার ভবন, ভবনের কেন্দ্রভাগে দৃষ্টি নন্দন অ্যালুমিনিয়াম মেটালি ডোম, ভেতরে ২৭৫ টি বিশেষ ধরনের আসনবিশিষ্ট প্লানেটরিয়াম, ১৭০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, ভবনের সম্মুখভাগে ও দুই পাশে তিনটি জলাধর, পেছনের অংশে তিন তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, জ্যোতিবিজ্ঞানে জ্ঞান লাভের জন্য নানা রকমের প্রদর্শনী, ল্যান্ডস্কেপসহ ফুলের বাগান, ফোয়ারা গার্ডেন লাইট প্রভৃতি। ভবনটির ডোমের আয়তনের ব্যাস ৯৬ ফুট। কেন্দ্রে রয়েছে ৭০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি মেটালিক ডোম। নভোথিয়েটারের কেন্দ্রে অবস্থিত ২৩ মিটার ইনার ডোমের উপর নিচ থেকে প্রায় ১৫০ টি প্রজেক্টের ব্যবহার করে মাল্টিপল ইমেজের সমন্বয়ে একটি কৃত্রিম মহাকাশ তৈরি করা হয়েছে। নভোথিয়েটারের পাঁচটি লেভেল। মাটির উপরের দুইটি লেভেল হচ্ছে +৫১০০ এবং +০০ লেভেল। এই গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রদর্শনী বস্তু, টিভি স্ক্রিন, সিসি টিভি প্রভৃতি। মাটির নিচের তিনটি লেভেল হচ্ছে ৩৭০০, ৫৮৫৮, ৯৭৫০ লেভেল। এই তিনটি লেভেল যথাক্রমে রয়েছে জনসাধারনের জন্য ১৫০টি কার পার্কিংয়ের সুবিধা, পূর্ব আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য সিঁড়ি, পাশেই রয়েছে বিজ্ঞান মেলা বা প্রদর্শনীর জন্য বিশাল জায়গা, টিকেট কাটার জন্য আলাদা কাউন্টার। ভবনটির দুটি ভূগর্ভস্থ, ফ্লোরে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত রয়েছে। এখানে ২০০০ কিলো ভোল্টা অ্যাম্পিয়ার (কেভিত্র) বৈদুৎতিক উপকেন্দ্র এবং ৫০০ কেভিত্র ইমারজেন্সি প্যানারোমা লিফট স্থাপন করা হয়েছে। রয়েছে ১২ টি ক্যামেরা সম্বলিত সি সি টিভি।



১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে এ নভোথিয়েটার প্রকল্পের দলিল তৈরি হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নাম করন করে দরপত্র আহবান সহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে দু-বার ও ১৯৯৯ সালে একবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে প্রক্ষেপন যন্ত্রপাতি সর্বরাহের কাজ দেয়া হয়। জাপানের গোটো অপটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকে। মেটালিক ডোম স্থাপনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাণে মেসার্স গ্যাসমিনসহ বিগত সরকারের আমলে এই নভোথিয়েটার নির্মানে স্থবিরতা এর নির্মান ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নভোথিয়েটারের অর্ধ গোলআকৃতির ডোম আছে বিমোহিত করার মত প্রক্ষেপন পদ্ধতির যন্ত্রপাতি। অ্যাস্ট্রোটেকের পারফোরেটেড এলুমিনিয়াম পদা গোটোর জিএসএস হেলিয়স স্পেস সিমুলেটের বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল প্রজেক্টর এবং অ্যাষ্ট্রোভিশন ৭০।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×