somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইফেল টাওয়ার.

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ফ্রান্সের সুদৃশ্য নিদর্শন আইফেল টাওয়ার এর কথা তো আমরা সবাই অনেক শুনেছি। বিভিন্ন ফটোগ্রাফে কিংবা সিনেমায় এই অপূর্ব ইমারত বা টাওয়ারটির চোখ ধাঁধানো কারুকাজও দেখেছি। কিন্তু এই টাওয়ারটি নির্মাণের পেছনের ইতিহাস আমরা হয়তো অনেকে জানিই না। আজ অবশ্য আমরা আইফেল টাওয়ার বানানোর সেই অজানা গল্পটিই জানার চেষ্টা করবো।

ফ্রান্সের প্যারিস শহরে আইফেল টাওয়ার বা মিনারটি আসলেই পৃথিবীর কোন স্থাপনা নির্মাণের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনাই বটে। ১৮৮৭ সালে ফ্রান্স সরকার যখন ফরাসী বিপ্লবের স্মৃতি শর্তবাষিকী পালনের তোড়জোড় করছিলেন তখন সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় এক নিদর্শনে ধরে রাখার জন্যই এই প্রতীক মিনারটি তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তারা। আর এ কাজের জন্য বিখ্যাত সেতু প্রকৌশলী ‘আলেকজান্ডার গুসটাভ আইফেল’কে (Alexandre Gustave Eiffel) বেছে নেওয়া হয়েছিলো। তিনি পেটা লোহার (Worught) খোলা জাফরি (Open lattice) দিয়ে ৩০০ মিটার ( ৯৮৪ ফুট ) উঁচু এই নিখুঁত ও চমৎকার মিনারটি নির্মাণ করেন। তাঁর নামানুসারেই মিনারটির নাম রাখা হয়েছিলো ‘আইফেল টাওয়ার’।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চে মাত্র দুই বছর, দুই মাস, দুই দিনে টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিলো। এতো উঁচু আর এমন আকৃতির টাওয়ার বানাতে কিন্তু খুবই কম শ্রম ব্যয় করা হয়েছে। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি পূর্তবিদ্যা (Civil Engineering) ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনা করেছিলো।

দু’একর জমি জুড়ে এর ভিত্তি। টাওয়ারটিতে আছে অর্ধবৃত্তাকার চারটি তোরণ। উঠানামার জন্য আছে লিফ্ট (Elevator)। ৭০০০ টন ওজনের এই স্থাপনাটিতে সিঁড়ি আছে ১৭৯২ টি। টাওয়ারটির চুড়ো থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এক নজরে দেখে নেওয়া যায়। পর্যটকদের জন্য এটিই হলো আইফেল টাওয়ারের প্রধান আকর্ষণ। ১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে ‘ক্রাইসলার বিল্ডিং’ টির (Chrysler Building) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত আইফেল টাওয়ারই ছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।

১৯০৯ সালে এর চুড়ায় বসানো হয় একটি বেতার এন্টেনা। এতে তার উচ্চতা আরও ২০.৭৫ মিটার (৬৬ ফুট) বেড়ে যায়। সেই থেকে আইফেল টাওয়ারকে বেতার তরঙ্গ প্রেরণের (Radio Transmision) জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে আইফেল টাওয়ারে একটি টিভি এন্টেনাও সংযোজন করা হয়েছে।ফ্রান্সের সুদৃশ্য নিদর্শন আইফেল টাওয়ার এর কথা তো আমরা সবাই অনেক শুনেছি। বিভিন্ন ফটোগ্রাফে কিংবা সিনেমায় এই অপূর্ব ইমারত বা টাওয়ারটির চোখ ধাঁধানো কারুকাজও দেখেছি। কিন্তু এই টাওয়ারটি নির্মাণের পেছনের ইতিহাস আমরা হয়তো অনেকে জানিই না। আজ অবশ্য আমরা আইফেল টাওয়ার বানানোর সেই অজানা গল্পটিই জানার চেষ্টা করবো।

ফ্রান্সের প্যারিস শহরে আইফেল টাওয়ার বা মিনারটি আসলেই পৃথিবীর কোন স্থাপনা নির্মাণের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনাই বটে। ১৮৮৭ সালে ফ্রান্স সরকার যখন ফরাসী বিপ্লবের স্মৃতি শর্তবাষিকী পালনের তোড়জোড় করছিলেন তখন সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় এক নিদর্শনে ধরে রাখার জন্যই এই প্রতীক মিনারটি তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তারা। আর এ কাজের জন্য বিখ্যাত সেতু প্রকৌশলী ‘আলেকজান্ডার গুসটাভ আইফেল’কে (Alexandre Gustave Eiffel) বেছে নেওয়া হয়েছিলো। তিনি পেটা লোহার (Worught) খোলা জাফরি (Open lattice) দিয়ে ৩০০ মিটার ( ৯৮৪ ফুট ) উঁচু এই নিখুঁত ও চমৎকার মিনারটি নির্মাণ করেন। তাঁর নামানুসারেই মিনারটির নাম রাখা হয়েছিলো ‘আইফেল টাওয়ার’।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চে মাত্র দুই বছর, দুই মাস, দুই দিনে টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিলো। এতো উঁচু আর এমন আকৃতির টাওয়ার বানাতে কিন্তু খুবই কম শ্রম ব্যয় করা হয়েছে। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি পূর্তবিদ্যা (Civil Engineering) ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনা করেছিলো।

দু’একর জমি জুড়ে এর ভিত্তি। টাওয়ারটিতে আছে অর্ধবৃত্তাকার চারটি তোরণ। উঠানামার জন্য আছে লিফ্ট (Elevator)। ৭০০০ টন ওজনের এই স্থাপনাটিতে সিঁড়ি আছে ১৭৯২ টি। টাওয়ারটির চুড়ো থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এক নজরে দেখে নেওয়া যায়। পর্যটকদের জন্য এটিই হলো আইফেল টাওয়ারের প্রধান আকর্ষণ। ১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে ‘ক্রাইসলার বিল্ডিং’ টির (Chrysler Building) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত আইফেল টাওয়ারই ছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।

১৯০৯ সালে এর চুড়ায় বসানো হয় একটি বেতার এন্টেনা। এতে তার উচ্চতা আরও ২০.৭৫ মিটার (৬৬ ফুট) বেড়ে যায়। সেই থেকে আইফেল টাওয়ারকে বেতার তরঙ্গ প্রেরণের (Radio Transmision) জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে আইফেল টাওয়ারে একটি টিভি এন্টেনাও সংযোজন করা হয়েছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×